কবিতা দিয়ে শুরু করি তারপর গল্প।
এটি আমার প্রিয় কবির লেখা একটি প্রিয় কবিতা ।
এই পৃথিবীতে আমি–- জীবনানন্দ দাশ
এই পৃথিবীতে আমি অবসর নিয়ে শুধু আসিয়াছি — আমি হৃষ্ট কবি
আমি এক; — ধুয়েছি আমার দেহ অন্ধকারে একা একা সমুদ্রের জলে;
ভালোবাসিয়াছি আমি রাঙা রোদ, ক্ষান্ত কার্তিকের মাঠে — ঘাসের আঁচলে
ফড়িঙের মতো আমি বেড়ায়েছি — দেখেছি কিশোরী এসে হলুদ করবী
ছিঁড়ে নেয় — বুকে তার লাল পেড়ে ভিজে শাড়ি করুন শঙ্খের মতো ছবি
ফুটাতেছে — ভোরের আকাশখানা রাজহাস ভরে গেছে নব কোলাহলে
নব নব সূচনার: নদীর গোলাপী ঢেউ কথা বলে — তবু কথা বলে,
তবু জানি তার কথা কুয়াশায় ফুরায় না — কেউ যেন শুনিতেছে সবি।
কোন্ রাঙা শাটিনের মেঘে বসে — অথবা শোনে না কেউ, শূণ্য কুয়াশায়
মুছে যায় সব তার; একদিন বর্ণচ্ছটা মুছে যাবো আমিও এমন;
তবু আজ সবুজ ঘাসের পরে বসে থাকি; ভালোবাসি; প্রেমের আশায়
পায়ের ধ্বনির দিকে কান পেতে থাকি চুপে; কাঁটাবহরের ফল করি আহরণ
কারে যেন এই গুলো দেবো আমি; মৃদু ঘাসে একা —একা বসে থাকা যায়
এই সব সাধ নিয়ে; যখন আসিবে ঘুম তারপর, ঘুমাব তখন।
...............................................................
আমার উনি কে আমি একদিন রাগ করে বলেছিলাম । কি শাড়িটাও এখনও পরা শিখলে না । কোথাও যেতে হলে তোমার শাড়ি পড়ার জন্য দুই জন মানুষ লাগে । আরে আমি দুই দিন রিসার্চ করলে তো আমিও শিখে যেতাম। যেমন টা বলেছি, ছুটির দিন একটু সময় হাতে পাওয়াতে একটু সার্চ লাগালাম । এবং কয়েক মিনিটের ভেতর বুঝতে পারলাম না আসলে সম্ভব না।
কারনঃ প্রায় ৮০ ভাবে শাড়ি পরা যায় !!!!!! নিভি, বাঙ্গালি, রাজস্থানী, রাজরানী, কুরগি,মহারাষ্ট্র, মারমেইড, মমতাজ ,টামিলিয়ান, হিপহপ, গুজরাটি, অরিয়া, ,কদাগু, দ্রাভিদিয়ান, মাদিসার, গোব্বি, মালায়লি, কুনবাই, কেরালা, ফিজিয়ান, আন্ধ্রাস্টাইল,ঘাঘরাস্টাইল,দুপাট্টাস্টাইল, দক্ষিনি, রেডি শাড়ি , ইত্যাদি
যা হোক সামান্য একটু বুঝতে পারলাম, বউ কে ডেকে বল্লাম- শোন আমি শাড়ি পরার একটা বেসিক আইডিয়া পেয়ে গেছি, তোমাকে সহজ ভাষায় বুঝায় দেব তুমি একদম সহজেই শিখে যাবে । সে বল্লঃ আমি শাড়ি পরতে পারি তোমাকে সহজ ভাযায় বুঝাতে হবে না । দয়া করে এটা বলবে কোথা থেকে তুমি আইডিয়া পেলে ? আমি খুবি উল্লাসিত হয়ে বল্লাম কেন ইউটিউব এ ভিডিও দেখে . কি ? বলে সে পারমাণবিক বোমার শক্তি নিয়ে ফেটে পড়লোঃ ছোটলোক, অসভ্য ( সেনসরড )................................., …………… ব্লাউজ ,পেটিকোট পরে মেয়েরা শাড়ি পরা দেখাচ্ছে তুমি সেই ভিডিও গুলো বসে বসে দেখেছো? , ...........................
এবং কয়েক সেকেন্ডের ভিতর সব কিছু আউট অফ কন্ট্রোল হয়ে গেল ।
আমি তড়িৎ গতিতে কম্পিউটার বন্ধ করে বাসা থেকে বেরিয়ে গেলাম , বাসা থেকে বেরিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারলাম না । কিছুদূর হেঁটে যেয়ে আবার ফিরে এসে মোড়ের চা এর দোকানে বসলাম । আমার এক বন্ধু এসে ঢুকল । সে এক কাপ আমি এক কাপ চা নিলাম। চায়ে চুমুক দিচ্ছি সে জিজ্ঞাসা করলো কি রে মন খারাপ নাকি ? আমি বল্লামঃ আরে হুদাই তোর ভাবি রাগ করছে । এত বুজাইতেছি বুঝে না । সে জিজ্ঞাসা করলঃ কি হইছে ঘটনা খুইলা ক ? আমি ঘটনা খুলে বল্লাম । দোস্ত আমার দিকে বড় বড় চোখ করে বল্লঃ তুই ভাবি যেগুলা কইছে হেই গুলান দেহছ নাই ??
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০১৩ ভোর ৫:২২