তোমাকে কিছু বলি-
তোমার চমকে উঠা চিবুকের ভাজে কিছু নি:শ্বাস গুজে
দিই। কূয়াশায় অন্ধ হওয়া আমার চক্ষুদ্বয়ের ইশারায় নম্র দু’টি সূর্য একে
ছুড়ে দিই তোমার দুই কুন্তলপাশে দিকবিদিক!
বিরান মালভূমির ছালবাকলহীন বসতীর অনুচ্চ পল্লবিত ছায়াকুন্জে
তোমার জন্যে শুধু একটি ঘাষফুল ফুটে আছে।
আমি ভালোবাসাবাসির সেই ফিসফিসানির দূরাগত স্বত্তা হয়ে
না হয় আবারও বের হবো ঘ্রাণাস্ত্রের কৌশলে।
মানুষ ফুটে ফুটে ঝরে যায়।
তোমার মতো বনস্পতি কদাচিৎ ঝরে ঝরে ফুটে রয়।
সবুজে, তরুলতায়, শুষ্ক এবং মরুৎ মরিচিকায়।
মানুষের সাথে আমি তোমাকে কখনও ভাবিনি বলেই
তোমার অস্তিত্বের কর্পূর এতটা সৌভিক।
মানুষের চোখে আমি তোমাকে দিখিনি কোনদিন তাই,
কুয়াশায়ও অন্ধ হয়ে উঠে আমার পরাজিত চক্ষুদ্বয়।
তোমাকে কিছু বলি-
আমার হৃদ-কৌটার গোপন খবর।
দেখা না দেখার অশাররীক আয়োজনের লিখিত রুটিন।
বন্ধ বসতীর একমাত্র প্রবেশ পথের নির্দেশ।
অথচ কিছু বলা হয় না আমার-
একাদশীর অনুজ্জ্বল আলোয় তোমার অনামিকা জ্বলে উঠে দূর্নিবার।
স্বান্তনার মতো অন্ধকারে একটি ম্যাগপাই তিরোহিত হয় শুধু।
বাকলহীন বসতী জুড়ে তখনও স্বপ্নবিহার।
০২।০২।২০২০
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫