somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোবোটিক্সে হাতেখড়ি

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা সকলেই কমবেশি রোবট শব্দটির সাথে পরিচিত। রোবট শব্দটির উৎপত্তি Robota মতান্তরে Roboti শব্দ থেকে। শব্দটার মানে হলো দাস বা কর্মী। একটি, দুটি বা বেশ কিছু কাজ একসাথে করতে পারে এমন যন্ত্রকেই আমরা সাধারণত রোবট বলে থাকি। কাজটি স্বাভাবিক মানুষের আদলে হাঁটাহাঁটি ছাড়াও খুব সামান্য কিছুও হতে পারে। যেমন একটা দরজা যা মানুষের উপস্থিতি সেন্স করে নিজে নিজে খুলতে বা বন্ধ হতে পারে , তাকেও রোবট বলা হলে খুব ভুল হবেনা –যদিও এগুলোকে সাধারণত Intelligent System বলা হয়। শুধুমাত্র কাজ করার মাঝেই থেমে নেই রোবট, প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় রোবট ছাড়িয়ে গেছে তার সীমা। এইতো কদিন আগেই প্রথম নাগরিকত্ব পাওয়া রোবট সোফিয়া ঘুরে গেল বাংলাদেশ, আর বাড়িয়ে দিয়ে গেল এদেশের বহু প্রযুক্তিপ্রেমী তরুণ গবেষকদের তৃষ্ণা। বিভিন্ন যান্ত্রিক ও ইলেকট্রনিক স্বয়ংক্রিয় ব্যাবস্থা নিয়ে জ্ঞান আহরণ, চর্চা, গবেষণা, উন্নয়ন আর উদ্ভাবনকে এক কথায় রোবোটিক্স বলা চলে।

সাগরের পানির বিশালতার মতই রোবোটিক্স এ জ্ঞান আহরণের পরিসীমাও বিস্তর। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর তরুণ গবেষকদের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। আশার আলো হচ্ছে,সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তরুণরা নিত্য নতুন উদ্ভাবনে এগিয়ে আসছে। আর তাই দেশকে প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিতে রোবোটিক্স ও অটোমেশন শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
আজ আমরা ইলেকট্রনিক্স এর এনালগ আর ডিজিটাল জগত সম্পর্কে জানব। কোন স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র কি কি তত্ত্বের ভিত্তিতে কাজ করে আর কি কি কর্মপদ্ধতি অনুসরণ করলে তোমরা নিজেরাও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র তৈরী করতে পারবে তা নিয়ে আলকপাত করব।
ইলেক্ট্রনিক্স জগতকে মোটামুটি দুভাগে ভাগ করা যায়ঃ এনালগ আর ডিজিটাল। ডিজিটাল সার্কিট ইলেক্ট্রনিক্স জগতে গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে আছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা যে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইসসমূহ ব্যাবহার করি তার অধিকাংশই ডিজিটাল ইলেক্ট্রনিক্স কনসেপট ব্যবহৃত হয়।

ধরুন যদি বলা হয়, চাঁদ একটি উপগ্রহ -সত্য না মিথ্যা ? পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে-সত্য না মিথ্যা? কিংবা সৌরজগতে ৮ টি গ্রহ- সত্য না মিথ্যা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর শুধুই সত্য বা মিথ্যা হতে পারে এবং এর মাধ্যমে আমরা কোন অবস্থাকে বিশ্লেষণ করতে পারি। কোন প্রশ্নের উত্তরের মান সত্য হলে ১ আর মিথ্যা হলে ০ ধরে নিতে পারি। এই সত্য-মিথ্যা প্রশ্নের ১ এবং ০ মানের মতো ডিজিটাল সিস্টেমেও শুধুমাত্র দুটি মান থাকতে পারে। ডিজিটাল সিস্টেম হচ্ছে সেই সিস্টেম, যেটি ডিজিটাল লজিক বা যুক্তি ব্যবহার করে কাজ করে। আশা করছি ডিজিটাল লজিক সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা স্পষ্ট, এবার আসি এনালগে। এনালগ হচ্ছে ডিজিটাল এর বিপরীত, যার মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। যেমন তাপমাত্রা, ভোল্টেজ , কারেন্ট –এসব মান সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে। আর সময়ের সাথে পরিবর্তনশীল ডাটা বা উপাত্তকে আমরা এনালগ সিস্টেম বলতে পারি।




একটা উদাহরণ দেয়া যাক – ধরি আমার কাছে একটি তাপমাত্রা ও আদ্রতা পরিমাপক সেন্সর আছে যেটি দিয়ে তুমি সারা দিনের বায়ুর তাপমাত্রা ও আদ্রতা রেকর্ড করতে পারি। এখন আমি সারা দিনের নির্দিষ্ট কিছু সময় অন্তর তাপমাত্রা (Temperature) ও আদ্রতা (Humidity) পরিমাপ করে দেখলাম যে তা কোন স্থির উপাত্ত নয়। আর এই পরিবর্তনশীল উপাত্তই হচ্ছে এনালগ ডাটা। চিত্রে আমরা দেখছি -------- রেখাটি দিনের বিভিন্ন সময়ের তাপমাত্রা নির্দেশ করছে আর রেখাটি আপেক্ষিক আদ্রতা নির্দেশ করছে।
এবার পরিকল্পনা করলাম , এই উপাত্ত ব্যাবহার করে বাসার রুম হিটার কিংবা এয়ার কুলার নিয়ন্ত্রণ করবো। সুবিধেমতো তাপমাত্রা আর আর্দ্রতার একটি স্কেল সেট করে বাসার কুলার কিংবা হিটার কে স্মার্ট করে ফেলা যায়। আসুন ব্যাপারটি একটি প্রবাহ চিত্রের মাধ্যমে দেখি।



এভাবেই আমরা যেকোন এনালগ ডাটাকে ডিজিটাল লজিকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র বানাতে পারি। পরবর্র্তীতে আমরা বিভিন্ন ধরণের সেন্সর ও তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে জানব।
----------------------


সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×