বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এক আজব মেশিন, দলটির নামেও তা অনেক অংশে প্রকাশ পায় । তারা কথা কথায় পাকিস্তানিদের সমালোচনা করলেও নিজ দলের নামটিতে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু শব্দ ধারা গঠিত আওয়ামী লীগ। তাদের নিজেদের নামটি কখনো শর্টকাটে ব্যবহার করে না, তারও কারণ আছে সেই দিকে যাচ্ছি না, শুরু থেকে দলটির বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামের বড় অংশীদার হলেও দলটির নেতাদের মধ্যে একনায়কত্ব, স্বৈরাচারী মনোভাব লক্ষ্য করা যায়, যে স্বাধীনতার জন্য পাকিদের সাথে যুদ্ধ করে নতুন পতাকা আলাদা ভূখন্ড পেয়েছি লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেই স্বাধীনতাকে তারা কুক্ষিগত করে রাখতে চায় চেতনার দোহাই দিয়ে।
আর দলটিতে চেতনা ব্যবসা এতো বেশী চর্চা হয় যে দলটি চাইলে যে কাউকে রাতারাতি রাজাকার বানিয়ে দিতে পারে আবার খাঁটি রাজাকারকেও রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিতে পারে ।
তাই আমি দলটির নাম দিয়েছি আজব মেশিন যার রয়েছে দুটো ইনপুট দুটো আউটপুট ।
বিশদভাবে বলতে গেলে এই আজব মিশনটির ১ম ইনপুট দিয়ে যদি কোন রাজাকারকে ডুকানো হয় ১ম আউটপুট দিয়ে সেই ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়ে আসে।
অনুরূপভাবে ২য় ইনপুট দিয়ে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে ডুকালে সেই অপর ২য় আউটপুট দিয়ে সেই মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকার হয়ে যায় ।
এটার কারণ হলো আওয়ামীলীগ করলেই মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার পক্ষের লোক, বাকিরা স্বাধীনতাবিরোধী এমনটিই তাদের আচরণে বুঝা যায়, এ. কে খন্দকার, অধ্যাপক আবু সায়েদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সহ বহু মুক্তিযোদ্ধাকে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করার কারণে রাজাকার বানিয়ে দিলো, আর রাজাকার মখা আলামগীর, আশিকুর রহমান, আবু রেজা নদভী, কামরুলরা খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলো শুধু আওয়ামীলীগ করার কারণে ।
কোটা বিরোধী আন্দোলনের আলোচিত নুরু সহ অন্য আন্দোলনকারীদের বেলায় আমরা দেখলাম সংসদে দাড়িয়ে মতিয়া চৌ. সহ একাধিক নেতা দাবি করলো তারা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী রাজাকারের বাচ্চা তাদের দেখি নিবে, অথচ নুরু ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। মুহসীন হল ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার পর মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক উপসম্পাদকের পদ পান। ভর্তির পর থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলো, গতকাল ছাত্রলীগের সা. সম্পাদকের কথায় সেই সত্যতা পাওয়া গেছে অপর একজন সাবেক নেতা গতকালের বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় দেখলাম দাবি করেছে নুরুকে ছাত্রলীগের এক অংশ টাকা ও সকল সহযোগীতা দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নামিয়েছে পরে তারাই তাকে শিবির বানিয়েছে !
মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা উদ্ধুতি দিয়ে প্রথম আলোতে আজকের উঠে এসেছে আসল সত্যতা নুরুল প্রথম বর্ষের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। স্পষ্টভাষী হওয়ায় তিনি জ্যেষ্ঠদের নজর কাড়েন। সবকিছু যাচাই–বাছাই করেই তাঁকে ছাত্রলীগীগের পদ দেওয়া হয়েছিল।
অথচ নির্বাচনের পর রাতে যখন ফলাফল ঘোষণা করে নুরুর নাম নিতেই সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ নুরুকে রাজাকার জামাত শিবির বানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে । এবং গতকালও তাকে শিবির বলে ধাওয়া দিয়ে পরে তার উপর আক্রমন করেছে। আবার তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতে রাজাকার জামায়াত শিবির নুরুকে বুকে টেনে নিয়ে তাকে স্বাগতও জানালো ছাত্রলীগ, তাকে বলা হলো যোগ্য, আমার কথা হলো ১২ বছর দখলকরে রাখার পর ঢাবিতে এই শিবিরের উত্থান হলো কিভাবে ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮