আজ সেই কালো ৫ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের এই দিনে বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয় বর্তমান ক্ষমতাসীন (পরীক্ষিত স্বৈরাশাসক) গোষ্ঠী । ৩৯ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে সেদিনের এই একতরফা নির্বাচন বয়কট করেছিলো ৩১ টি রাজনৈতিক দল, আর আওয়ামীদের সাথে থাকা চৌদ্দ দলীয় জোটে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে ৪ টি, সেগুলো হলো আওয়ামীলীগ, জাতীয়পার্টি, জাসদ, আর মেননের দলটি ।
এই নির্বাচনের ভোট পড়েছিলো ১১ % ।
ততকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, আগের তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনী ব্যবস্থা তুলে দিয়েই দেশে বড় রাজনৈতিক সংকট তৈরি করে দেয়, এর আগে এই তত্ত্বাবধায়ক সারকরের জন্য শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৬ সালে রাজপথে রক্তপাতের নির্দেশ দেয়, বিএনপি যাাকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার করে তারা তাকে মানবে না, পরিশেষে লগি -বেঠা নিয়ে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর রাজপথে মানুষ হত্যার করে ১/১১র মঈন-ফখরুল দের এনে হাসিনা বলেছিলো এটি আমাদের আন্দোলনের ফসল, পরে তারা ক্ষমতার লোভে সকলকে গ্রেফতার করে বাদ পড়েনি দেশনেনেত্রী বেগম জিয়া ও হাসিনা, হাসিনা এবং দেশনেত্রীকে প্রস্তাব দেয় দেশ ছাড়ার হাসিনা পালিয়ে পায় লন্ডনে আর খালেদা জিয়া তাদের সাথে আপোস করেনী, পরিশেষে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে তারা হাসিনা এবং দেশনেত্রীকে প্রস্তাব দেয় আবার ক্ষমতায় গেলে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সবাইকে নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে দিবে এবং তাদের কর্মকান্ড কে বৈধতা দিবে, তখন খালেদা জিয়া রাজি হয়নি, হাসিনা রাজি হয়েছিলো, তারপর আসলো প্রহসনের নির্বাচন করে ২০০৯ সালে এসেই দেশের বিডিয়ারকে উসকে দিয়ে ৫৭ জন সেনা অফিসার কে হত্যা করা হলো মূলত আজকের এই মাস্টার মাইন্ড হাসিনা তখন থেকেই একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে, তারই ধারাবাহিতায় ২০১৪ সালের আজকের এই দিনে একটি ভোটারবিহীন ১৫৩ জন বিনাভোটের সাংসদ সদস্য নিয়ে সরকার গঠন করে দেশের শাসন ব্যবস্থা, বিচারবিভাগকে ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করে হাসিনা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, খুন গুম বিচারবহিভূত হত্যাকান্ড এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি চর্চা শুরু করে ।
গত ৩০ ডিসেম্বর দেশে আবারো তামাশার নির্বাচন এর কথা আপনারা জানেন কি রকম জালিয়াতি করেছে পুলিশ প্রশাসন কে দিয়ে, সারারাত ভর ভোট দিয়ে বক্স নিজেরাই পুরিয়েছে, ভোটদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে তাদের ভোট দেয়া থেকে বিরত রেখেছে। নিজেরাই ভোট দিয়ে বক্স পুরিয়ে দিয়েছে ।
আমাদের আর কি অধিকার থাকলো?
দেশকে এই ফ্যাসিষ্ট হাসিনা থেকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের সকলে মিলে দলমত নির্বিশেষে একযোগে আরো একটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে । তা না হলে গণতন্ত্র নামক শব্দটি বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য গায়েব হয়ে যাবে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩৫