মানুষের প্রেম যখন নতুন থাকে তখন সব কিছুতেই কত উত্তেজনা! 'কচুর লতি দিয়ে ভাত খেলাম' এই বিষয়ের উপর ঘন্টা খানেক ফোনালাপ করা যায়। নতুন বউ ভাত রান্না করতে গিয়ে পুড়িয়ে ফেললে সেটা হয়ে যায় 'স্মোকি ফ্লেভার্ড রাইস'; পুড়ে কালো হওয়া ভাত হয়ে যায় এক নতুন ধরনের 'ব্ল্যাক পার্ল রাইস'! নতুন জামাই নাক ডেকে ঘুমালে সেটার মধ্যেও নাকি একটা 'রিদম' খুঁজে পাওয়া যায়, ল্যাটিন ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের মতন!
এটা আসলে প্রেমের গুণ, পাত্র-পাত্রীর গুণ নাকি আমাদের উত্তেজনার গুণ?
আমি জানি না।
প্রথম বাচ্চার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। একবার একটু ঠোট বাকা করা মাত্রই পাঁচজন ছুটে আসে সেবা করার জন্য। শীতকালে হিসু করে বড়দের কাপড় ভিজিয়ে দেয়ার পরও বড়রা সেটারও ইতিবাচক দিক খুঁজে পান--শীতকালেও বাবু কিন্তু গরম হিসুই করে! যেন তাবৎ দুনিয়ার বাকি সবার হিসু ঠান্ডা!
এটা আসলে বাচ্চার গুণ, বাচ্চার আত্মীয়-স্বজনের গুণ, নাকি আমাদের উত্তেজনার গুণ?
আমি জানি না।
প্রথম যখন দেশে করোনা আসলো, আমাদের সে কি উত্তেজনা! একটা রোগী পাওয়ামাত্র পুরো শিবচর লকড ডাউন! মিরপুরে একজন করোনা রোগী পাওয়া গেছে, পুরো মিরপুর লকড ডাউন! পুরো বাসাবো লকড ডাউন! পুরো নারায়ণগঞ্জ লকড ডাউন!
অথচ এখন অনেক অফিসেও দু'একজন করে করোনা রোগী সনাক্ত হচ্ছে। সহকর্মীর চেয়ারটি একপাশে সরিয়ে রেখে সেই একই কক্ষে বাকিরা কাজ করে যাচ্ছ সারাদিন। কোন হইচই নেই।
এটা আসলে কার গুণ? কর্মীর গুণ, নাকি করোনার গুণ, নাকি উত্তেজনার গুণ, কে জানে।
আমি জানিনা।
অন্য কেউ হয়তো জানে। অন্য কেউ জানে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৫