লাতিনরা ফুটবলটাকে খেলে প্রেমিকার মতন আর ইউরোপিয়ানরা খেলে দস্যুর মতন, ইউরোপিয়ানরা খেলে মাথা খাটিয়ে কিন্তু লাতিনরা খেলে হৃদয় দিয়ে, যার কারনে তারা জিতলেও কাঁদে হারলেও কাঁদে জার্মানদের মতন দস্যুর হাসি হাসে না।
কিছু (সবাই না) জার্মানী, ইতালী, স্পেন, নেদারল্যান্ডের (সুবিধাবাদী, দলবাজ, পট্টীবাজ, পুজিবাদী,আতেল) সর্মথকরা মনে করে ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনার সর্মথকরা কিছু না বুজেই হুজুগে তাদের দলের সর্মথন করে। কিন্তু তারা জানে না সর্মথকরা লাতিন ফুটবলের সৌন্দর্যে এতটাই মোহিত যে তারা তাদের দলকে ভালোবাসে প্রেমিকার মত।
একটা উদাহরণ দেয়, এই সময়ের ব্রাজিল সর্মথকরা না হয় ১৯৯৮ দলের ফাইনাল খেলা আর ২০০২ এর বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফিটা পেতে দেখেছে ,কিন্তু আর্জেন্টিনার সাপোর্টারা তারা তো আর্জেন্টিনাকে সেমিফাইনাল খেলতেই দেখিনি, তারপরও তারা বছরের পর বছর যুগের পর যুগ আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে, কারন?
ঐযে বললাম প্রেমিকার মত ভালোবাসে, কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা না করেই ভালোবেসে যাওয়াই তো বিশুদ্ধতম ভালোবাসা। প্রতিটা বিশ্বকাপই তাদের জন্য কান্নার হয়ে আসে। তারা গোপনে মুখ লুকিয়ে কাঁদে প্রতি বার, তাদের প্রেমিকা, যে অনবরত খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে কাঁদায়। চোখের জল কখনো শুকোতে দেয় না। তবুও তারা আর্জেন্টিনাকে ভালোবাসে জানি সে ভালোবাসা কোন সোনালী ট্রফির জন্য নয়, সে ভালোবাসা তার আলতো একটু স্পর্শের জন্য, তার মোহিত সৌন্দর্যে বিস্মিত হবার জন্য।
আমি জানি জার্মানীর কাছে ১-৭ গোলে পরাজয়ের পর অনেক ব্রাজিলের সাপোর্টারাও গোপনে মুখ লুকিয়ে কেঁদেছে, কিন্তু তাতে তাদের প্রেমিকার উপর হয়ত কোন মিছে অভিমান থাকতে পারে কিন্তু কোন রাগ নেয়, তারা ঠিকই তার প্রেমিকার সব দোষ নিজেদের বুক চিতিয়ে আড়াল করে রাখবে যেমন করে আর্জেন্টিনার সাপোর্টারা যুগ যুগ ধরে আড়াল করে রেখেছে তার প্রেমিকার সব অপরাধ। এরি নামতো ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ।
আর্জেন্টিনা আর ব্রাজিলের আর একটা করে খেলা আছে, আমি চাই ঐ খেলাও যেন ফুটবল ঈশ্বর লাতিন সর্মথকদের কাদায়, তবে সে কান্না বেদনার নয়, সে কান্না যেন হয় আনন্দের, সে কান্নার মাঝে যেন ভাসিয়ে দিতে পারে তাদের ২৪ বছরের জমে থাকা সব রাগ, অভিমান, অপমান, অবজ্ঞা, লাঁছনা, গঁজনা, তিরস্কার,আর ভর্ত্সনা।
#জয় হইক লাতিন ফুটবলের।