মাফ করবেন!
সুইডেনের যেমন আছে সাহিত্যশিল্ল , ফ্রান্সদের যেমন আছে পুরানশিল্প,গ্রীকদের আছে সাম্রাজ্য শিল্প তেমনি বাঙালীদেরও একটা শিল্প আছে। আর সেটা হলো গালিশিল্প। গালাগালিকে আমরা প্রায় শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছি। কেউ ভালো করলেও গালি দেই, খারাপ করলেও দেই, ভালো হলেও গালি দেই, খারাপ হলেও গালি দেই, কেউ কিছু শুরু করলেও গালি দেই, বন্ধ করলেও দেই। গালি আর গালি।
কেউ যখন আমাদের কোন কাচা সিম দিয়ে গালি দিলো আমরা সরকারকে গালি দিলাম কেনো সরকার এইসব ঠিক করতে পারছেনা। আবার যখন অবৈধ সিম রেজিস্ট্রেশন এর জন্য তারানা হালিম যখন নতুন করে সিম নিবন্ধনের কথা বললেন আমরা গালি দিলাম শালির বেটির খাইয়া কোনো কাম নাই!
সরকার যখন সোসিয়াল সাইটগুলোর কাছে পাতিদের তথ্য চাইলো আর তারা সেটা নাকচ করলো আমরা তখন সরকারকে গালি দিলাম যে তথ্য দিয়া কি বা*টা করবো? তারপর যখন নাশকতা রোধে সরকার সাইটগুলো এক্সেস বন্ধ করলো আপনি ভিপিএন দিয়ে ঢুকেই সরকারকে গালি দিলেন সরকার বলদ!
জ্বি ভাই, আপনারা ঠিকই বলেছেন ফেসবুক অফ করলেই অপরাধ কমবে না। সেটা সরকারও জানে। অপরাধী অপরাধ করবেই। সেটা যেভাবেই হোক। ফেবু খোলা রাখলেও করবে, বন্ধ করলেও করবে। তাহলে বন্ধ করলো কেনো?
বন্ধ করলো আপনাদের জন্য। সোস্যিয়াল মিডিয়া বর্তমান যুগে একটা মতামত প্রকাশের বিশাল মাধ্যম। এখন সবাইকে কিছু বলতে হলে মাইক ভাড়া করতে হয় না, একটা পোষ্টই যথেষ্ট। আর সেই পোষ্ট পড়ে কিছু পাবলিক পালন করার জন্য অলওয়েজ রেডি। উদাহরণ হিসেবে শাহবাগের উত্থান ধরা যেতে পারে। এতবড় কিছু না হোক ছোট খাটো নাশকতাও যেনো না হতে পারে তাই সরকারের এই ব্যবস্থা।
আপনি ভিপিএন দিয়ে ঢুকে নিজেকে খুব রাজা ভাবছেন? কি মনে করেন আইসিটির লোকেরা ভিপিএন এর ব্যাপারে কিছু জানে না? ওরা জানে। কিন্তু এই অল্প কিছু মানুষে কিছু হয় না। পরিসংখ্যানের ভাষায় এটা সিষ্টেম লস।
সরকার যেটা চেয়েছে সেটা কিন্তু সফল। সরকারের চিন্তা আপামর জনতা (টোটাল সিষ্টেম) নিয়ে। সেটা কিন্তু এখনো কন্ট্রোলে আছে।
সোজা কথা, সমর্থকই যদি না থাকলো তাহলে পাতিদের দিয়ে কি হবে?