শেয়ার মার্কেটের মতো ড.ইউনুসের ভাবমূর্তির ব্যারোমিটার দ্রুত উঠানামা করছে । তহবিল সরানো নিয়ে উথ্থাপিত অভিযোগ নিয়ে একরকম আপোসরফা হয়েছে । ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহনের বক্তব্য অস্বীকৃত হলেও আমাদের প্রধানমন্তীর আলোচিত বক্তব্য বহাল রয়েছে ।
মূলত ইউনুসের বিরুদ্ধে সমালোচনা দুর্নীতি বিষয়ক নয় । দারিদ্র দূরীকরণের তকমা ঝুলানো মাইক্রো ফাইন্যান্স যে দারিদ্র দূর করে না সে বিষয়ে এম এম আকাশের মতো দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞগণই তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলছেন ।বদরুদ্দীন উমরের মতো সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী তাত্ত্বিকগণই ইউনুসের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন ।
আমার বক্তব্য ভিন্নতর । প্রথমত তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠান গ্রামীন ব্যাংক যে মাইক্রো ক্রেডিটের জন্য নোবেল পেয়েছেন তার মূল উদগাতা কিন্তু তিনি নিজে কিংবা তার প্রতিষ্ঠান নন । এর মূল উদগাতা হচ্ছে কুমিল্লা বার্ড এবং এর প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খান । সত্তরের দশকে অনুষ্ঠিত বার্ডের বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও ওয়ার্কশপে ড ইউনুস একজন ডেলিগেট ছিলেন । ষাট দশক থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশে দেশে পুন্জিভূত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সম্ভাবনার উত্তালে বার্ডের এ আবিস্কার কাজে লাগানো যায় নি । রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের পতনের পর পুঁজিবাদের মোড়লরা তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্র পীড়িত মানুষগুলোকে ঘুম পাড়ানোর জন্য মাইক্রো ক্রেডিট বটিকা নরবরাহ করে । ইউনুস হচ্ছে পুঁজিবাদীদের ক্রীড়নক । তিনি মানুষের দোরগোড়ায় পুঁিজবাদকে পৌঁছে দিয়েছেন । তিনি পুঁজিবাদের আকর্ষনীয় ফেরিওয়ালা । তাঁর কথা তাই ক্লিনটন তাঁর প্রেসিডেন্সিয়াল বক্তৃতায় উল্লেখ করেন , হিলারী তাঁর হাত ধরে বেলে ড্যান্স দেন ।
তিনি রক্ত চোষা টেলিনরকে এনে বাংলাদেশের রেমিট্যান্সের টাকা সাইফুন করে বিদেশে পাঠিয়েছেন । বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের কষ্টার্জিত টাকা তাঁদের পরিবারের সদস্যদেরকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং করে পল্লীফোনের মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়েছেন ।গ্রামীন ফোনের যন্তপাতি ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইনভয়েস করে এবং কর্মরত বিদেশি এক্সপার্টদের ওয়ার্কপারমিট না নিয়ে ও ট্যাক্স না দিয়ে অর্থ পাচার করা হয়েছে । তাঁর এহেন বদান্যতার ফল হলো টেলিনরের মধ্যস্থতায তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন । তাঁর এ পুরস্কার মূলত একটি সাম্রাজ্যবাদী প্রযোজনা ।
তাঁর সামাজিক ব্যবসা একটি স্টান্টবাজি । এ বিষয়ে পরে লিখব ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩