somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

এম. বোরহান উদ্দিন রতন
আমি এম. বোরহান উদ্দিন রতন, জন্ম : বাংলাদেশের ফেনী জেলায় দাগনভুঁইয়া উপজেলায়, পেশায় একজন প্রফেশনাল আইটি স্পেশালিস্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও চিত্রশিল্পী । সেই সাথে সামাজিক, ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি ।

যে কাউকে রাতারাতি রাজাকার আর মুক্তিযোদ্ধা বানানোর আজব মেশিনের নাম আওয়ামীলীগ !

১৩ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এক আজব মেশিন, দলটির নামেও তা অনেক অংশে প্রকাশ পায় । তারা কথা কথায় পাকিস্তানিদের সমালোচনা করলেও নিজ দলের নামটিতে বাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি উর্দু শব্দ ধারা গঠিত আওয়ামী লীগ। তাদের নিজেদের নামটি কখনো শর্টকাটে ব্যবহার করে না, তারও কারণ আছে সেই দিকে যাচ্ছি না, শুরু থেকে দলটির বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল হিসেবে সকল আন্দোলন সংগ্রামের বড় অংশীদার হলেও দলটির নেতাদের মধ্যে একনায়কত্ব, স্বৈরাচারী মনোভাব লক্ষ্য করা যায়, যে স্বাধীনতার জন্য পাকিদের সাথে যুদ্ধ করে নতুন পতাকা আলাদা ভূখন্ড পেয়েছি লক্ষ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেই স্বাধীনতাকে তারা কুক্ষিগত করে রাখতে চায় চেতনার দোহাই দিয়ে।

আর দলটিতে চেতনা ব্যবসা এতো বেশী চর্চা হয় যে দলটি চাইলে যে কাউকে রাতারাতি রাজাকার বানিয়ে দিতে পারে আবার খাঁটি রাজাকারকেও রাতারাতি মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে দিতে পারে ।
তাই আমি দলটির নাম দিয়েছি আজব মেশিন যার রয়েছে দুটো ইনপুট দুটো আউটপুট ।
বিশদভাবে বলতে গেলে এই আজব মিশনটির ১ম ইনপুট দিয়ে যদি কোন রাজাকারকে ডুকানো হয় ১ম আউটপুট দিয়ে সেই ব্যক্তি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়ে আসে।
অনুরূপভাবে ২য় ইনপুট দিয়ে কোন মুক্তিযোদ্ধাকে ডুকালে সেই অপর ২য় আউটপুট দিয়ে সেই মুক্তিযোদ্ধাও রাজাকার হয়ে যায় ।

এটার কারণ হলো আওয়ামীলীগ করলেই মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতার পক্ষের লোক, বাকিরা স্বাধীনতাবিরোধী এমনটিই তাদের আচরণে বুঝা যায়, এ. কে খন্দকার, অধ্যাপক আবু সায়েদ, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সহ বহু মুক্তিযোদ্ধাকে আওয়ামীলীগ ত্যাগ করার কারণে রাজাকার বানিয়ে দিলো, আর রাজাকার মখা আলামগীর, আশিকুর রহমান, আবু রেজা নদভী, কামরুলরা খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলো শুধু আওয়ামীলীগ করার কারণে ।

কোটা বিরোধী আন্দোলনের আলোচিত নুরু সহ অন্য আন্দোলনকারীদের বেলায় আমরা দেখলাম সংসদে দাড়িয়ে মতিয়া চৌ. সহ একাধিক নেতা দাবি করলো তারা মুক্তিযোদ্ধা বিরোধী রাজাকারের বাচ্চা তাদের দেখি নিবে, অথচ নুরু ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। মুহসীন হল ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার পর মানবসম্পদ উন্নয়নবিষয়ক উপসম্পাদকের পদ পান। ভর্তির পর থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলো, গতকাল ছাত্রলীগের সা. সম্পাদকের কথায় সেই সত্যতা পাওয়া গেছে অপর একজন সাবেক নেতা গতকালের বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় দেখলাম দাবি করেছে নুরুকে ছাত্রলীগের এক অংশ টাকা ও সকল সহযোগীতা দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নামিয়েছে পরে তারাই তাকে শিবির বানিয়েছে !

মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাসুদ রানা উদ্ধুতি দিয়ে প্রথম আলোতে আজকের উঠে এসেছে আসল সত্যতা নুরুল প্রথম বর্ষের শুরু থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছেন। স্পষ্টভাষী হওয়ায় তিনি জ্যেষ্ঠদের নজর কাড়েন। সবকিছু যাচাই–বাছাই করেই তাঁকে ছাত্রলীগীগের পদ দেওয়া হয়েছিল।

অথচ নির্বাচনের পর রাতে যখন ফলাফল ঘোষণা করে নুরুর নাম নিতেই সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ নুরুকে রাজাকার জামাত শিবির বানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে । এবং গতকালও তাকে শিবির বলে ধাওয়া দিয়ে পরে তার উপর আক্রমন করেছে। আবার তার কয়েক ঘন্টা যেতে না যেতে রাজাকার জামায়াত শিবির নুরুকে বুকে টেনে নিয়ে তাকে স্বাগতও জানালো ছাত্রলীগ, তাকে বলা হলো যোগ্য, আমার কথা হলো ১২ বছর দখলকরে রাখার পর ঢাবিতে এই শিবিরের উত্থান হলো কিভাবে ?


সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৮
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×