দীর্ঘ ২৮ বছর পর গতকাল হয়ে গেলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। ডাকসুর ইতিহাসে এমন কলঙ্কিত প্রহসনের নির্বাচন হয়নি বলে পূর্বের একাধিক ভিপি ও অন্যরা গতকালই থেকে আজ পর্যন্ত তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ।
গতকালের দেশের সকল মিডিয়ায় উঠে এসেছে এসব কারচুপি ভোট ডাকাতির তথ্য প্রমাণ ।
গতকাল দিবাগত রাত সোয়া তিনটায় ডাকসুর ফলাফল ঘোষণা করা হলে দেখা যায়, ভিপি পদে নুরুল হক বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন। ২৫টি পদের মধ্যে জিএসসহ ২৩টি পেয়েছে ছাত্রলীগ। আর ভিপিসহ দুটি পেয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি নুরুল হক এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ তাঁকে দেখতে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। ফলাফল ঘোষণার আগেই ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে উল্লাস প্রকাশ করছিল এবং বিরোধীদের এই বলে ভর্ৎসনা করেছিল যে সাধারণ ছাত্ররা তাদের প্রত্যাখ্যানের লজ্জায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
কিন্তু রাতে যখন উপাচার্য ভিপি পদে নুরুল হককে নির্বাচিত ঘোষণা করলেন, তখন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ বলে চিৎকার দিতে থাকেন। তাঁরা উপাচার্যকে এক ঘণ্টারও বেশি সময় অবরোধ করে রাখেন।
ডাকসুর নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানীর ভাষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মভিত্তিক দল বা শিবিরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। নুরুল হক জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু নুরুল হক যখন ভিপি প্রার্থী হলেন, তখন ছাত্রলীগের কেউ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি। তাঁরা বলেননি, ‘নুরুল হক প্রার্থী হলে আমরা নির্বাচন করব না।’ এখন ছাত্রদের ভোটে নুরুল হক বিজয়ী হওয়ার পর কেন এই প্রশ্ন? তাহলে কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি প্রহসনের নির্বাচন করল? আর প্রহসনের নির্বাচনেই জিতল ছাত্রলীগ!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৮