বিষন্ন হয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম এই শহুরে জঞ্জালে
ক্লান্ত-ঘর্মাক্ত-বিরক্তির এক শেষে
চোখ যাচ্ছিল হাতের স্বস্তা ঘড়ির কাঁটার দিকে
টিক টিক করে বলে দিচ্ছিল-আমার সময় যে বড় কম
কিন্তু অসহনীয় এই কম সময় নিয়ে
দৌড়ে চলেছি আমি।
হাঁটতে হাঁটতে এসে পড়লাম সেখানে-
যেখানে আমার জন্য কারও জীবন-মৃত্যুর
প্রশ্ন ঝুলে রয়েছে। তীব্র নিন্দা চোখে নিয়ে
দাঁড়িয়ে আছে এক ষোড়শী আর তার মা।
ষোড়শীর ফর্সা গালে রাগের লালচে আভা-
আমার মতো নোংরা প্রাণীর অস্তিত্বকে
অস্বীকার করতে না পাড়ার তীব্র আক্ষেপ।
আরও রয়েছে পকেটে হাঁত গুঁজে হেঁটে চলা এক লোক
যে আমার পূর্বের সমস্ত রোগের-বীর্যের
হিসাব চাইছে বারবার।
"শেষ রক্ত কবে দিছিলি" হুংকার করে ওঠে সে লোকটি
আমি বলি- এই মাস তিনেক হবে স্যার!
নেশা করিস..?
রোগ বালাই কিছু নাইতো..? এইডস বা আর কিছু?
স্যার টেষ্ট করে নেন.. বলি আমি...
তারপর আবারও অপেক্ষা-
এর মধ্যেই হাত থেকে রক্ত ঝরে কয়েকবার
উফ-মা.. এইটুকুই..
রক্তগুলো চলে যায় অন্য কারো কাছে
রক্তের হিসেব করে বাংলাদেশ ব্যাঙকের কিছু নোট!
তারপর একটা ফ্রুটো আর কিছু টাকা..
মাথা ঘুরে ওঠে, রাস্তার পাশে বসে পড়ি
দিন পনেরো আগের শরীর থেকে চলে যাওয়া রক্তগুলো
হিসাব চাইছে বারবার!
কিন্তু সময় নেই যে আমার।
আমার রক্তের টাকায় যোগাতে হবে
অন্য কারও জীবন বাঁচানোর জন্য কিছু ওষুধ!
কিছু খাবার আর কিছু নেশা..