আমি না দেখলেও শহরের কেঊ কেউ তোমাকে দেখে।
তোমার আঁচল ওড়ে বৈশাখী হাওয়ায়
তোমার মুখের ভঙিমা
তুলির আঁচড়ে পায় প্রাণ
ক্যানভাসে কারো-
তোমার চঞ্চল পদশব্দে
মুগ্ধ দৃষ্টি গাঢ় হয়
বিস্মিত, হতবাক যুবকের।
কে বলে তুমি নেই?
আমি না শুনলেও শহরের কেউ কেউ
তোমার উচ্ছসিত শব্দমালা শোনে।
তোমার প্রাণোচ্ছল হাসির শব্দে
পর্বত শৃঙ্গ জুড়ে জলপ্রপাতেরা জড়ো হয়-
তোমার কন্ঠধ্বনির সাথে
পাল্লা দিয়ে হেরে যায় অনর্গল
ডাকতে থাকা
পাখির কূজন।
আমি না জানলেও শহরের কেউ কেউ জানে
তোমার পথের শেষে রয়ে যায় আরো পথ
তোমার অপেক্ষা শেষে
আর কোন অপেক্ষা থাকেনা
অতৃপ্ত পৃথিবীর।
কী দ্রোহে অটল আজ দীর্ঘ দিবস
কী দাহ, কী প্রেমে মগ্ন আজ
দীর্ঘ রজনী-
একটি বিবাগী মানুষ জেনে নেয় দূর থেকে
তৃষ্ণার মরু বুকে।
কে বলে তুমি নেই?
কে বলে শহর লুকায়
তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে
নিত্য পরবাসে?
আমি না জানলেও
রাত্রির জেগে থাকা নিঃসঙ্গ জোনাকীরা জানে
কী ঝরে তোমার বারান্দায়
বেদনার্ত কার্ণিশে-
এমন বৃষ্টির এক সারারাত !
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




