আমাদের সবারই লেখার হাতেখড়ি হয় পেন্সিল দিয়ে । সেই ছোটবেলা থেকে বড় হওয়ার পরেও পেন্সিলের দরকার পড়ে ঠিকই । পেন্সিল দিয়ে লেখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে কোনো বানান ভুল হলে বা দাগ পড়ে গেলে সহজেই ইরেজার দিয়ে মুছে ফেলা যায় ।
পেন্সিল আবিষ্কার হয় ১৬৫৪ সালে ইংল্যান্ডের ক্যাম্ব্রিয়ার এক খনিতে । ঐ খনিটা ছিল গ্রাফাইটের খনি । গ্রাফাইট হচ্ছে এক ধরনের কয়লা । তখনকার সময়ে গ্রাফাইট গুলোকে পরিষ্কার করে লম্বা আকৃতিতে কাটা হতো, তারপর হাতে বানানো কাঠের খাপে সেগুলোকে রেখে তৈরী হতো পেন্সিল।
তখনকার পেন্সিল গুলোকে ভুল নাম দেয়া হয়েছিলো । ঐ সময়ে পেন্সিলকে "প্লামবাগো" বা সীসার পেন্সিল বলে ডাকা হতো । এই ভুল করার কারন হচ্ছে তখনও মানুষ জানতো না যে গ্রাফাইট কয়লারই একটি জাত ।
পৃথিবীর আর কোথাও তখন গ্রাফাইট পাওয়া যেতোনা বিধায় আর কেউ পেন্সিল বানাতেও পারতোনা । তাই ইংরেজরা ভুল নাম দিয়েও লেখালেখির এই মাধ্যম দিয়ে একচেটিয়া ব্যাবসা করেছিল ।
পরে জার্মানরা পেন্সিল তৈরী করলেও তাদের পেন্সিলের মান এতো ভালো ছিলোনা । তাই তারা পেন্সিল তৈরীতে খুব বেশি সফল হয়নি ।
এরপরে ১৯৭৫ সালে ফ্রান্সের নেপোলিয়ান বোনাপারটের সেনাবাহিনীর নিকোলাস জ্যাকুয়াস কন্ট নামক এক ভদ্রলোক আধুনিক পেন্সিল আবিষ্কার করেন । তিনি প্রথমে গ্রাফাইটগুলোকে পুড়িয়ে গুড়ো করতেন । সেই গুড়োর সঙ্গে কাঁদা মিশিয়ে কাঠির আকৃতি দিতেন । কাদার পরিমাণের উপর নির্ভর করতো পেন্সিলের স্থায়িত্ব ।
আর বর্তমান আধুনিক যুগে তো মেশিন ছাড়া কোন কথাই নেই । অত্যাধুনিক মেশিন দ্বারা তৈরী পেন্সিল দিয়েই চলছে আমাদের পড়ালেখা । আরও কত যুগ ধরে যে চলবে কে জানে......!!!!
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৪