তুমি কবিতা চেয়েছো যখন আমি মধ্যবয়সে জবুথুবু
হয়ে বাইফোকাল মুছছি চাদরে আর, সন্ধ্যা হলেই
মাংকি-টুপিটি পরে নেমে পড়ি জলশহরের চাতালে।
তুমি কবিতা চেয়েছ দীর্ঘনিদ্রারত এক সরিসৃপের অন্তরে,
যে ঘুমিয়েও স্বাপ্নিক, গর্তের বরেগায় উষ্ণতার পাপ এনে
নিয়ত রত রয় নিরবতায়-
তুমি আশা করেছ গোপনে সেই একুশের উচ্ছ্বলতায়
মেপে মেপে ফেনা উপচানো ক্যাপাচিনোর মাস্তুলে;
যখন লোডশেডিং এর অন্ধকারে আমি মৃদ্যু আলোর
আনুভূমিক টর্চ জ্বেলে পা ফেলেছি সঙ্গোপনে!
একটা সময় ছিল, আমি দাড়িয়ে অথবা বসে, হেটে
আর থেমে কবিতা লিখতাম অনর্গল;
একটা সময় ছিল যখন ছিল কবিতার সময়;
একটা সময়ের পুরোটা আমি কখনও সূর্য্যদয় দেখিনি
সেই সময়ের সবটা আমি কাটিয়েছি প্রেমে এবং
পংতিতে!
আমি তাই কবিতাকে সম্মোহিত সময়ের জবান বলে ভেবে নিই
তারপর কবিতাকে পাথরকুচি ফুলের তিনটি শেকড়ের
সাথে মণ্ত্রপূত করে স্বেচ্ছায় হাতে তুলে নিয়েছি
স্মার্টফোন।
তুমি এমন সময় কবিতা চেয়েছ যখন আমি ফেসবুক স্টাটাস লিখি, কবিতা নয়!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮