গতশুক্রবার নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে প্রথমে ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদ ও পরে লিনউড মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর হামলা চালান ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট নামের এক অস্ট্রেলীয় শ্বেতাঙ্গ উগ্রপন্থী যুবক।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে রক্তক্ষয়ী হামলার আগে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেনের কার্যালয়ে ইশতেহার (মেনিফেস্টো) পাঠিয়েছিলেন। সেখানে ব্রেনটন টারান্টের শুক্রবারের হামলার কারণের ব্যাখ্যা ছিল। একই মেনিফেস্টো পাঠানো হয়েছে নিউজিল্যান্ডের কয়েকজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমের কাছেও।
আল নুর মসজিদে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালানোর ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিম করেন হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। ওই মসজিদে নামাজ আদায়ের জন্য যাচ্ছিলেন নিউজিল্যান্ড সফরে থাকা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তাঁরা অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান। আল নুর মসজিদে আনুমানিক ৩০০ এবং লিনউড মসজিদে শ খানেক মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন বলে জানা গেছে।
ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালের শল্য বিভাগের প্রধান গ্রেগ রবার্টসন আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আহত ৩৪ জন এখনো ক্রাইস্টচার্চ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এঁদের মধ্যে ১২ জন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন।
এই রকম একটি ভয়াবহ হত্যাকান্ডের পরও নিউজিল্যান্ড পুলিশ পুরো শহরকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলেছে, মহূর্তেই এবং হামলাকারী উগ্রবাদী ২৮ বছর বয়সী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্টকে জীবিত গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারের পর সেই সন্ত্রাসীকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালাত, এতে করে এই সন্ত্রাসীর পিছনের শক্তি বা এদের পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করা যাবে, আর বাংলাদেশে সামান্য খেলনা পিস্তলওয়ালা যুবককে জীবিত গ্রেফতার করতে পারে না, তাও দেশের সেনাবাহিনীর কমান্ডো টিম । আমরা এর আগেও দেখিছি সকল সন্দেহবাজন তরুণদের জঙ্গি আখ্যা দিয়ে একের পর হত্যা করেছে দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি সংশয় থেকে আসলে তারা অপরাধি কিনা, বা তাদের মূল নেটওয়ার্ক কোথায় এসব আসলে আমরা বের করতে পারিনি। বের করতে হলে অবশ্যই সকল অপরাধীকে আদালত পর্যন্ত নিতে হবে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬