বিআরটিসির দোতলা বাসে না উঠলে জানতাম না আমাদের পারসেপশন কতটা ভূল হতে পারে।
প্রায়সময়ই মেট্রো স্টেশন থেকে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং যাবার পথে রাস্তার পাশের গাছের ডালের সাথে জানালা বাড়ি খেতে থাকে। তখন জানালা বন্ধ থাকার পরও অনেকে ভয় পেয়ে একেবারে বেকে সরে আসে। আবার অনেকে নির্বিকার খোলা জানালায় গা লাগিয়ে বসে থাকে।
তখন মনে হবে যে সরে আসলো সে বুদ্ধিমান তাই সেফ থাকতে সরে এলো, আর যে বসে আছে সে বোকা অসচেতন তাই রিস্ক নিয়ে বসে আছে।
বাট আসলেই কি তাই? ১ বছরে হাজার হাজার যাত্রীকে অবজার্ভ করে নিচের বিষয় দেখলাম।
এখানে যে প্যানিক করে সরে এলো— সে সারাউন্ডিং সম্পর্কে অসচেতন ছিলো। সে ডাল বাড়ি খেতে পারে ধারণা রাখেনি । সে যথেষ্ঠ ফিট ও সাহসী নয় তাই জানালা বন্ধ থাকার পরও পড়িমড়ি করে নিজের জীবন বাঁচাতে সরে এলো। সে ডালে বাড়ি না খেলেও পাশের যাত্রীর মাথায় বাড়ি খাবে শিওর!
কিন্তু যে বসে আছে— সে খুব কাম অ্যান্ড ফোকাস মাইন্ডের। সে জানে গাছের ডাল আসার আগে সামনে শব্দ হবে, ডাল কতদূর আসবে, কোন প্লেসে ডাল থাকতে পারে, আর হঠাৎ কোনো ডাল ভিতরে এলে হালকা সরে গেলেই হবে। মানে সে তার রোড জার্নি আর সারাউন্ডিং সম্পর্কে সচেতন ছিল।
রিয়েল লাইফে ঠিক এভাবেই আমরা উল্টোভাবে মানুষকে বিচার করি, বোকা মানুষকে বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিমান মানুষকে বোকা ট্যাগ দেই।
অবশ্যই আমাদের সাবধান থাকতে হবে, ইচ্ছে করে গাছের ডাল স্পর্শ করা বুদ্ধিমানের কাজ না। কিন্তু অসচেতন থেকে অল্পতে প্যানিক করলে নিজের ও আশেপাশের মানুষের সার্ভাইভ্যাল আরো কঠিন হয়ে যায়।
মনে রাখবেন, ডাকাতদল কাউকে গানপয়েন্টে রাখলে যে আগে ভয়ে দৌড় দেয় তাকেই থ্রেট মনে করে গুলি করবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


