somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেম-১৩

২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্ব
Click This Link

কিষাণীর স্মৃতি থেকে-২


তোরা যে যা বলিস ভাই

আঠারো বছর বয়সের একটি মেয়ে যখন পরিবারের শাসন বারণ এর বেড়াজালের গন্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ উপভোগ করার পথে পা রাখলো, তখন তার চোখে মুখে শুধু বিস্ময় আর মুগ্ধতা। অজানাকে জানার আনন্দ।

মেয়েটি চঞ্চল, প্রানোচ্ছল,অস্থির: সিনিয়রদের সাথে বেশ ভাব, বান্ধবীদের সাথে বন্ধুত্বের বাইরেও একটু যেন মাতব্বরী ভাব।

ছেলেটি ভীষণ দুষ্টু, প্রাণবন্ত, উচ্ছল, বোহেমিয়ান এবং অসম্ভব মেধাবী। সহপাঠি এবং সিনিয়রদের সাথে তার সহজ স্বাভাবিক সম্পর্ক। যে কোন কঠিন বিষয় অল্প সময়ে বুঝে যেত। দুষ্টুমি, খুনসুটিতে সারা ক্লাশ মাতিয়ে রাখতো। গলা ছেড়ে ভুল সুরে গান গাইতো, চিৎকার করে আবৃত্তি করতো। আঁতেল টাইপের বন্ধুদের নাস্তানাবুদ করতো। সহজ, সাবলীল, প্রানবন্ত এই ছেলে টি আমার সব কাজের সাথী হয়ে থাকছে এতে আমি খুউব খুশি ছিলাম। এত ভাল ছাত্র হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র অস্থিরতার জন্য তার ভাল রেজাল্ট হতো না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুতে আমার পড়ার চেয়ে ঘুরে বেড়ানোর দিকেই বেশী ঝোঁক। নবীনদের আগমন উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখা, নদীর পাড়ে ঘুরে বেড়ানো এসবই হল মূল কাজ। উপরন্তু এখানকার পড়াশোনার স্টাইল SSC, HSC র মত না। কাজেই ক্লাশের পড়া, assignment, peridical পরীক্ষা র মাথামুন্ডু কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। এহেন অবস্থায় নীরস assignment এর ভুতটিকে নিয়ে আমার যখল বেহাল অবস্থা তখন ত্রাণকর্তার মত আবির্ভৃত হলো বন্ধুটি, যে আমার পাশে বসে ক্লাশ করে, পাশাপাশি রোল। কিভাবে, কোন কাগজে, কোন স্টাইলে assignment করতে হয় আমাকে বুঝিয়ে দিল, বেশ বুঝতে পারলাম ও আমাকে একসাথে assignment করতে না ডাকলে আমার নাকানি চুবানির একশেষ হতো! অবশ্য আমি বিজ্ঞ বিজ্ঞ ভাব নিয়ে বসেছিলাম, যেন আমি সব বুঝি, ওরা বলল তাই অগত্যা ওদের সাথে বসলাম।

মনে মনে আমি তো আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম, বুঝলাম সে সিনিয়রদের কাছ থেকে এগুলো আগেই জেনে নিয়েছে; উদাসীন আমি যার কিছুই করিনি। আমি কি আর তাকে ছাড়ি, আঠার মত লেগে রইলাম; কে জানতো তাকে ছাড়া আমার আর চলবেই না! শুরু হল আমাদের একসাথে পড়াশোনা।

আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় একটি মেয়ে চাইলেই যা খুশী করতে পারে না। ইচ্ছে মতো একা একা ঘুরতে পারবে না, সমাজের চোখরাঙানী এড়াতে তার অতি অবশ্যই একজন সংগী লাগবে। চোখেমুখে অনাবিল আনন্দ আর বিপুল বিষ্ময় নিয়ে আমি যা দেখতে চাই, উন্মোচন করতে চাই, সে জন্য আমার একজন সাথী লাগবে।আমি বেশ বুঝলাম আমার অতিব ভাল বান্ধবীরা আমার এহেন এডভেন্চার এ কাজে আসবে না। অগত্যা বোহেমিয়ান এই বন্ধুটি হলো আমার ভরসা। যখন তখন, যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াতে তার কোন ক্লান্তি নেই। আর যায় কোথায়, আমার দুটো মানিকজোড় হয়ে সারাদিন ক্লাশের ফাঁকে ফাঁকে এবং শেষে সারা ক্যাম্পাস এর এমাথা ওমাথা!

মাঝে মাঝে ও হলে আমাকে ডাকতে এলে হাতে করে ফুল নিয়ে আসতো। আমার সিনিয়ির রুমমেট এর প্রশ্ন ফুল কে দিল? আমি বল্লাম বন্ধু দিল। সিনিয়র কপাল কুচকালেন, বল্লেন হুম, শুধু বন্ধুতো মনে হয় না! এভাবে ই কিন্তু সব হয়। আমি অতি কনফিডেন্ট, বলি কিচ্ছু হবে না।

বাকী টা পরবর্তীতে.................

পরের পর্ব
Click This Link


সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:২০
১৯টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ওরা আমাদের ঐতিহ্যের পোশাককে নোংরা পোশাক হিসেবে পরিচিত করতে চায়। ওরা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে গ্রাস করতে চায়।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০


"লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা, ওয়ান নি'মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।"

এক মৌলভী পোস্ট দিয়েছেন
"শাড়িকে একটি নোংরা পোশাক বানিয়ে দিয়েন না।
শরীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমূদ্র-সৈকতে - ১৬

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯



ছবি তোলার স্থান : মেরিনড্রাইভ, কক্সবাজার, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : পহেলা অক্টোবর ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ।

বেড়াবার সবচেয়ে আকর্ষণীয় যায়গাগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সমূদ্র সৈকত। কখনো কখনো আমারও সুযোগ হয় বেড়াতে যাবার।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাঁআআআচ্চুউউউ! :) :D ;)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৩



হাঁচতে নাকি জানে না কেউ,
কে বলেছে বোন
এই দেখোনা কত্ত হাঁচির
ওজন শত টন।

কিম হাঁচে বাড়া ভাতে,
বাইডেন হাঁচে তার সাথে সাথে,
লালচে চীনের জোরসে হাঁচি,
কাঁদে সবুজ ঘাস।
মাদার রুশের হাঁচি দেখে
হয় যে বনবাস!!

বনবিবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেইন্ট মার্টিন ও কোক ইস্যু

লিখেছেন নিবারণ, ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪

বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে গান গাইলাম (সাময়িক)

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ১৬ ই জুন, ২০২৪ ভোর ৪:০৮

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে আমি আদর করে 'আই' ডাকি। আইকে দিয়ে অনেক কাজই করাতে হয়। এবারে, আমাদের ৫ ভাইদের নিয়ে একটি গান বুনেছি। আমরা ৫ ভাই অনেক দিন একসাথে হই না। আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×