ঘটনার শুরু বহুদিন আগে।সাম্প্রতিককালের ঘটনা হল বুয়েট শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এই সপ্তাহ শিক্ষকরা প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে কর্মবিরত (সকাল ১১টা থেকে ১ টা) পালন করার সিদ্ধান্ত নেন।আর দাবি না মানলে পরবর্তি সপ্তাহে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন ,লিফলেটের মাধ্যমে এমনটাই আমরা জানতে পেরেছিলাম।তবে ২ দিনের মধ্যে ঘটনা নাটকীয় মোড় নিল।এ নোট লিখার উদ্দেশ্য আসলে কোন প্রচার,কোন সত্য প্রকাশ নয়,নিছক ব্যাক্তিগত স্মৃতি গুলোকে ধরে রাখার একটা প্রয়াস মাত্র।
০৯ জুলাই,২০১২ সোমবার…দুপুর ১ টা
আমাদের বায়োমেডিকেল ক্লাশটেস্ট হওয়ার কথা ১টায়।এ কোর্সটি নেন আবার শিক্ষক সমিতির অন্যতম সক্রিয় সদস্য, জনকণ্ঠ পত্রিকা সৃষ্ট হিজবুত তাহরীর নেতা (তওবা তওবা) ডঃমাকসুদ হেলালী।এ ব্যাপারে আমার ব্যাক্তিগত আক্রোশ ছিল কেন তিনি এই আন্দোলনের সময় আবার ক্লাশটেস্ট নিতে গেলেন।যাই হোক আমাদের মেকানিকেলের ক্লাশটেস্ট নেওয়া হয় মেইনলি ৪০৩ আর ৪০৪ নম্বর রুমে।একই সময় দুই ব্যাচের পরীক্ষা হলে আবার ঝামেলা হয়ে যায়।সাধারণত সিনিয়র স্যারের ব্যাচটি আগে টেস্ট দেওয়ার সুযোগ পেয়ে যায়।এ দিনও আমাদের ক্লাশটেস্টের সাথে শিডিউল মিলে যায় থার্ড ইয়ারের মেশিন ডিজাইন এর সাথে যেটা নেন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়রমোস্ট স্যার ডঃঅমলেশ (আমরা হলাম ফোর্থ ইয়ার,র্যা গ ব্যাচ)।তথাপি দেখলাম আমাদেরই সুযোগ দেয়া হল আগে টেস্ট দেয়ার।যাই হোক ৪০৩ নম্বরে রুম থেকে মামুন স্যার আবার আমাদের ৪০৪ এ যেতে বললেন,ক্লাশটেস্ট নাকি হবে আধাঘন্টা পরে।
৪০৪ নম্বরে গিয়ে দেখি ডিপার্টমেন্টের সব সিনিয়র স্যাররা সামনে আমাদের দিকে মুখ করে বসে আছেন আর মাগলুব স্যার মাইকে কথা বলছেন।রুমে বেশিরভাগই ফোর্থ ইয়ারের পোলাপান,তবে অন্য ব্যাচের অল্প কিছু পোলাপানও ছিল।বুঝলাম আন্দোলনের ব্যাপারে কিছু একটা বলবেন।তারপর স্যাররা যেটা বললেন স্যাররা কখোনই চাননি ছাত্রদেরকে এরসাথে জড়াতে,কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আশ্বাসের পর প্রায় দুই মাস চলে গেলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা আবারো আন্দোলন শুরু করতে চান,সাথে এবার প্রথমবারের মত ছাত্রদেরো সমর্থন ও অংশগ্রহনের আহবান জানাচ্ছেন।
তাঁরা বলেন যারা স্বেচ্ছায় এই আন্দোলনে আসতে চায় তারাই যেন আসে,কারও যদি দ্বিমত থাকে তাহলে সে না আসতেই পারে ,এ ব্যাপারে কোন জোরাজুরি যেন কোথাও না করা হয়।এতদিন এটা শুধু স্যারদের আন্দোলন থাকায় সাধারন ছাত্ররা ইচ্ছে থাকলেও স্যারদের মানার কারনে অংশগ্রহন করে নি,এরকম আহবানে তাই সবার মধ্যেই প্রাণচাঞ্চল্য দেখা যায়। সুযোগ দেয়া হলে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করে স্যারদেরকে,এটা হলে কি করবে,ওটা হলে কি করবে ইত্যাদি।যাই হোক স্যাররা আমাদের মঙ্গলবারের মানববন্ধন ও মৌন মিছিলে আসার আহবান জানিয়ে মিটিং সমাপ্ত করেন।
(হেলালী স্যারকে বলে টলে আমরা আর সেদিন ক্লাশটেস্টটি দেই নি…)
১০ জুলাই ২০১২ মঙ্গলবার ,১টা
আমি ক্লাশ ছাড়া ক্যাম্পাসে সাধারণত বেশিক্ষন থাকি না,আমার পরিচিত মহলও কম।ঐদিন আমি ভুলেই যাই মানববন্ধনের কথা, আর কেউ আমাকে ফোন করে নিয়েও যায় নি।কিন্তু শুনেছি বেশ ভাল সমাগম হয়েছে,অনেকেই অংশগ্রহন করেছে।
১০ জুলাই ২০১২ মঙ্গলবার ,রাত ১০টা
ডাইনিং থেকে বের হয়েই নোটিশ বোর্ডে তাকিয়ে ৪৪ দিনের বন্ধের নোটিশ দেখে টাশকি খেয়ে যাই। এ ধরনের বন্ধের নোটিশ পেলে সাধারণত প্রাথমিকভাবে ব্যাপক খুশি হয় ছাত্ররা,বিশেষ করে জুনিয়র লেভেলের ছাত্ররা।তবে এবার প্রতিক্রিয়া হল অনেকটাই মিশ্র,ঘটনার আকষ্মিকতায় অনেকেই কিছু বুঝে উঠছে না।অনেক জুনিয়ররাই আমাদের বলছে,ভাই আপনারা কিছু করবেন না?আমাদের ফেসবুক গ্রুপে (লুব্ধক ০৭) একের পর এক পোস্ট আসতে থাকে।বেশিরভাগই মাঠে নামতে চায়,অনেকে আবার হল ভ্যাকেন্টের আশংকায় শংকিত,হল ভ্যাকেন্ট হলে তো টিউশনিটাও করা যাবে না।যাই হোক রাজ্জাক স্যারের ফেসবুক পেইজ থেকে জানতে পারলাম শিক্ষক সমিতি আন্দোলন অব্যাহত রাখবে ,বুধবারের কর্মসূচি বহাল,সবাইকে অংশগ্রহনের আহবান জানানো হচ্ছে।র্যা গ ব্যাচের ডিসিশন হল সকাল ৭ টা থেকে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেব আমরা।এর মধ্যে আবার শিক্ষা শান্তি প্রগতি ,ছাত্রলীগের মূলনীতি…শিক্ষক সমিতি নিপাত যাক,হিজবুত তাহরীর ,জামাত নিপাত যাক ইত্যাদি স্লোগানে পঞ্চাশ জনের একটা মিছিলও হয়ে গেল ১২ টার দিকে ।
১১ জুলাই ২০১২ বুধবার,সকাল সাড়ে ১১ টা
শতাধিক শিক্ষক শিক্ষিকা ও সহস্রাধিক ছাত্রছাত্রীদের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহনে মিছিল হয়ে গেল,বলা বাহুল্য এটা ছিল মৌন মিছিল,মিটিং এ মুহুর্মুহু করতালি ছিল,কিন্তু ছিল না কোন স্লোগান।র্যা গ ব্যাচের ছেলেরা এখানে ওখানে ছড়িয়ে সতর্ক থাকল যাতে হঠাৎ কোন স্লোগান দিয়ে না ঊঠে।এরপর যা যা হয়েছে মিডিয়ার কল্যাণে সব জানাই আছে।উল্যেখ করার মত হল কোন হলের ডাইনিং বন্ধ হবে না,ছাত্রী হলের ডাইনিং নাকি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে,তাদের জন্য খাবারও তৈরি করে এখানে রেজ়িস্ট্রার বিল্ডিং এর সামনে নিয়ে আসা হবে।বাকি হলের খাবারও মেস ম্যানেজাররা এখানেই নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবে।কোন কারনে হল ভ্যাকেন্টের ঘোষনা চলে আসলে আসুক,আমরা হল ছাড়ছি না,অপসারন না পর্যন্ত আমাদের এই ছাত্রশিক্ষক অবস্থান ধর্মঘট চলবেই…।
রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙ্গের সামনে কার্পেট বিছিয়ে দেয়া হল,ছাত্ররা সেখানে বসে পড়ল।যে যেখানে পারে,রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙ্গের বারান্দায়,সিভিলের বাগানে অবস্থান নিল।বেশিরভাগের কাছেই এটা নতুন নয়,গত জানুয়ারিতেই এখানেই অবস্থান ধর্মঘট করে দাবি আদায় করেছিল শিক্ষার্থীরা।মেয়েদের অংশগ্রহন ছিল চোখে পড়ার মত,ইডেন কলেজের মেয়েদের মত রাজনীতি না জনলেও তারাও এ আন্দোলনের সহযোদ্ধা।কেমিকেল ০৭ এর মেবিন তো জ্বালাময়ী একটা বক্তৃতাও দিল।আর এবার তো শিক্ষকরাই উদ্যোক্তা,সুতরাং নিরাপত্তার ব্যাপারটা অনেকটাই নিশ্চিত।সময় টিভি দেখলাম বিশাল ছাতা ওয়ালা একটা ক্যারাভান নিয়ে ঢুকছে,লাইভ টেলিকাস্ট করছে মনে হয়।অনেকের বাসা থেকে ফোন করছে,এই কাজটা করতে করতে বোধ করি অভ্যস্ত হয়ে গেছে অভিভাবকরা।সবাই আশ্বাস দিচ্ছে আমরা স্যারদের সাথে আছি,কোন সমস্যা হবে না।দেখলাম সবাই ভালোই বুঝাতে পেরেছে,বুয়েটের শিক্ষকদের প্রতি তাদের আস্থায় কোন ঘাটতি নাই,বোধ করি পুরো জাতির ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। শহীদ মিনারে বেশ কিছু পুলিশ মোতায়েন আছে,ভিতরে রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙ্গেও আছে দুই একজন,সাদা পোশাকের পুলিশকেও দেখেছি আমরা,তবে সংখ্যাটা তেমন ভীতি সঞ্চারী না।
১১ জুলাই ২০১২ বুধবার,সন্ধ্যা ৭ টা
একসাথে ২৪ ডিপার্টমেন্ট ও ইন্সটিউশন প্রধান ও ডীনদের পদত্যাগ,সিন্ডিকেটের মিটিং শুরু।রাতে অবস্থানের জন্য লাইট লাগানো হয়েছে,বৃষ্টির জন্য শামিয়ানা টানানো হয়েছে।ছাত্ররা গোল গোল হয়ে বসে তাস খেলছে,অনেকে গোল হয়ে বসে আড্ডা দিচ্ছে।রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সত্যি সত্যি বৃষ্টি চলে আসল,শামিয়ানা গেল ছিড়ে।তবু ছাত্রছাত্রীদের আনন্দ দেখে কে,অনেকেই একসাথে নাচতে নাচতে বৃষ্টিতে ভিজলেন,সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুলে নি অনেক মেয়েরাও।কোন অনাকাংখিত প্রবেশ ঠেকাতে দুই গেটেই র্যা গ ব্যাচের ছেলেরা দঁাঁড়িয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০১২ বৃহস্পতিবার রাত ১ টা
সিন্ডিকেটের মিটিং বিচারবিভাগের তদন্ত সুপারিশ করেই শেষ।ভিসি জানালেন তারপরও তিনি পদত্যাগ করছেন না,তবে একমাত্র চ্যান্সেলর রাস্ট্রপতি বললেই তিনি পদত্যাগ করবেন।
ছাত্রছাত্রীরা ক্যাফেটোরিয়া,মেইন গেটের সামনে, সর্বোপরি রেজিস্ট্রার বিল্ডিং ও এর সামনে অবস্থান নিয়েছে। কেউ গানে গানে মাতিয়ে রাখছে আর কেউ বা কিছুক্ষন পর পর সেন্ট্রাল ক্যাফেটোরিয়ায় গিয়ে চা,রুটি খেয়ে আসছে,আজকে ক্যাফে রাত্রেও খোলা,তবে খাবার বলতে রুটি,কেক আর চা।বিভিন্ন চেয়ারে চেয়ারে কেউ আড্ডা,কেউ তাস কেউ গান গেয়ে নিজেদের উজ্জ্বীবিত রাখছে।মেইন গেটের একটু ভিতরে দেখলাম ব্যাপক গানের আসর বসেছে।আসলে সবচেয়ে বেশি মাতিয়ে রাখছে তাহরীর স্কয়ার আমাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙ্গের সামনে অভিপ্রিয় সহ আরো অনেকে।কারপেট কম থাকায় অনেকেই দেখলাম এই আসরের পাশে দাঁঁড়িয়ে দাঁঁড়িয়ে হাত তালি দিয়ে অংশগ্রহন করছে।বাউল,আধুনিক,ব্যান্ড,কাওয়ালি,বাংলা পুরোনো সিনেমার গান , জনপ্রিয় এ্যডগুলোর জিঙ্গেল, কিছুই বাদ যায় নি।ওরে সাম্পানওয়ালা,চুপি চুপি বল কেউ জেনে যাবে,যদি বউ সাজো গো,আমার গরুর গাড়িতে,একটা ছিল সোনার কন্যা,গাড়ি চলে না চলে না,ও প্রিয়া তুমি কোথায়,ইস্টিশানের রেলগাড়িটা,পেডরোলো পাম্প,জাম্প কেডস,কোকোলা নুডুলস,ড্যানিশ মিল্ক,ব্রিটল বিস্কুট,নিপ্পন টেলিভিশন, গানে গানে গরম থাকছে আসর।
রাত ৪ টার দিকে যখন গায়কদলের গলার ভলিউম কমে যাচ্ছে তখন নিয়ে আসা হল প্রজেক্টের আর পর্দা।শুরু হয়ে গেল মুভি দেখা।ইতোমধ্যে অবশ্য ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশ কমে এসেছে।একটা অংশ সিনেট ভবনে শুয়ে পড়েছে,আরেকটা অংশ সিনেমা দেখায় ব্যস্ত।ল্যাপটপের চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার সোয়া পাঁচটার দিকে আমিও হলে চলে আসলাম।শুরু হচ্ছে আরেকটি দিন…হয়তো নতুন কোন মোড় নিয়ে।
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা
আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের জন্য সকালের নাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।রুটি,ডিম,ভাজি,ভালই আয়োজন।
সাড়ে এগারটার দিকে জনকণ্ঠ পত্রিকার মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদ স্বরুপ ছাত্ররা সিভিল ও মেকানিকাল বিল্ডিং মোড়ে জনকণ্ঠ পত্রিকা পুড়ানো হয়।অনেকে হলে হলে জণকন্ঠ পত্রিকা রাখাও বন্ধ করার দাবি জানান।এ সময় রিপোর্টটি পড়া হয় আর এহেন হলুদ সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ধিক্কার জানানো হয়।অবশ্য ঘটনাস্থলে কোন জনকণ্ঠ সাংবাদিককে পাওয়া যায় নি।অন্যান্য সাংবাদিকরাও একে অপরকে জিগ্যেস করতে থাকেন,জনকণ্ঠের সাংবাদিক কই? তবে এটা সম্পুর্ণ শিক্ষার্থিদের বিষয় ,এর সাথে শিক্ষকদের বা অন্য কারো কোন সংযোগ নেই,এ কথাও স্পষ্ট করে বলা হয় শিক্ষার্থিদের পক্ষ থেকে।
একজন বুয়েট আ্যলুমনাই স্থপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন নিজ তাগিদে সভাস্থলে এসে আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে গেলেন।শুধু তাই না বিকাল ৫ টায়
১।ইনস্টিটীউট অব আর্কিটেট বাংলাদেশ(IAB) (সভাপতি স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন)
২।বুয়েট আ্যলুমনাই এসোসিয়েশন (চেয়ারম্যান ডঃ জামিলুর রেজা চৌধুরি)
৩।ইঞ্জিনিয়ারস ইন্সটিটিউট
ও সন্ধ্যা ৭টায় বুয়েট ৭১ এর আ্যলুমনাইরা আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করতে সভাস্থলে আসবেন বলে জানা গেল।
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টা
ভিসি সম্ভবত সংবাদ সম্মেলন আহবান করেছেন।সাংবাদিকরা ভিসির বাড়িতে (রেজিস্ট্রার বিল্ডিঙ্গের পেছনেই একটু ঘুরে যেতে হয়) প্রবেশ করেছেন। সিনেট ভবনের নিচতালায় শিক্ষক সমিতিও সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টা ৩০ মিনিট
আমি কোন অন্যায় করিনি।বুয়েটে যা হচ্ছে তাই অন্যায় হচ্ছে। আমি যদি এখন পদত্যাগ করি তাই হবে অন্যায়,আমি কোন অন্যায় কাজ করব না- বুয়েট ভিসি
কিছু কিছু প্রাণীর লেজ থাকে,কিছু প্রাণীর লেজ থেকে বাঁকা,সেই বাঁকা লেজ এমন কিছুদিন চুঙ্গার ভিতর রাখলেও আবার যেই বাঁকা সেই বাঁকাই থাকে।আমরা এতদিন সেই বাঁকা লেজ সোজা করার চেষ্টা করেছি ,এখন যখন সোজা হচ্ছেই না,এই লেজ এখন কেটে ফেলতে হবে…-ছাত্রদের উদ্দেশ্যে আন্দোলন প্রতিনিধি এরকম আরো বিনোদনে বিনোদিত হচ্ছিল শিক্ষার্থিরা।
আর আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে Until the demands are fulfilled
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা
BUETAA (BUET Alumni Association)-এর সভাপতি জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বুয়েটে কোনরকম অনিয়ম বরদাস্ত করবোনা।ইতিমধ্যে রেজাল্ট, শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ইত্যাদি নিয়ে অনিয়ম শুরু হয়েছে। দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বুয়টের যে সুনাম তা রক্ষা করার জন্য অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন চলমান আন্দোলন সফল করার জন্য শিক্ষক সমিতি এবং ছাত্রদের সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
BUETAA (BUET Alumni Association)-এর সহসভাপতি এবং IAB-র মুবাশ্বির হোসেন জানান, এর আগে অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিকী পালন অনুষ্ঠানের মাঠ বরাদ্দ নিয়ে শিক্ষক সমিতি এবং অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি তৈরীর চেষ্টা করা হয়েছিলো যা কার্যকর হয়নি। অ্যালামনি এবং শিক্ষকগণ আন্দোলন সফল করার জন্য একযোগে কাজ করে যাবেন।
এছাড়া তিনি শিক্ষক এং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি অনুরোধ করেন সবরকম কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও উচ্ছৃংখল আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য।
এছাড়াও অ্যালামনিদের পক্ষ হতে খন্দকার মাহবুব, গোলাম রহমান প্রমূখ আরো কয়েকজন আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য প্রদান করেন।
১২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাত ১১টা
এটীএন নিউজে মুন্নী সাহার অনুষ্ঠানে মাসুদ স্যার(আই পি ই ডিপার্টমেন্ট) এর আলোচনা অনুষ্ঠান সবাই একসাথে দেখল।
মুন্নী সাহার আজগুবী ও অজ্ঞ কথাবার্তায় ক্ষুদ্ধ সবাই।
আপনারা বুয়েটকে বাঁচাতে চান মানে কি? বুয়েট কি মারা যাচ্ছে?-
মানুষের খেয়ে পরে বাঁচার মত ইস্যু এটা না,একটা পার্সোনাল ইস্যুকে কেন এত বড় রুপ দেয়া হচ্ছে
এত ননসেন্স কথা মানুষ কেমনে কয়? মাসুদ স্যারকে মনে হইল দুনিয়ার সবচেয়ে কুল পারসন।পোলাপাইন পারে না,মুন্নী সাহার চুল টাইন্যা্...
১৩ জুলাই ২০১২ শুক্রবার রাত ৮ টা
বুয়েটে আজ রাতে উত্তেজনা বাড়তে পারে।গতকাল রাত ২ টার দিকে প্রায় ৪০ জনের একটা দল ক্যাম্পাসের ভিতর ঢুকার চেস্টা করে।এ সময় ক্যাম্পাসে কোন মিডিয়া ছিল না। তবে ঢুকতে দেননি শিক্ষকরা।মেইন গেটে রাত বারটার পরই তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানায় তারা বুয়েটেরই স্টুডেন্ট ,তারা স্যারদের সাথে কথা বলতে চায়।স্যাররা তাদেরকে সকালে আসতে বলেন।এরপর দুইজন স্যার গিয়ে তাদের সাথে বাইরেই কথা বলেন।সন্দেহ করা হচ্ছে তারা ছাত্রলীগের একটা অংশ যারা বর্তমান ভিসির সমর্থক।উল্লেক্ষ্য ছাত্রলীগের একটা বিরাট অংশ এই ভিসির বিরোধী।
বিভিন্ন সূ্ত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে আজকে রাতে এই দলটা মিছিল বা এরকম কিছু করতে পারে।সবচেয়ে জুনিয়র '১১ ব্যাচের ছাত্রদেরকে আমরা ক্যাম্পাসেই থাকতে বলেছি।তা না হলে রাতে হয়তো তাদেরকে জোর করে নিয়ে গিয়ে মিছিল করাতে পারে।সবাইকে রাত বারোটার আগেই ক্যাম্পাসে চলে আস্তে বলা হয়েছে।আমরা সমগ্র দেশবাসীকে আমাদের সাথে থাকার আহবান জানাচ্ছি ,এবং তাদের এই আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নেয়ার যে কোন অপচেস্টা সম্পর্কে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করছি।
১৪ জুলাই শনিবার দুপুর ১টা
বিশাল মৌন মিছিলঃ এইমাত্র শেষ হল বিশাল মৌন মিছিল।আনুমানিক ৫০০০ছাত্রছাত্রী,শিক্ষক,কর্মচারীদের স্বতঃস্ফুর্ত মিছিলটি বুয়েটের কাউন্সিল ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে পুনরায় বুয়েটে এসে শেষ হয়। মিছিলে ছিল না কোন স্লোগান,ছিল না কোন হইহুল্লোর ,এমন সারিবদ্ধ,সুশৃ্নংখল মিছিল এ দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।বুয়েটের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী-প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন। সেখানে আন্দোলনের কারণ ব্যাখ্যা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং চ্যান্সেলর মহোদয়ের কাছে আশু সমাধানের ব্যাবস্থা গ্রহণের আশা প্রকাশ করা হয়। সবষেষে বুয়েট পরিবারের শপথ গ্রহণ এবং ছাত্র-শিক্ষকদের আইডি কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে ভিসি ও প্রো-ভিসির অপসারণের দাবীর পক্ষে সকলের ঐক্য প্রদর্শিত হয়। সেখানথেকে মিছিলটি পুনরায় বুয়েটের কাউন্সিল ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
শহীদ মিনারে
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে
শপথ গ্রহণ
পরিচয় নিয়ে কোন সন্দেহ আছে?
আজকের মৌনমিছিলে ছিলেন কর্মচারী এসোসিয়েশনও
পরবর্তী কর্মসূচিঃ সমস্যার সমাধান না হলে আগামীকাল সকাল ১১:০০টার সময় একই স্থান থেকে পুনরায় মৌন মিছিলের কর্মসূচী গৃহীত হয়েছে। বুয়েটের প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি অভিভাবকদেরও আজকের মত স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণের জন্য আহবান জানানো হচ্ছে।
১৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭ টা
ক্যাফিটোরিয়ায় একদল বহিরাগতকে দেখা যাচ্ছে।অডিটোরিয়ামের সামনে একটা ব্যানার টানানো হয়েছে ঐক্য পরিষদের নামে।ব্যানারে দোষ প্রমানের আগে দণ্ড কেন?,ভিসির সাথে আলোচনা নয় কেন? ইত্যাদি কথা লিখা আছে।
এর আগে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষনা গুলো দেয়া হয়ঃ
* চলমান আন্দোলন বানচালের চেষ্টা সফল হতে দেওয়া হবেনা। কোনরকম ভয়-ভীতির কাছে ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা নতিস্বীকার করবেনা।
** আগামীকাল ১৫/০৭/২০১২ তারখ সকাল ১১:০০টায় মৌনমিছিল অনুষ্ঠিত হবে এবং মিছিল শেষে সরাসরি চ্যান্সেলরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
***এখন পর্যন্ত ভিসি-প্রোভিসি বা ভিসিপন্থী শিক্ষকগণ কারো সাথে শিক্ষক সমিতির কোনরকম আলোচনা হয়নি এবং হবেওনা।
****সম্মিলিত ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যানার সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।
উল্লেখ্য,ভিসির কাছ থেকে আলোচনায় বসার আমন্ত্রণে আসা একটি
চিঠি প্রত্যাখ্যান করেছে শিক্ষক সমিতি
গতকাল জরুরি কাজে বাসায় যেতে হয়েছিল। বুয়েট থেকে বাসায় যেতে সবসময়ই ভালো লাগে,কারন চাপ থেকে মুক্তি,মনটা চাপমুক্ত হয়।কিন্তু এবার যেটা হল,এত খারাপ আর কখনো লাগে নি।মনে হচ্ছিল খুব প্রিয় কাউকে রেখে চলে আসলাম।মোবাইলে মেগাবাইট কিনে বারবার ফেসবুকে আপডেট দেখছিলাম।৫ মিনিট কোন পোস্ট না আসলেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছিল।
১৫ জুলাই রবিবার,বিকাল ৩ টা
স্মারকলিপিঃ
আজ সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের উদ্দেশ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারী দের মৌন মিছিল শুরু হয়।মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিন করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে দোয়েল চত্বরে পৌছালে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা সার্বিক যানজট পরিস্থিতির কারনে সবাইকে না গিয়ে রাষ্র্রপতির কাছে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ জানান।সার্বিক দিক বিবেচনা করে ৪ জন শিক্ষক বঙ্গভবনে যান।সেখানে রাস্ট্রপতির উপ প্রেস সচিব তাদের রিসিভ করেন।শিক্ষকরা তার সাথেই কথা বলেন।তাঁ্রা স্মারকলিপিটি মহামান্য রাস্ট্রপতির নিকট পৌছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেন।উপপ্রেস সচিব শিক্ষকদের স্মারকলিপি পৌছিয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।এ সময় ভিসি প্রোভিসির পদত্যাগ চেয়ে ৪০০০ জনের একটি গনসাক্ষর তারা হস্তান্তর করেন।
ব্যানার হাতে তৈরি
দুই কলামে করা আর সম্ভব নয় এত সমাগম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠের পাশে পৌছে গেছে মিছিল
কিন্তু পুলিশের বাধা
অতঃপর এখানেই অবস্থান
স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহনঃ
পরিচউ পর্বটা আজও হলঃ
ফেরার পথেঃ
আগামীকাল অনশনঃ
আগামীকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত প্রতিকী গণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫টায় ভিসিপন্থীদের সমাবেশঃ
বুয়েট ক্যাফের সামনে ভিসি সমর্থনকারীরা সমাবেশ করবে বলে জানা গেছে।এদিকে কর্মচারী এসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে কর্মকর্্মচারী ঐক্য বলে কোন সংঘটন নেই বলে জানানো হয়েছে।চলমান আন্দোলন নস্যাত করতেই সার্থান্বেষী গুটিকয়েকজন এই ফোরামের জন্ম দিয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করন
শিক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠকঃ
সংকট সমাধানে আগামীকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ডিন ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৈঠকে বুয়েটের সাবেক দুজন উপাচার্য আবদুল মতিন পাটোয়ারী, এম এইচ খান, বুয়েটের সাবেক কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত জামিলুর রেজা চৌধুরী, আইনুন নিশাত, মোবাশ্বের আলী, আবুল কাশেম ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান নুরুল হুদাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।আজ রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভিসিপন্থীদের সমাবেশঃ ৪-৫জন শিক্ষক আর ১০০ মত ছাত্র নিয়ে সমাবেশ করেছে ভিসি সমর্থনকারী ফোরাম।কাল নাকি তারা মৌন মিছিল আর গণসংযোগ করবে।দেখে মনে হচ্ছে ডঃ মুনাজ বাহিনী কালক্ষেপনের একটা অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।সামনে রোজা এটা একটা কারন হতে পারে।কিন্তু সবাই বলছে রোজার সময় তারা এখানেই সেহরি ইফতার করতে প্রস্তুত।
এ কেমন আমন্ত্রনঃ
আগামীকাল শিক্ষামন্রীর সাথে শিক্ষকদের মিটিং সম্পর্কে শিক্ষামন্রী জানিয়েছিলেন সব ডিপার্টমেন্টের হেড ও ডীন দের আমন্রণ জানিয়েছেন।কিন্তু সিভিলের হেড ডঃ মুজিবর রহমান ও মেকানিকেলের হেড ডঃ এহসান ও ইউ আর পির এয়াকটিং হেড ডঃ শাকিল খান কোন আমন্রণ পান নি।এই তিনজনই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
আগামীকাল জরুরি সভাঃ
আগামীকাল বিকাল ৪টায় শিক্ষক সমিতির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
১৬ জুলাই সোমবার রাত ১২ টাঃ
১। আগামী রোববারের মধ্যে ভিসি- প্রো ভিসি পদত্যাগ না করলে সকল শিক্ষকরা পদত্যাগ পত্র জমা দিবেন এবং ভিসি- প্রো ভিসি পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বুয়েটে কোন ক্লাস হবে না।
২। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে ১ টা রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে।
৩। রাষ্ট্রপতি- প্রধানমন্ত্রীর কাছে সকল দাবি সুচিন্তিত ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে জোরালে যুক্তি সহকারে উপস্থাপন করা হয়েছে।
হাত মুষ্টিবদ্ধ করে শেষবারের মত শপথ নিল বুয়েটিয়ানরা- এসব স্যার যারা বুয়েট রক্ষার্থে নিজের রুজি-রোজগারের পথ শিক্ষকতার পেশাকে বিসর্জন দিতে পারে তাদেরকে একজনকেও ছাড়া আমরা ক্লাসে ফিরে যাবো না। যেই ভিসি আর প্রোভিসি কেবল নিজের ক্ষমতার জন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয় তাদের অপসারন না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরে যাবনা। দরকার হলে প্রিয় শিক্ষকদের নিয়ে নতুন একটি বুয়েট গড়ে তুলব যেখানে থাকবে ক্ষমতা আর রাজনীতির কালো ছায়া।
মুনাজ স্যার বললেন(টিভিতে) উনি নাকি আজকেও বুয়েটে গিয়ে দেখছেন সেখানে ৪০-৫০ জন শীক্ষার্থী আছে। কিছুক্ষন হাসলাম, তারপর মনে পড়ল উনিতো সত্যি কথাই বলেছেন, কারণ আমাদের আন্দোলনের ধারে কাছে যাওয়ার সাহস উনার নাই। ক্যাফের সামনে ৪০-৫০জনের বেশি দেখার প্রশ্নই উঠে না।