বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রীয় আয়ের প্রধান খাত তৈরী পোষাক শিল্পের অস্থিরতা সবার দৃষ্টি কেড়েছে । এমন ঘটনা নতুন না হলেও বাজেট পরবর্তী আর ঈদ পূর্ব সময়ে তা চিন্তারই বটে । আর এমন সময়ে অস্থিরতা নিরসনে সকল ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করবে মালিক পক্ষ এটাই স্বাভাবিক।
কেননা মে দিবসের আলোচনা সভার মঞ্চে ঝড় তারাই বেশী তোলেন শ্রমিক দের থেকে । তখন তারা শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় যে বিশাল বক্তৃতা করেন তার কিছুটা বাস্তবায়ন করলেই সমস্যার কিছু মাত্র সমাধানে আসা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে আশুলিয়াসহ সারা দেশের শ্রমিক অসন্তোষের কারন নূন্যতম মজুরী ৫০০০ টাকার দাবী। আর সেখানে মজুরী বোর্ড কর্তৃক ৩০০০ টাকা নির্ধারন করে দেয়ার পরও ২৫০০ টাকার কোটায় অটল থাকা মালিকদের বাস্তব জ্ঞান নিয়ে প্রশ্নের দেখা দেয়া স্বাভাবিক। বর্তমান বাজারের সাথে শ্রমিকদের এমন দাবী অযৌক্তিক বলে উড়িয়ে দেবার মত নয় আর এর দাবীতে বিক্ষোভ করা মে দিবসের অনুপ্রেরনাও বলা যেতে পারে । যে বক্তারা মে দিবসের আলোচনা মঞ্চে এর গুনগান গান তাদের দ্বারা শ্রমিক বিক্ষোবের প্রতিকার হিসাবে তাদের সামনে কারখানা বন্ধ করে দিয়ে ভয় দেখিয়ে সমস্যা ধামা চাপা দেয় কখনও আশা করা যায় না। এমন কাজ তো বৃটিশের নীলকদের ই মানায় । যারা জমি বিনষ্ট করে নীল চাষ করিয়ে বাংলার কৃষকদের রক্ত চুষে খেয়েছে। তারা না পেয়েছে তাদের শ্রমের দাম হারিয়েছে জমির উর্বরতা। আর ইংরেজরা নিয়ে গেছে তাদের শ্রমের ফসল ঘটিয়েছে শিলপ বিপ্লব।
তাহলে আমরা কি আমাদের বিজিএমইএ কে সেই নীলকদের সাথেই তুলনা করবো ? যারা শুষে নিচ্ছে শ্রম ও তার ফসল ... । দেখাচ্ছে ভয় কারখানা বন্ধের আর দিচ্ছে সিদ্ধান্ত সমাধানের বদলে। তাদের প্রতি আহবান ' সিদ্ধান্ত নয় সমাধানে আসুন'।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





