এমনিতে আমাদের কারোরই করোনার তেমন কোন উপসর্গ ছিলো না। কিন্তু সারাদিন একসাথে ওঠাবসা করা দুই-তিন জন ব্যাক্তির করোনা সনাক্ত হওয়ায় থেকে থেকে একটা আশঙ্কা উকি দিত সবার মনে।
সেই আশঙ্কা থেকেই টেস্ট করানো।
অফিসের ১৫ জন আমরা একসাথে টেস্ট করালাম সপ্তাহ খানেক আগে। সেই ১৫ জনের মধ্যে তরুণ ছিলো, যুবক ছিলো; নারী ছিলো, পুরুষ ছিলো।
ইতিমধ্যে টেস্টের রেজাল্টও পেয়ে গেছি। আপনাদের দোয়ায় সবাই 'নেগেটিভ'।
১৫ জন একসাথে টেস্ট করিয়ে ১৫ জনই নেগেটিভ। হতেই পারে। তারপরও মনে মনে একটা 'কিন্তু' রয়েই যায়।
উপরন্তু সেই টেস্ট রিপোর্টে ১৫ জনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকেরই নামের বানান ভুল। সেটাও নাহয় হলো।
কয়েকজনের বয়স ভুল, মোবাইল নাম্বার ভুল। তাও নাহয় মেনে নিলাম।
তাই বলে এক আপার 'লিঙ্গ' ভুল!
এই নির্মম পরিহাসের কথা ভার্সিটির এক বন্ধুকে বলছিলাম। বন্ধুটি আমাকে উল্টো শুনিয়ে দিলো এক কঠিন বাস্তবতার কথা। বললো, এটাও মেনে নাও।
থাইল্যান্ড ফেরত সেই বন্ধু তার শ্যামদেশের অভিজ্ঞতা থেকে আমাকে বললো, দেখতে সুদর্শন সেই দেশের পুরুষটি নাকি, 'পুরুষ' না-ও হতে পারে; আবার দেখতে অবিকল নারীটি নাকি, সে দেশে 'নারী' না-ও হতে পারে! সে দেশ নাকি এক আজব দেশ।
আমি কখনো শ্যামদেশ দেখিনি। আমি কেবল বঙ্গদেশ দেখেছি।
ইহাও একটি আজব দেশ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:২৩