somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা !! বাস্তবতা কি বলে??

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খবরে প্রকাশ, "বিএনপির মওদুদ আহমেদ" আশঙ্কা প্রকাশ করছেন, "দেশ গৃহযুদ্ধের দিকে চলে যাচ্ছে" বলে !! আমার ৪ রুমমেট ঘুমায়, আমি ঘুমাই, রুম থেকে বের হয়ে আশে পাশের কয়েক রুমের বাসিন্ধাদের ও দেখলাম ঘুমাইতে !! তবে কোন গৃহে যুদ্ধ লাগছে?? যুদ্ধ পূর্ববর্তী প্রস্তুতি কোন গৃহে হচ্ছে??? !!মাথায় খেলে না... !!

একটা জিনিস এখন সত্য, দেশের মানুষ মুড়ি বিক্রেতা থেকে শুরু করে বিজনেস ম্যাগনেট পর্যন্ত সবাই আজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ- কেউ বিএনপি। বিএনপির ভোট নেহায়েত কম নয়, এদের বেশিরভাগ ভোটার ই নীরব ভোটার। আজ শিক্ষক সমাজ, ছাত্র সমাজ, কুলি, মজুর, রিক্সাচালক, গার্মেন্টস মালিক সবাই আজ দুই ভাগে বিভক্ত। কিছুদিন আগে কুমিল্লায় এক চানাচুর মিক্রেতা কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনি কি শুধু এখানেই চানাচুর বিক্রি করেন?? ওইদিকে যান না??"
- কইলো, "ঐ এলাকার কমিশনার লীগের। এটা বিএনপির কমিশনারের এলাকা, আমি এখানেই বেচমু"!!!

দেশের মানুষ, মিডিয়া সবাই দুই ভাগে বিভক্ত। তাইলে কি গৃহযুদ্ধ আসন্ন???

নাহ আসন্ন না। সোজা বাংলায়, সহজ কথায় "কোন দেশে গৃহযুদ্ধ শুরুর আগে সামাজিক বৈষম্য প্রাধান্য পায়, শুধুমাত্র আদর্শিকতার দ্বন্দে কোন দেশে গৃহযুদ্ধ সম্ভব নয়। এখন একজন আওয়ামী সাপোর্টার রিক্সাচালক যে দামে চাউল কিনে, বিএনপি রিক্সাচালক বেশী দামে কিনে না। তাহলে এখন মানুষের মাঝে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধগতি সহ নানাবিধ সমসসায় যে হতাশা আছে , ক্ষোভ আছে তার ফলশ্রুতিতে কি ঘটতে পারে?? বড় জোর চিমটি কাটা বা কাতুকুতু টাইপের একটা বিদ্রোহ ঘটতে পারে। পূর্বাপর যে সকল দেশে গৃহযুদ্ধ হয়েছে কিংবা চলছে, সে সকল দেশের গৃহযুদ্ধ পূর্ববর্তী অবস্থা পর্যালোচনা করলে দেখবেন- সে সকল দেশে সেনাবাহিনী স্পষ্ঠত দুই ভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো। আমাদের দেশেও কিছুদিন আগে এমন একটা আভাস পাওয়া গিয়েছিলো বেশ জোরেশোরে, বিশেষ করে বিডিআর বিদ্রোহের পর। বিডিআর বিদ্রোহ একটি বিশেষ দেশের আঙ্গুলির হেলনে ও তাদের গোয়েন্দা সংস্থার পরোক্ষ মদদ ও সহযোগিতায় হয়েছে এটা এখন দিবালোকের মতো সত্য। তবে এই সরকারের বড় ধরণের একটা সাফল্য হিসেবে আমি দেখি, সেনাবাহিনীতে এমন একটি বিদ্রোহ রুখে দেওয়া।

বিডিআর বিদ্রোহের পরপর ই সেনাবাহিনীতে "ধর্মীয় শিক্ষক"(সেনাবাহিনীর একটা স্পেশাল পোস্ট) দের মাধ্যমে সাধারন সৈনিক দের "ইসলামের আলকে সৈনিক জীবন""যুদ্ধের মাঠে সিনিয়রের নির্দেশ পালন""ইসলামের আলোকে সিনিয়ার জুনিয়র সম্পর্ক""নবীজি (সাঃ) এর সেনাবাহিনীতে সেনাপতির নির্দেশ" এমন হাজারো টপিকের উপরে নরমাল ট্রেনিং বাদ দিয়ে "মোটিভেশান ক্লাস" নিয়ে মগজ ধোলাই করে সাধারন সৈনিক দের শান্ত করা হয়েছে।

সরকার এটা সফলভাবে করার পরপরই কয়েকটা স্কেল বাড়িয়ে সেনাবাহিনীর সৈনিকদের বেতন ৫ বছর আগের তুলনায় প্রায় "দিগুন" করে দেয়।। এ ছাড়া সুযোগ সুবিধা প্রচুর বাড়িয়েছে। এখন একজন আর্মি ফিসার যেমন জেনারেটর সুবিধা পায়, তেমনি একজন সাধারন সৈনিক এর বাসাতেও কারেন্ট গেলে ২ টা লাইট-২ টা ফ্যান চলে জেনারেটর এ।।

রাশিয়া থেকে কিছুদিন আগে ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনে সেনাবাহিনীকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটাকে সবাই বিরোধিতা করলেই আমি সাপোর্ট করি এবং এটা থেকেই আমার কাছে একটা জিনিস পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, "বর্তমান সরকার গৃহযুদ্ধ কিংবা সেনা ক্যু এর ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস এবং এটা ঠেকাতে সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। সবার আগে আর্মির মাথা ঠাণ্ডা রাখো নীতি ধরে রেখেছে..."

তবে মওদুদ সাহেব, এতদিনে ঝানু রাজনীতিবিদ- এতো বিজ্ঞ মানুষ কেন এমন কথা বলছেন??? সব ই রাজনীতি ।। এর আগেও ৯১, ৯৬, ২০০০ সব সময়েই নির্বাচনের প্রক্কালে সকল বিরোধী দল জু জু তুলেছিল(ইতিহাস তাই বলে) "দেশে যুদ্ধ লাগলো, লাগলো বলে..." এবং সেটা ভোটে কাজে লাগিয়েছে। গৃহযুদ্ধের আগে, সেনাবাহিনীকে স্পষ্টত দুইভাগে ভাগ হতে হবে এবং সেটা মনে হয়না এখন সম্ভব কোন উপাদানে।। সো, আমজনতা আপাতত বিনোদন দেখি দুই দলের :)

** আব্বু সেনাবাহিনীতে আছে, সেই অভিজ্ঞতা ঝেড়ে দিলাম।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×