মসজিদে হামলার জের ধরে হামলাকারীর ৭৪ পৃষ্ঠার ইশতেহার পড়ে যদি নিউজিল্যান্ড সরকার তাদের অভিবাসন আইনের সংশোধন করে আরো কঠোর করে তবে দেশটি জঙ্গিবাদ ও বর্ণবাদের কাছে নৈতিক পরাজয় বরণ করবে, তখন হামলাকারী নিজেকে সফল ভাববে এবং এতে করে এই ধরণের হামলা আরো বাড়বে অভিবাসীদের তাড়াতে, তাই নিউজিল্যান্ড এখন কোন দিকে যাবে তা তাদের ব্যাপার। আমি মনে করি আরো বেশি করে অভিবাসী নিয়ে উদারতা দেখিয়ে সন্ত্রাসীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো উচিত।
আর ছেলে খেলার মতো যাকে তাকে অস্ত্রের লাইসেন্স করে দেয়া ও অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ করতে অস্ত্র আইন সংশোধন জুরুরি।
তারপরও নিউজিল্যান্ডের সাধারণ জনগণের প্রতি আমার সহমর্মিতা ও ভালোবাসা থাকলো, আসলেই তারা একটা গ্রেট জাতি, ধন্যবাদ তাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধনব্যাদ তিনি যেভাবে সেখানে ভিকটিমদের পরিবার পরিজনের সাথে এসে তাদের সান্তনা দিয়েছেন এতে করে তিনি সকল মানুষের মন জয় করেছেন । নিউজিল্যান্ড পুলিশকে ধন্যবাদ হামলাকারীকে দ্রুত সময়ে জীবিত গ্রেফতার করায়।
আর সকল খৃস্টান বা অমুসলিম মানেই খারাপ নয় ভালো- খারাপ মিলে পৃথিবী।
একজনের জন্য পুরো জাতিকে কটাক্ষ করা চরম অন্যায় ।
যেমন একজন সন্ত্রাসী হামলা করার পর দেখলাম অন্যরা কিভাবে মুসলিমদের পাশে এসে দাড়িয়েছে, কেউ ফুল মোমবাতি নিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে, কেউ প্লেকার্ডে শোক বার্তা নিয়ে কেউ সামাজিক সাইটে সন্ত্রাসীর প্রতি ঘৃণা আর ভিকটিমদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে, বাদ যায়নি তারকারাও , সেই সাথে সমালোচিত কট্টর ডানপন্থী অস্ট্রোলিয়ান সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙ্গে ১৭ বছরের ডিম বয় কনোনিও শান্তিপ্রিয় মানুষের মন জয় করেছে। সুতরাং আমাদের উচিত অমুসলিম তথা পুরা খৃস্টান জাতিকে নিয়ে সমালোচনা না করে বরং সন্ত্রাসীর কোন ধর্ম নেই সেই প্রতিজ্ঞা করে সন্ত্রাসীদের সবাই মিলে রুখে দেওয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০