somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি সুরের জন্ম

২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমি থেমে থাকিনি কখনোই-
হয়ত বুনোফুলের মৌতাতে নিপুণ বুননে
গেঁথেছিলাম এক ঐশী ফাগুণরাত,
ভেসেছিলাম ঢেউয়ের সফেদ ফেনায়, ভোররাতে
টুপটাপ শিশিরের ঝরে পড়ায়, শুকনো
পাতার মর্মরে, প্রথম চুমুর লাজুকতায়
কিংবা
অতৃপ্ত আত্মাদের
প্রার্থনায় বারবার ফিরে আসায় ।

আমার পুরোটুকু তোমার অজানাই ছিল ভাবা যায়, তিনশ' মাইল
ড্রাইভ করে লাস ভেগাসে তিনরাতের
আবছায়া স্মৃতিকাতরতায়
অস্থির আঙ্গুলে রেডিওতে ক্রমাগত স্ক্যান করে
খুঁজে পাওয়া চ্যানেল নাইন্টি সেভেন পয়েন্ট থ্রি'র সাথে
গুণগুণ করে যখন সুর ভেঁজেছিলে,
"Stop! In the Name of Love,"
মিহিসুরে গেয়ে চলা
সেই একাকী গায়কের সাথে,
ভালবেসে যে নিজেই থেমে থাকেনি;
অথবা ফ্রাইডে নাইটে
প্রেয়সীর উচ্ছলতা থেকে
একটি একটি করে বুদবুদ কুড়িয়ে
যখন নীল বেগুনি সবুজের পটচিত্র আঁকো -

আমি ভেসে আসি ।

চন্দ্রালোকে ধীরপায়ে এগিয়ে আসা রমণীর সাথে,
কখনো দীর্ঘশ্বাসের সেতু থেকে
টুপটাপ
ঝরে পড়া
কান্নার বেনোজল
পাক খেয়ে
যখন অকপট সমুদ্রে ঠাই খুঁজে নেয়,
তাতে আমার উজ্জীবন ।

তারপর একদিন,
যেন হঠাৎ সূর্য এলো-
শহরের বুকজুড়ে কোলাহল, চলন্ত ট্র্যাফিক,
ভেঁপুর একটানা শব্দ, মুখর শিশুদের ছোটাছুটি,
রান্নাঘরের টুং টাং আটপৌরে অভ্যস্ততা আর
প্রান্তিক ঝাউবনে একঝাঁক প্রাজ্ঞ মুনিয়ার দমফোট আড্ডায়
মেঘের একটি দীর্ঘ সুতনুরেখার সাথে
আমি প্রসারিত হই,
বজ্রধ্বনি আর আর্তনাদে
একটি দরজা খুলে যায়;
অস্পষ্ট শ্রুতিতে আমি হুড়মুড় করে আসন নিই-
আজ তুমি আর আমি
মুখোমুখি হতে প্রস্তুত ।

আমরা জড়িয়েছিলাম, ছুঁয়ে ছিলাম-পরস্পর
চিরকাল, অথবা অনাদিকাল থেকে
তোমাকে জানার আগে কোন এক
প্রাক ভৈঁরোরাগে,
চাঁদের মৌনতা ছুঁয়ে,
তোমার অকৈতব চারপাশ জুড়ে
একটি বিন্দু হয়ে,
তোমার স্বপ্ন হয়ে,
সবসময় ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫২
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×