আচ্ছা একটা ব্যাপার আমার কাছে আজো ক্লিয়ার হয়না, শিক্ষক হিসাবে ওনার কাজ হইলো ছাত্র পড়ানো আর গবেষনা করা। কিন্তু উনি হইলো কয়েক দিন পর পর আন্দোলনের ডাক দেন। হদাই ফাঁপর, কেন বাবা, এতো খায়েস থাকলে পিএমকে বলেন আপনাকে শাবিপ্রবি এর ভিসি বানিয়ে দেয়া হোক, নাকি সেইটা হলেও হবে না
আমি বাজি ফেলে বলতে পারি, ওনার চেয়ে ভালো কোয়ালিটির সিএসই এর টিচার এই দেশে আরো একশ জন আছেন।
গবেষণার করার কোন নাম নাই, সারা দিন ধরে খালি আগডুম বাগডুম... আর আর আরসি ড্রন বানিয়ে উড়ান।
ছাত্ররা অন্যায় করছে, শাস্তির ব্যাপারে আবার না বলেন। কি চান নিজেই জানেন না, নাকি ভিসি কে বারে বারে বুঝিয়ে দিতে চান, আপনি ভিসি হইতে পারেন কিন্তু আমি ভার্সিটি কন্ট্রোল করি
আমি মনে করি আমাদের দেশে শিক্ষকদের গবেষণা বিমুখ হওয়ার পিছনে শুধু জবাবদিহিতা অভাব, ফান্ডের অভাব, যন্ত্রপাতির স্বল্পতা একমাত্র কারণ না। এখানে গবেষণা করার মানসিকতা থাকাটা একটা বড় বিষয়। কারণ বিদেশী কলাবরাশনে প্রকল্প লেখার কাজে কাউকে দেখি না তেমন আগ্রহী। ব্যতিক্রম যে নেই সেটা বলছি না, অনেকেই চেষ্টা করেন। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক কম। আমাদের পাশের দেশের শুধু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলছি না, এমনকি মফস্বলের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যেরকম গবেষণা করার স্পৃহা দেখা যায়, সেটা আমাদের দেশের শিক্ষকদের মাঝে দেখেছি অনুপস্থিত।
আমাদের দেশে শুধু রাজনীতি করেই বড় অবস্থানে যাওয়া যায়, সেখানে এই গবেষণার মতো খাটুনির কাজ করতে যাবে কে ? ভিসি তো যেকোন একটা দল থেকেই হবেন তাই না। খালি খালি গবেষণার সময় নষ্ট করার দরকার কি, এনজিও আছে, আর মিডিয়াতে মুখচেনা হলে আর কথাই নেই।
আমি বুঝি না, এই লোকরে পীর মানার কি আছে। ৭১ এর সালে ভার্সিটিতে পড়েও উনি যুদ্ধ করেন নাই। ওনার বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। কিন্তু এরকম অনেক পরিবার আছেন, তাদের বাবা মা সব ফেলে জীবন তুচ্ছ করে মুক্তিযুদ্ধ এ ঝাঁপিয়ে পরছেন। উদাহরণ চান, আমাদের বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নিজের স্ত্রী আর কন্যা কে ফেলে যুদ্ধে আসার জন্য নিজের জীবন বিলিউয়ে দিয়েছেন।
জাফর ইকবাল পদত্যাগ করার প্রায় হুমকি দেন। আবার কয়েক দিন পর তা প্ত্যাহার করেন। দেখি হিম্মত থাকলে পদত্যাগ করে দেখেন।
ওনার মুরিদদের এই ব্লগে গঠনমূলক আলোচনা করার জন্য স্বাগতম।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৮