ঢাকা, আগস্ট ১৫ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণে আর তার খুনীদের ফাঁসি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে রোববার পুরো ঢাকা নগরী যেন মুড়ে দেওয়া হয়েছে কালো ব্যানারে।
দেওয়ালে দেওয়ালে সেঁটে দেওয়া হয়েছে 'জাতির পিতার বিদেশে পালিয়ে থাকা খুনীদের দেশে এনে ফাঁসি চাই' দাবি সম্বলিত অসংখ্য পোস্টার। বিভিন্ন ভবন ও বিল্ডিং-এর ছাদে উড়ছে কালো পতাকা।
জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর প্রায় সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্টের শুরু থেকেই দলীয় ব্যানারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ঘরানার লোকজন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যানার আর পোস্টার টাঙাতে শুরু করে।
এতোদিন তুলনামূলক তা কম থাকলেও রোববার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমনকি অলিতে গলিতে দেখা গেছে কেবল কালো ব্যানার আর পোস্টার। প্রধান সড়কগুলোতে তৈরি করা হয়েছে কালো ব্যানারের তোরণ।
কিন্তু ভাই আমার কথা অন্যখানে, বুঝলাম ব্যাপক শোকে শোকাহত আমারা পুরা জাতি। তার মধ্যে না হয় আমাদের নেতা-নেত্রীরা এক ব্যাগ বেশি শোকাহত। আর তাদের এই চরম শোক কালো কাপড়ে পরিনত হইয়া আমাগো পাড়া মহল্লার আগায় আগায় উড়তে থাকে। তয় কাহিনী হইলো তাগো এই কালো কাপড় আর এর অভ্যন্তরে লিখিত শোক বানী কতটা শোক প্রকাশ করে তা নিয়া ব্যাপক সন্দেহে আছি। তাদের আকাঁ লেখা, আর কালো কাপড় শোক এর বদলে আমরা সহজেই চরম তোষামদী ভাব দেখতে পাই। তাদের শোক বানীর আয়তনের চেয়ে অনেক আংশে নিজের নাম আরো মোটা কালিতে লেখার চেষ্ঠা চালান।
আবার যারা এখোনো সুবিধা করে উঠতে পারেন নাই তারা নিজের গাটের পয়সা খরচ করে বড় ভাই এর মন যোগাতে ব্যনারে বড় ভাই এর নাম বড় ফন্টে দিয়া দেন। তাই বইলা আবার নিজের নাম দিতেও ভুল করেন না।
প্রতিযোগিতা যদি এতেও থামতো তাও একটা কথা..। আমার নিজের কানে শোনা এক ডায়লগ এমন। "এলাকার এক পাতি নেতা আর্টের দোকানে যাইয়া কইতাছে: ওই মিঞা ১৫ লেহাড়ারে এমুন লাল করবা যাতে হালায় এমপির চোক্কে যাইয়া বিন্দে। গত বারের ব্যানারে মোডে একটা সুবিধা হয় নাই। এই বার তো আড়াই গজ বাড়াই দিলাম।" এই হইলো তাগো শোকের অবস্থা। কবে নিস্তার পাবে এই জাতি? জাতির পিতার মৃত্যু দিবস টারে জন্মদিনের চেয়ে মহা ধুমাধামে পালন বন্ধই বা হইবো কবে? কবেই বা শোক প্রকাশ পাইবো অন্তর থাইকা?
জানান ভাইয়রা জানান...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





