somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেয়সী-সন্ধ্যা এবং আমি।

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার পাশে বসে চুল আঁচড়ে যায় সান্ধ্য পিদিম।
গ্রীক এম্পিথিয়েটারের গায়ে যে সব মাকড়শা
গুহাচিত্র এঁকে যায় তাদের সাথে বাঘ বন্ধী খেলি,
নৈঃশব্দের প্যাটার্নে ঘুংগুর তুলে হেটে গেছে
গৃহবর্তিনী সুরেলা বালিকা সকল
আর আমি প্রেয়সীর গালে আছড়ে পড়ি।

হঠাৎ ফুলকুমারীর প্রসংগ আসতেই
আমাদের সামনে ঝুপ করে বসে পড়ে খুনে বিষণ্নতা
একে একে খেয়ে যেতে থাকে সফেদ বেলীফুল,
আবছায়া ল্যান্ডস্কেপ, মৌমাছির গুঞ্জরণ আর আমার
কাল কাল অক্ষর গুলোতে আমি পড়ে ফেলি
তোমার গ্রীবার ভংগিমায় লেগে থাকা প্রবোধের কথোপকথন।

-তুমি কবিতা লিখছো আমার পাশে বসে আবারো! আমিও কবিতা ভালবাসি, কবিতা আমার কাছের মানুষ। কিন্তু তাই বলে.........
-তোমাকেই তো লিখছি আমি, তুমিই কবিতা আমার। কবিতার জন্যে বিলীন করেছি অস্তিত্বের মায়াবী আদর আর ঈশ্বরের চোখে চোখ রেখে বলতে পারি,
'ক্ষমা কর ঈশ্বর পুরুষ, কবিতাকে ধারণ করেছি আপাদমস্তক
তাই তুমি ফেরারী হও'

অতঃপর তোমার চোখের নৈঃশব্দের ভেতর আমি হাঁটু গেড়ে বসলাম।
মেগাপিক্সেলে তুলে নিলাম শহুরে বালিকা আর্তনাদ
বেড়ালেরা গুটি গুটি পায়ে ফোয়ারা দেখতে চলে গেল
আর আমি পড়ে রইলাম তোমার গলার তিলে
ও তিল! ও কালো! আমাকে পায়রা আঁকা শেখাবি?
সহস্র বছর ডানার নেশায় খেয়ে গেছে সব
তবুও মানুষ এক একটা বিষাদ পাখী।

-আমার আংগুলের ভেতর অন্ধকার ঢুকে গেছে। ঐ দেখ নরম পায়ের বালকটি আমাকে দেখে পালিয়ে গেল।
-আমিই তো আছি তোমার চোখের কাল অক্ষরে, নরম আঁধারে তোমাকে শেখাবো চুমু বিষয়ক ভ্রমণ কাহিনী আর হারিয়ে যাওয়া বালকের মিথ।

আমি কবিতা লিখতে লিখতে প্রস্থান সময় হ্যাংগারে ঝুলিয়ে রাখি।
চকমকে করিডোরে গোলাপী বুঁনো ফুলে
সেলাই করে চলি মগ্নতা
তোমার চোখ দু'টি আমাকে দেবে কাজল প্রেমা?
আমি নিষিদ্ধ ওষ্ঠ ছোঁয়াবো ওহে বালিকা আমার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×