এই লোকটার অসহায় আর রক্তাক্ত চেহারা দেখতে খুব ভালো লাগছে?
আমাদের দেশের সীমান্ত রক্ষাকরা কালীন সময় অপহরনকৃত এই বিজিবি সেনা তিনদিন ধরে মায়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের ক্যাম্পে বন্দি ইনি। এনাকে উদ্ধার করতে এত সময় কেন লাগছে জানিনা।
এনাদের জন্য আজ আমাদের বর্ডার সীমানা নিরাপদ। আমরা নিরাপদ। ইনি একজন দেশনায়ক। অথচ এনার আজ এই অবস্থা।
হাতকড়া পড়া অবস্থায় নির্যাতিত এই সেনার ছবি আবার ওরা ওদের ফেসবুক পেজে আপ্লোড দিয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে এনার নাকে রক্ত জমাট হয়ে আছে।
বুঝতে পারছিনা তিনদিন পেরিয়ে গেলো অথচ এই সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারছেনা কেন? অপরাধ ওরা করেছে। অবৈধভাবে আমাদের সমুদ্রসীমায় ঢুকে পড়েছে। আবার উল্টা আমাদের দেশের সেনাকে জোর করে ট্রলারে করে অপহরন করে নিয়ে গেছে।
সেনা এই ভাইয়ের জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। এদের জন্যই আমরা দেশের অভ্যন্তরে নিশ্চিন্তে দিনের পর দিন শান্তিতে চলাফেরা করতে পারি, রাতে ঘুমাতে পারি। এরা না থাকলে অন্যদেশের পশুরা আমাদের সীমানায় ঢুকে আমাদের ছিঁড়ে খেতো।
অতিসত্বর এই সেনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
বিজিবি সূত্র জানায়, নায়েক রাজ্জাকের নেতৃত্বে বিজিবির ছয় সদস্যের একটি দল গত বুধবার সকালে নাফ নদীতে টহল দিচ্ছিল। দলটি বাংলাদেশের জলসীমায় মাদক চোরাচালান সন্দেহে দুটি নৌকায় তল্লাশি করছিল। এ সময় মিয়ানমারের রইগ্যাদং ক্যাম্পের বিজিপির একটি দল, ট্রলারে কোরে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। একপর্যায়ে টহল দলটি বিজিবির নৌযানের কাছে গিয়ে থামে। বিজিপির ট্রলারটিকে বাংলাদেশের জলসীমা ছেড়ে যেতে বলা হলে তারা নায়েক রাজ্জাককে জোর কোরে ট্রলারে তুলে নেয়। এ সময় বিজিবির অন্য সদস্যরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়।
বিঃদ্রঃ দিনদিন মায়ানমার তাঁদের উদ্ধততার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এদের আন্তর্জাতিকভাবে একটা বিচারের ব্যবস্থা করে উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:৪২