খবর
আটক সন্দেহভাজনদের গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা যাবে না
সন্দেহ করে গ্রেপ্তার বা সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা কোন ব্যক্তিকে গণমাধ্যমের সামনে হাজির না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নির্দেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আজ বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানির পর এ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল ও জারি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক,র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সামহয়ারে গত ২৫ অক্টোবর আমি লিখেছিলাম
আমার কাছে খবরটা বড় নয় বড় হচ্ছে এই ছবিটা।
এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এখনো অভিযোগটির সত্যতা নির্ণয় করা হয়নি। তাছাড়া এই ধরণের অভিযুক্তদের কোন কথা জনগণ জানতে পারে না। জানতে পারে এক তরফাভাবে পুলিশের কথা। পুলিশ এক তরফাভাবে বলেই যায় অভিযুক্তদের দুষ্কর্মের কথা। এ কেমন ধরণের চরিত্র হরণ? কেউ কি ভেবে দেখেছেন এদের সন্তানরা কিভাবে সমাজে মুখ দেখাবে? এদের আত্মীয় স্বজন হয়তো এদের উন্নত চরিত্র নিয়ে গর্ব করতো! হয়তো পুলিশের সকল অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হতে পারে! কিন্তু এই যে অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার আগেই বুকে অপরাধির পট্টি লাগিয়ে ছবি তোলা এবং তা মিডিয়ায় প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত? বিনা প্রমাণে, অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পূর্বে এই চরিত্র হরণের জন্য পুলিশ যে অপরাধের কাজটি করলো, এর বিচার কে করবে?

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


