সারা ফেইসবুক জুড়ে ছোট্ট টাইগারদের বিশ্বকাপ জয়ের গৌরবগাঁথা।
*
একেকটা উচ্ছাসময় স্ট্যাটাস পড়ি আর নিজেকে ধিক্কার দিই, ছিঃ, বিশ্বাস এত নড়বড়ে! ৬৫ রানে যখন ৪র্থ উইকেটের পতন হলো, তারপর আর কখনো মনেই হয়নি আমরা জিততে পারি। একবার যাওবা একটু মনে হতে শুরু হয়েছিল, হয়তো জিততেও পারি, ঠিক তখনই বৃষ্টি নেমে যেন সেই ছিটেফোঁটা আত্মবিশ্বাসটুকুও ধুয়ে দিলো। যাহ, সব এই বুঝি সব শেষ হয়ে গেল!
*
একেকবার বিশ্বজয়ের কথা মনে হয়, আর লজ্জায় মাথা হেট হয়ে আসে। কারণ, আমাদের দল সেমিফাইনালে যাবার আগ পর্যন্ত আমি পুরো টুর্নামেন্টের কোন খবরই রাখিনি! আমরা সেমিফাইনালে উঠেছি শুনে খবর রাখা শুরু করেছি। জেনেছি কোন দেশে হচ্ছে বিশ্বকাপটি। কারা কারা সাবেক চ্যাম্পিয়ন, কারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন!
*
একেকজন বিশ্বজয়ীর ছবি দেখি আর নিজে নিজে সঙ্কচে পড়ে যাই, এই ছেলেটারও তো নাম জানিনা। আসলে এই দলের কারো নামই জানিনা। সত্যি বলতে, ফাইনাল খেলা দেখার সুবাদে দুয়েক জনের নাম জানলাম, তাও এই মুহূর্তে আকবর আলি ছাড়া আর কারো নাম মনে করতে পারছি না। শুধু কোচ সাহেবকে দেখে মনে হয়েছে ভদ্রলোকের চেহারার সাথে 'কিংবদন্তি' জনি সিন্সের চেহারার একটা বিশেষ মিল আছে!
***
বাংলা সিনেমার সেই ভাইটির মতন অবস্থা। গরিব বলে এতদিন কোন খোঁজ নিইনি। আজ সে বিশ্বজয় করে এসেছে বলে, 'ভাই' বলে বুকে টেনে নিচ্ছি!
আজ সে বড়লোক, আমি গরিব।
কিন্তু, গরীব বলে কি গর্বিত হতে নেই? জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, আনন্দের সীমাবদ্ধতা থাকবে কেন?
*
ক্রিকেট দলের পাশাপাশি সেই ভাই-বোনদেরকেও অভিনন্দন, যারা সেমিফাইনালের আগে থেকেই দলটির খোঁজ-খবর রেখেছেন, নামে অথবা চেহারায় কেবল কোচকে নয়, দলের বেশীরভাগ উদীয়মান খেলোয়াড়কেই চিনতেন, পাশে থেকেছেন।
কারণ, আপনারা পাশে থেকেছেন বলেই ওরা আজ সুযোগমত আমার মতন অর্বাচীনকেও চিনিয়ে ছাড়লো, ওরা কারা।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৩১