১৯৯৮ সালের দিকে কিভাবে যেন হিন্দী ছবির নায়িকা কাজলের ক্রেজি ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময়ে কাজলের প্রায় সব গান সংগ্রহ করে রেখেছিলাম। দেখতে দেখতে কাজলরে প্রায় সব ধরনের এক্সপ্রেশন মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল। তারপর কিভাবে কিভাবে যেন সব ভুলে গেলাম। সদ্য কৈশোর পেরুনো মনের ক্রেজি প্রেম কোথায় কখন হারিয়ে গেল তা বুঝতেও পারিনি।
২০০৬ সালে বিয়ের পরে বউয়ের প্রেমে পড়লাম। যাকে বলে হাবুডুবু ক্রেজী প্রেম। তিন বাচ্চার বাপ হওয়ার পরেও সেই প্রেমটা এখনো সমান তালে চলছে।
আজ ফেসবুকে শেয়ার দেওয়া কাজলের একটা পুরানো গানের ভিডিও দেখে একেবারে তাজ্জব বনে গেলাম! আমার বউটা দেখতে যে একেবারে কাজলের মতোই !! এতদিনেও ব্যপারটা খেয়াল করলাম না! আসলে আমারও দোষ নাই, কারন কাজলের চেহারাটাই যে মন থেকে একেবারে হারিয়ে গিয়েছিলো!
যাই হোক, আমার কাজল বউ এখন বিছানা গুছিয়ে, মশারী টানিয়ে শুয়ে শুয়ে সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা বই পড়তেছে।
জীবনটাই পদ্যময় হয়ে উঠে যখন এই শীতে ঘুমানোর সময়ে বিছানা তৈরী পাওয়া যায় :
পূর্বকথাঃ কাজল কাহিনী
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৩২