somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অাশরাফুল ইসলাম নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদের একটি উদাহরণ

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


দেশের স্বাধীনতার জন্য একাত্তরের রণাঙ্গনের বীর ; মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ৭৫ এর পর অাবার অনেকটা সময়কাল ধরে নিস্তব্ধ। পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচিত হয়ে ১৯৯৬ সাল থেকে পূনরায় দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় হলেও এ প্রজন্মের সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরিচিত হন এক এগারোর প্রেক্ষাপটে।

দেশের গণতান্ত্রিক ধারা তখন এক সংকটময় মুহর্তে। তৃতীয় শক্তির উত্থানে দেশে চলছে মাইনাস্ টু ফর্মুলা। অাওয়ামীলীগের ক্রান্তিলগ্ন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক অাব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। তৃতীয় শক্তির অপরাজনৈতিক কৌশল দলীয় সংস্কার প্রশ্নে খন্ডিত হয় দলের নেতৃত্ব। দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নির্দেশে ঠিক সেই সময়েই দলের যুগ্ম সম্পাদক অাশরাফুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে দলের হাল ধরেন। কঠিন সেই মুহর্তে অার বেগ পেতে হয়নি অাওয়ামীলীগের। সেই দুর্যোগ মুহূর্তে আওয়ামী লীগের হারানো শক্তি ফিরিয়ে আনেতে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসাধারণ ভূমিকা সর্বদলীয় প্রশংসিত। এখান থেকেই নিবেদিত প্রাণ বিচক্ষন রাজনীতিবিদ হিসেবে অালোচনায় অাসেন তিনি।

বলিষ্ট নেতৃত্বই তার প্রতি জানার অাগ্রহকে তরান্বিত করে। জানতেপারি,রাজনৈতিক পরিবারে জন্মনেয়া সৈয়দ অাশরাফ শৈশব থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে তিনি ।
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে সৈয়দ অাশরাফ ছিলেন বীর যোদ্ধা। মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষক জেনারেল উবান তার লেখাতে বলেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধে নিবেদিতপ্রাণ যোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রেসিডেন্টের ছেলে হয়েও সাধারণ যোদ্ধাদের মতোই যুদ্ধ করেছিল নির্লোভ অাশরাফ।
৭৫ এর পটপরিবর্তনে জেলহত্যা ঘটনায় নজরুল ইসলামের মৃত্যুর পর বিদেশে চলে যান সৈয়দ অাশরাফুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কণ্যা শেখ হাসিনার ডাকে দেশে এসে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে পার্লামেন্ট মেম্বার হন। সেই থেকে প্রতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অামৃত্যু পার্লামেন্ট সদস্য ছিলেন।


একটি কথা না বললেই নয়।২০১৩ সালের ৫ মে। হেফাজতে ইসলামীর ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচীতে বিএনপি-জামাতের ধংসাত্মক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বিগ্ন গোটা দেশ। সেই সন্ধ্যায় তিনি ছিলেন সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক। সবাই তখন টিভি পর্দার দিকে তাকিয়ে সরকার থেকে কি ঘোষনা অাসে। মিডিয়ার সামনে আসেন অাশরাফুল। তার আশ-পাশে থাকা নেতাদের মুখমণ্ডল শুকনো ও বিষন্ন দেখালেও তিনি ছিলেন প্রাণবন্ত। সাংবাদিকদের ক্যামেরায় অাশরাফুল বলেন, ‘আমাদের সরলতাকে দুর্বলতা ভাববেন না। রাতের মধ্যেই আপনারা ঘরে ফিরে যাবেন। তার এই বাক্যটি ছিলো কঠোর হুসিয়ারি,তা অার কারো বোঝার বাকি ছিলনা। কিন্তু হেফাজতে ইসলাম বিএনপি জামায়াতের রাজনৈতিক ফাঁদে পরে ঢাকা না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে স্মরণকালের সফল অপারেশনে হেফাজতে ইসলামের সদস্যরা বাধ্য হন ঢাকা ছাড়তে। অামার মতে এটা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রাজনৈতিক বিচক্ষণতার একটি দারুন উদাহরণ। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দৃঢ়তায় ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিচক্ষণতায় বাংলাদেশ সেই বৈরি পরিবেশ কাটিয়ে ওঠে।


এছাড়াও ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও অাশরাফুল ইসলাম লোভহীন জীবন যাপন বর্তমান রাজনীতিতে খুবই বিরল। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের রাজনৈতিক বিচক্ষণতা প্রশংসিত প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে। ভদ্র ও মার্জিত ভাষায় রাজনৈতীক মোকাবেলা করায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কাছেও তিনি প্রশংসিত। অামি মনে করি, অাশরাফুল ইসলাম ভালো রাজনীতি বিদের একটি উদাহরণ। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদকে হারালো। ##
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×