ভারতের রগরগে রাজনীতি নিয়ে যখন সমালোচনায় মেতেছে সারা বিশ্ব ঠিক অন্যপাশে তখন একটি ছোট্ট দেশে মানুষ মরছে । মরছে মানবতা, মানসিকতা আর স্বাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তি । চারপাশে গজাচ্ছে অসংখ্য দল, মত আর উপদল, উপমত । হাতের ওপর পা আর পায়ের ওপর মাথা দিয়ে ঘটছে বিভাজন । না, এ বিভাজন কোষ বিভাজনের মত জৈবিক গতানুগতিক আর সাধারণ বিপ্লব নয় । এই বিপ্লব প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে দিচ্ছে সমাজতন্ত্র, ভেঙ্গে দিচ্ছে গনতন্ত্র আর নষ্ট করে দিচ্ছে বাড়ন্ত ছেলেমেয়েদের মানসিকতা । শেকড়ে যদি ঘুন ধরে তো বাঁচতে হলে ঘুনের সঙ্গে সমঝোতা করাটাকেই আজকাল বাস্তবতা বলে ধরে নিতে হচ্ছে । অদ্ভুত লাগছে যখন শেকড়ে ওষুধ দিয়ে ঘুন মারার অপরাধে কাওকে মৃত্যুদণ্ডে সারাজীবন লটকে থাকতে হয় অথচ সেই ঘুন যে তাকে নষ্ট করে দিচ্ছে সেটা আড়ালেরও আড়ালে নিকষ অন্ধকারে বেঁচে থাকে । যুদ্ধাপরাধিরদের অপরাধ ছিল তারা মানুষ মেরেছে, ধর্ষণ করেছে, সহস্র সধবার নাকফুল আর সিঁদুরের কৌটা ছুঁড়ে ফেলেছে কমোডে । তাদের ফাঁসি হচ্ছিলনা বলে গণজাগরণ মঞ্চ হয়েছে, পাকিস্তানি পন্য বর্জন ক্যাম্পেইন হয়েছে, লং মার্চ না রোড মার্চ কি যেন বলে সেটাও হয়েছে । এবং হ্যাঁ, অবশেষে তাদের ফাঁসিও হচ্ছে । ফাঁসির আগে আগে তাঁদেরকে ছিপের আগায় কেঁচোর পরিবর্তে গেঁথে আমাদের কে জালে ফেলার পাঁয়তারা করা হয়েছে; হয়েছে বলব না এখনো হচ্ছেই । এটা একটা ফরেভার অনগোয়িং প্রসেস, সারাজীবন ধরে এমন অসংখ্য টোপ আমাদের সামনে আসবে যাবে আর আমরা গিলবো । আমি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বিরোধী লেখাও লিখেছি, জামায়াত কে গালি দিয়েছি আর নিন্দা তো বটেই । এই কাজটা শুধু আমি একা করিনি, আমার মত কিংবা আমার মত নয় এমন আরও অনেকেই করেছেন । আচ্ছা, আমরা যদি জামায়াত কে ক্ষমতায় আনি তাহলে কেমন হবে ????
আমি জানি সবাই আমাকে এখন গালি দেবেন, শুধু যে গালি দেবেন তাই নয় বরং সঙ্গে কাঁঠাল পাতা দিতেও কার্পণ্য করবেন না সে আমি জানি । জামায়াত ক্ষমতায় আসলে আমরা কি করব ? আমার মত অনেক অনেক অসাম্প্রদায়িক চিন্তাধারার মেয়েরা বোরখা পরে রাস্তায় বের হবে, পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে অন্দরমহলে উর্দু ফারসি তে দীক্ষা নেয়া শুরু করবে । কিন্তু ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় । আমাদের সংস্কৃতি বলে যে একটা জিনিস আছে সেটার কি হবে ? ঈদে, পুজায় আর বড়দিনে যে তিনবন্ধু একই থালায় খাবার খেয়েছি সেটার কি হবে ???? কালীপূজায় যে আমরা তিনজন একই সঙ্গে প্রদীপ জ্বালিয়েছিলাম তার আলোয় আমাদের চোখ মুখ কি আলাদা আলাদা করে চেনা যাবে ????? না, যাবেনা । সেদিন পত্রিকায় দেখলাম দেশের প্রধান দু’দলের কি সহিংস সমাবেশ !!! একজন তিস্তা চুক্তির পক্ষে বললে আরেক পক্ষকে অবশ্যই প্রকৃতি প্রত্যায় ভেঙ্গে ভেঙ্গে তার বিপরীতে সভা সমাবেশ করতে হবে সেটাই স্বাভাবিক । মানেটা দাঁড়াচ্ছে দেশের বা মানুষের জন্য কেউ রাজনীতি করেন না, বিতর্কে জিতে বাসায় ফিরতে হবে এটাই প্রধান লক্ষ্য ! কিন্তু এতো শত্রুতা যে একজন উজান হলে আরেকজন শুধু ভাটিতেই যান না বরং হেলিকপ্টার যোগে ভাটিতে যান ! এমতাবস্থায় যদি তারা কোন বিষয় নিয়ে মতৈক্যে না গিয়ে একমতে চলে যান তাহলে ব্যাপারটা কি দাড়ায় ??? ফর ম্যানকাইন্ড, মানে মানবজাতির স্বার্থে ???
এবার সোজাসাপটা কথায় বলি ...... যেখানে তিস্তা চুক্তির মত এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও কিউট করে টুকিটুকি খেলা হয় তখন কি ধরে নিতে পারিনা যে মানুষ মারার জন্য তারা একে অপরের জন্য কাছা মেরে দাঁড়িয়ে থাকেন । মোদীর জয়ে একসঙ্গেই বেলুন ফোলান, একসঙ্গে না হোক- একমত তো হতে পেরেছেন । ২০০২ এ এতো সংখ্যক মুসলিম মেরেছেন যে উনি এখন আর মানুষ নন, সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে রেটিং এ এখন তিনি ঈশ্বর । ভারত আবারো জানিয়ে দিল যে তারা যতই জ্ঞানে গরিমায় শিখরে যান না কেন মানবতার দিক দিয়ে তারা এখনো শেকড়েই মুখ থুবড়ে পড়ে আছেন । কথা সেটাও নয় কিন্তু, যারা ৭১ এ মানুষ মেরেছে তাদের জন্য ফাঁসি আর যারা ২০০২ এ মানুষ মেরেছে তাদের জন্য আনন্দ উল্লাস, অভিনন্দন, ফুলের তোরা !!!! তাহলে যে আওয়ামীলীগ গণজাগরণ মঞ্চকে উসকে দিয়েছে সে কথাই ঠিক ??? পার্থক্যটা আসলেই নেই কি ??? বাংলাদেশে আল্লাম শফির প্রধানমন্ত্রীত্বে কি আওয়ামীলীগ আর বিএনপি একইসঙ্গে শুভেচ্ছা জানাতেন না ??? পার্থক্যটা কোথায় যদি বাংলাদেশে আল্লামা শফি আর ভারতে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হন !!!!!!!!!!!
আলোচিত ব্লগ
দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া
১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।