এই লেলিহান অগ্নিশিখার দাবানল যেদিন স্বৈরাচারের পশ্চাতদেশে লাগবে সেদিন বুঝবে উন্নয়ন আর উন্নত শব্দের বিশেষণ কি। পাঠা দিয়ে পাঠা বলি দেয়া হয়, পাঠা দিয়ে গোড়ার কাজ করনো যায় না।
#একটি দেশের রাজধানীর আভিজাত এলাকায়
ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম নেই।
নেই BMS (building management system ) প্রযুক্তির বিল্ডিং তৈরির বাধ্যবাধকতা ।
নেই সঠিক পরিকল্পনা মতো বিল্ডিং তৈরির অনুমতি
তারপর দেশের ফায়ার সার্ভিসের কাজে নিয়োজিত বাহিনীর নেই উন্নত ট্রেনিং, নেই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, নেই হাইস্পিড ওয়াটার থ্রো হেলিকাপ্টার।
সবচেয়ে অবাক করা কান্ড হলো আমরা দেখেছি ভবণে আটকা পড়া মানুষ গুলোর বাঁচার জন্য আকুতি কিন্তু তাদের উদ্ধার করার কোন সিস্টেমই নেই। অথচ তারা আবার বড় চাপাবাজি করে আমেরিকানরা সহ বিশ্ব নাকি তাদের অনুসরণ করে!
বিশ্বের যে কোন দেশের ফায়ার ডিফেন্সের কাছে প্যারসুট থাকে এবং আগুন লাগা বিল্ডিং এর নিচে বিশাল পাম্প করা বেড (জাম্প এয়ার বেড) থাকে যা মাটিতে বিছানোর সাথে সাথে হাওয়ায় পুলে উঠে যাতে সেখানে কেউ লাফ দিয়ে পড়লেও যেন গুরুতর আহত না হয়। কিন্তু স্বৈরাচারী কি উন্নয়ন করছে তা তো দেখলো জাতি।
আমাদের তো কথা ছিলো সাদা কাফনে আতর সুগন্ধি মেখে পরম যত্নে স্থায়ী নিবাসে যাবার, আমরা কেন অভিশপ্ত অগ্নিস্ফুলিঙ্গে চিতার আগুনে পুড়ে ছাঁঁই হচ্ছি। কি দোষ ছিলো আমাদের?
অভাগা জাতির কপালে স্বৈরাচার ঘাপটি মেরে বসে আছে, পদ্মাসেতু আর ২ চারটা উড়ালসেতুর তীর্যক ধ্বনি তুলে।
যেখানে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই সেখানে পদ্মাসেতু দিয়ে হবে?
স্বৈরাচারের পতন চাই, ন্যায় বিচারের বাংলাদেশ চাই।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৭