ফেরিওয়ালাদের কাছেও এখন চেতনার সাইনবোর্ড নিরাপদ হয়ে উঠছে, এই সাইনবোর্ড না থাকলে তাদের জীবন বিপন্ন হবার শংকা আছে, এবং লুটতরাজ চাঁদাবাজীর কবলেও পড়ে ক্ষুদ্র মূলধনটুকুও খোয়াতে হবে। তাই দিনদিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে চেতনার সাইনবোর্ড
সেই ২০১১ সালের কথা চট্টগ্রাম শহরের নিউ মার্কেট মোড়ে এক হতদরিদ্র মানুষ একটি ভ্যান নিয়ে শীতের রাতে ডিম বিক্রি করছে, পাশে দিয়ে আমি হেটে যেতে দেখলাম তিনজন ট্রাফিক পুলিশ এসেই কথাবার্তা ছাড়া তিনটা ডিম খেতে লাগলো, পরে তার কাছে টাকা চায় ঐ ডিম বিক্রেতা ৩০ টাকা দিলে তারা নেয় না, তারা বলে ১০০ টাকা না দিলে এখনি এখন থেকে চলে যা। এখানে দাড়ানো অন্যায়, ১০০ টাকা দিলে বুঝি ন্যায় হয়ে যায় ?
আমার সারা শরীর গজ গজ করছে তারপর ঐলোক ৬০ টাকা দিয়েছে, আমি ডিম বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনার ডেলি কতটা ডিম বিক্রি হয় ? জবাবে তিনি বলেন তার কোন ঠিক নাই ধরেন পুলিশ ডিস্টার্ব না করলে ১ শ বা ১২০ পিছ বিক্রি হয়, তাহলে তিনি ডিম কিনে প্রতি পিছ ৮ টাকা আর বিক্রি করে ১০ টাকা করে, আপনারা একবার ভাবুন লোকটি ডিমগুলো সিদ্ধ করে এবং এত কষ্ট করে ভ্যান নিয়ে আবার কেরসিন জ্বালিয়ে গরমও রাখে তাহলে ২ শ টাকা তার লাভ হয় না, তার ভিতর ৬০ টাক + তিনটা ডিমের দাম ৩০ টাকা মোট ১০০ টাকা যদি পুলিশ নিয়ে যায় লোকটির জন্য কি থাকে ? এই হলো আমাদের দেশের বাস্তব চিত্র। তাই ফেরিওয়ালারাও এখন চেতনার সাইনবোর্ড ব্যবহার করে কোনভাবে পরিবারটিকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন । কিন্তু এই চেতনার সাইনবোর্ড যারা ব্যবহার করছে না তাদের অবস্থা সেই ডিমওলার মতো হয়।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০২