কুইনবরায় ইষৎ যে ট্রেনটি থেমে মন্থর আর বিবাগী
চলনে শেফি দ্বীপের দিকে চলতে থাকে, তার মাত্র দু’টি কামরার একটিতে আমি কাফকার সাথে বিষাদ গিলছিলাম;
গ্রাম্য এক বুনো তরুনী বিপরীত আসনে পা তুলে আমাদের থেকে তফাত করছিল তার স্কার্টে লেগে থাকা সদ্য সুখ-
আমি যেন এই আশা পেয়েছি এভাবেই কাফকা’কে আক্রমন করার ভঙ্গীতে ইঙ্গীতে ভ্রু কুচকালাম;
কাফকা তখন আমাকে উমর খৈয়াম শুনাচ্ছিল-
মনোযোগ বাধা পডতেই সে আমাকে ধমকের স্বরে একটা হিব্রু গালি দিয়ে আবারও কেন্দ্রীভূত হলো রুবাইয়্যতে।
আর আমি তরুনীটির অনাবৃত উরতে যে অস্পষ্ট লাল রেশম তার স্বেদে এ্যাক্রেলিক লাগিয়ে মনেট’কে জপলাম;
যদিও আমি জানি দুই মহারথী একত্রে জল খায় না একঘাটে কোনদিন-
তবুও আমার কাছে কাফকা অস্পষ্ট হয়ে ক্লদ মনেটের ঘাষরঙা তুলি অন্য আর এক সাকোয় পানাফুল হয়ে উঠলো;
অস্পষ্ট সবুজ- যেন মনেট ঋজু হয়ে তরুনীর নগ্ন পায়ে সমবেদনার উল্কি আকছে!
গন্তব্যে পৌছুনোর যান্ত্রিক ঘোষনা আসা না পর্যন্ত দুই কামুক লেহনে ভেজা তরুনীটি
কাফকার বিষাদ-ব্যাগের নিদিষ্ট পকেটে ঢুকে নেমে পডলে,
আমরা দু’ স্তবক ভাবলাম: বিষাদ সব সুখ কেডে নেয় মনান্তরে।
১১.০১.২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৯