somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্বপ্নের মানে বুঝি সন্তান!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


,
অর্থনীতির ছাত্র নই ব্যবসায় শিক্ষার ছাত্র ছিলাম , অর্থটা তেমন বুঝিনা , ব্যবসায় মানে এক কথায় আমি বুঝি ওতপ্রোতভাবে জড়িতো হলো উদ্যোক্তার সাথে। আবার ব্যবসা ও অর্থ একই মায়ের দুই ভাই , যেহেতু আমি এক ভাইকে ভালো করেই চিনি ঐ ভাইয়ের মাধ্যমে আরেক ভাইয়ের সাথেও একটা চিনা পরিচয় আছে।
এই ব্যবস্যা মানে আমার কাছে নতুন কিছু উপযোগ বা নতুন কিছু করা ।এই নতুন কিছু করার জন্যে নিশ্চিত ক্যারিয়ার কে ছাপিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে নাম লেখাই। সেদিকে পারিপার্শ্বিক অনেক অনুঘকের জন্যে সফল হতে পারিনি এই কথা যেমন ঠিক আবার এই উদ্যোগক্তা হওয়ার স্বপ্ন এখনো দেখা বাদ দিতে পারিনি,।
পরিবার চায়না আমরা উদ্যোক্তা হই। শুধু পরিবার নয় কেউ চায়না ।।শিক্ষক চায় না তার ছাত্ররা উদ্যোক্তা হোক , বন্ধু চায় না তার বন্ধু উদ্যোক্তা হোক ্‌প্রেমিকা চায়না তার প্রেমিক উদ্যোক্তা হোক।
দূর থেকে মনে হতে পারে উদ্যোক্তা অনেক সহজ একটি ব্যপার । অনেকটা তাজ মহলের মতো দেখতে অনেক সুন্দর , আকর্ষনীয় ,ঐতিহাসিক ভাবে স্বীকৃত কিন্তু এই তাজ মহলের নির্মাণে আছে কত শ্রমীকের রক্ত পানি করা ঘাম । কত দিন রাত হয়েছে কতো রাত দিন হয়েছে সে হিসেব দেখে আমরা যেমন তাজমহল দেখিনা ।
পরিবার বা নিকটজনেরা জানে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা হওয়া কত কঠিণ আর নির্মম। এই নির্মমতা ছাপিয়ে একজনকে সফল হতে কতো পরিশ্রম করতে হয় আর কতো ধরণের ঝুকি নিতে হয় সেটা যারা উদ্যোক্তা হিসেবে পথে নামে শুধু তারাই জানে এই পথ কতো বন্ধুর ও কতো কন্টকপূর্ন্য।
মতিঝিল স্টক একচেঞ্জের পাশে শখ করে কেউ একজন বিড়িয়ানীর দোকান দিলো । খুব ভালো চলছে । হঠাৎ দেশে দরবেশে ক্যারামতিতে শেয়ার বাজার ফুলে ফেপে উচ্চতায় পর্বতসম হয়ে গেছে।।
দুদিন পর কথা বার্তা নেই হঠাৎ শেয়ার বাজার পর্বত থেকে জমির টিবির মতো হয়েগেলো। ঐ যে বিড়িয়ানী দোকানদার সে নিজে কোনোদিন শেয়ার কেনা বেচাতে ছিলোনা কিন্তু তার কাস্টমারদের বিড়িয়ানী খাওয়ার এখন আর সময় নেই।।তারা এখন রাজপথেে মিছিলে আন্দোলনে ।।দিন যায় রাত যায় আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায় তাদের কেউ কেউ রশিতে ঝুলে মিছিল আর আন্দলনকে বিদায় জানায় ।।আর বিড়িয়ানী দোকানদারের কি হয়ে সে খবর আর জানা সম্ভব হয় না । কিছুদিন পর দেখা যায় সেই আলোচিত বিড়িয়ানী দোকানে দরবেশ বাবার ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অফিসের নতুন সাইনবোর্ড মুক্তোর দানার মতো সূর্য্যের আলোতে চকচক করছে।
আমি অনেককেই চিনি সারাদিন স্বপ্ন দেখতো চাকুরি করবো না চাকুরি দেবো। আজকের ক্ষুদ্র ব্যাবসায়ী আগামী কালকের রপ্তানীকারক এই বীজকে বুকে ধারণ করে উদ্যোক্তার পথে পা বাড়িয়েছিলো ।এখন #সুনীলের কথার মতো বলতে হয়
"বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই
সেই রয়্যাল গুলি, সেই লাঠি-লজেন্স, সেই রাস-উৎসব
আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবেনা!"
এই উদ্যোক্তা হতে গিয়ে যৌবনের মুল্যবান সময় কথন কোন দিক দিয়ে চলে গেলো টের পাওয়া যায়নি । যে প্রেয়সী রেখে এসেছিলো সে এখন অন্য একজনের জন্যে দড়জার ওপাশে অপেক্ষায় থাকে । বাবা মা কে বলেছিলো তোমাদের অভাব দূর হবে উলটো এখন অভাবের সাথে এক রাজ্যের হতাশা নিয়ে আরেকটি দিনের অপেক্ষায় করতে হয় ।
যারা ছিলো কিছু দিন আগেও বন্ধু তারা এখন কর্পোরেট দুনিয়া ব্যস্থ। আর যে বিশ্বাস করতো মাথা উচু করে বাচব ।সংগ্রাম আর পরিশ্রম করে স্বপ্নকে বাচাবো ।সে এখন দীন হীন মাথা নীচু করা একজন ।
এখানে এসে আমার আঙ্গুল অবশ হয়ে যাচ্ছে ...
আমাদের বাংলাদেশ কবে সেই সব তরুণদের বাংলাদেশ হবে আমি জানিনা ।সেই তরুণেরাই এতো হতাশা ও আশা ভংগের ভিতরের নতুন ব্যবসার স্বপ্ন দেখে ।তাদের মধ্য থেকেই কেউ একজন বেড়িয়ে আসে আবুল হাসেম, আব্দুর রঊফ,মুঞ্জেরে এলাহি,আমজান,আকিজ, ভড়সা,স্যামন এইচ চৌধুরীরা।
যাদের শিড়ায় উপশিড়ায় উদ্যোক্তার স্বপ্ন তাদের পৃথিবীর অন্যকিছুতেই আকর্ষিত করেনা ।।তাদের কাছে নারী ,বাড়ি,গাড়ি সেতো এক তুচ্ছ ও মূল্যহীন কিছু জড় বস্তু ছাড়া আর কিছু নয়...
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ড্রাকুলা

লিখেছেন সুদীপ কুমার, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১২

কোন একদিন তাদের মুখোশ খুলে যায়
বেরিয়ে আসে দানবীয় কপোট মুখায়ব।

অতীতে তারা ছিল আমাদের স্বপ্ন পুরুষ
তাদের দেশ ছিল স্বপ্নের দেশ।
তাদেরকে দেখলেই আমরা ভক্তিতে নুয়ে পড়তাম
ঠিক যেন তাদের চাকর,
অবশ্য আমাদের মেরুদন্ড তখনও... ...বাকিটুকু পড়ুন

অধুনা পাল্টে যাওয়া গ্রাম বা মফঃস্বল আর ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া শহুরে মানুষ!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০০


দেশের দ্রব্যমুল্যের বাজারে আগুন। মধ্যবিত্তরা তো বটেই উচ্চবিত্তরা পর্যন্ত বাজারে গিয়ে আয়ের সাথে ব্যায়ের তাল মেলাতে হিমসিম খাচ্ছে- - একদিকে বাইরে সুর্য আগুনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪১

সাম্প্রতিক দুইটা বিষয় ভাইরাল হতে দেখলাম।
১. এফডিসিতে মারামারি
২. ঘরোয়া ক্রিকেটে নারী আম্পায়ারের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্ক

১. বাংলা সিনেমাকে আমরা সাধারণ দর্শকরা এখন কার্টুনের মতন ট্রিট করি। মাহিয়া মাহির... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) পক্ষ নিলে আল্লাহ হেদায়াত প্রদান করেন

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪২



সূরা: ৩৯ যুমার, ২৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৩। আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, যা সুসমঞ্জস্য, পুন: পুন: আবৃত। এতে যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের শরির রোমাঞ্চিত হয়।অত:পর তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×