গতকাল এরিজোনার রাজধানী ফিনিক্স (phoenix) থেকে ঘুরে এলাম। আমি যেই শহরে থাকি সেখান থেকে ফিনিক্সের দুরুত্ব প্রায় ১১০ মাইলের মত। আমাদের শহরে খুব ভাল সাউথ এশিয়ান দোকান নেই, ওদিকে আমার বাসায় দেশীয় মাছ, মাংস, পোলার চাল ইত্যাদি নেই তাই ভাবলাম ফিনিক্স বড় শহর সেখানে যাই। একদিকে দুই ঢিল মারা আরকি, বাজার করতে গেলাম সাথে সেখানে দর্শনীয় স্থানও ঘুরে আসা যাবে। প্রায় তিন সপ্তাহ হল আমার বউ এবং ছেলে দেশ থেকে এসেছে, তারাও আমার শহরের বাইরে যায়নি। এদিকে একটি আকাম ঘটেছে, এবার দেশ থেকে আসার সময় আমাদের একটি লাগেজ গায়েব হয়ে গেছে! সেই লাগেজে কয়েকটি ইলিশ মাছ বাজা ছিল সাথে নাড়ু, মিষ্টি থেকে শুরু করেও অনেক মশলাপাতি ইত্যাদি-সহ মজাদার খানা-খাদ্য মৌজুদ ছিল। ভাবছিলাম খানা খাদ্যের লাগেজটি এলে জম্পেশ একটা খানা দিব, তবে আফসোস সব লাগেজ সহি-সালামতে আসলেও আমার খাদ্যের লাগেজ গায়েব হয়ে গেছে! লাগেজটি আমেরিকার ইমিগ্রেশন সফলার সাথে পারি দিলেও আকামটি বেজেছে ডোমেস্টিক ফ্লাইটে, এখনো তন্য-তন্য করে এয়ারলাইন্স খোজ দ্যা সার্চ জারি রেখেছে তবে খুঁজে পাবার কোন আলামত পাওয়া যাচ্ছে না!
রাস্তার অসাধারণ ভিউ।
যাইহোক, গতকাল সকাল সকাল রওনা দিলাম ফিনিক্স। ফিনিক্সে আমার এক পরিচিত জুনিয়র ছেলে থাকে, যাবার আগে তার সাথে কথা বলে গেলাম, সেই ছেলেটি বাজার করে ওর বাসায় দুপুরে খেতে বলল। তারপর একসাথে কোথাও ঘুরার প্রস্তাব দিল, তাই প্লান মোতাবেক প্রথমে বাজারে গিয়ে মাছ, মাংস থেকে প্রয়োজনীয় জিনিষ কিনে সেই ছেলের বাসায় গেলাম, তারপর খানা-খাদ্য খেয়ে সেখান থেকে চলে গেলাম "পাপা-গো পার্ক" নামক এক দর্শনীয় স্থানে। দোকানে মাছ, মাংস ইত্যাদি কেনাকাটার সময় পূর্বের কর্মস্থল স্যামসাং এর এক প্রাক্তন সহকর্মীর সাথে হঠাৎ মোলাকাত, আমরা একসাথে স্যামসাং এ বাংলাদেশে কাজ করতাম।
পুরো এরিজোনায় দেখতে অনেকটা একই রকম, বিশেষ করে হাইওয়ের রাস্তাগুলোর পাশে তাকালে যেই পাহাড় দেখা যায় সেখানে কোন গাছ দেখতে পাওয়া যায় না।
পাপা-গো পার্ক
পাপা-গো পার্কটি দেখতে অসাধারণ সুন্দর, সেখানে একটি লেইক/পুকুর আছে, মানুষজন দেখলাম সেখানে মাছও ধরছিল। পুকুরে অনেকগুলো হাস, আমার ছেলে হাঁসগুলো দেখে বেশ উপভোগ করছিল। লেইকের কিছুটা পিছনে বিশাল একটি পাহাড়, পাহাড়ে উপর গুহা আছে, অনেক মানুষ সেখানে ঘুরতে এসেছে।
এই সেই পাহাড়ের গুহা।
আমরা ড্রাইভ করে কিছুটা পাহাড়ের দিকে এসে পার্কিং করলাম, তারপর ওপরের গুহাতে যাবার জন্য হাটা শুরু করলাম ট্রেইল ধরে, ট্রেইলটি খুব বেশী উঁচা ছিল না।
ভিতরের কিছু দৃশ্য।
গুহাটি অসাধারণ সুন্দর, অনেক পর্যটক এসেছে, আর উপরের সুন্দর বাতাসও ছিল দারুণ। সারাদিন ঘুরাঘুরি করে, সন্ধ্যা প্রায় আটটার দিকে সেখান থেকে বাসার পথে রওনা দিলাম।
আরো কিছু ছবিঃ
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩১