বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খান একজন ওয়ান্স ইন এ ডিকেড টাইপ কারিশমা হোল্ড করেন ,তার সমসাময়িক যে কোন অভিনেতা বা মিডিয়া পারসন আউটস্মার্টড হয়ে যান শুধুমাত্র শাহরুখ কে ঈশ্বরের অথবা প্রকৃতির দেয়া বিলাসী চার্ম ও প্রতিভার কাছেই , আর তাদের থেকে শতক বা যুগ সামনে থাকেন নিজস্ব পরিশ্রমী যাপিত জীবন, স্থিতিশীলতা, ফ্ল্যাশ এর বাইরে থেকে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতার গুনে। সময় উপযোগী ট্রেন্ড এর সাথে মানিয়ে নেয়ার স্বতঃস্ফূর্ততা , বিনোদন পেশা ও ব্যাক্তিগত সাতন্ত্রের বুদ্ধিদীপ্ত কমনসেন্স তাকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। তাকে দেখে মনে হয় ঠিক গোঁড়া বা বিশুদ্ধ আর্ট ফর্ম এ তেমন একটা বিশ্বাস করেন না (আমার ধারণা)। বিশেষ করে স্ক্রিন এ উপস্থিত হওয়ার ক্ষেত্রে এলিট দের কন্ডিশনাল আর্ট এর চর্চার থেকে সমাজের বৃহৎ শ্রেণীর রুচিকেই তিনি গুরুত্ব দেন অনেক বেশি। অপরপক্ষে এলিট দের সাথে তাদের মানানসই কালচার কেও উপভোগ করেন তাদের উঠানে। এই কারনেই কোটি টাকা নিয়ে তিনি সাচ্ছন্দে তাদের বিয়ে , মুসলমানিতে নেচে আসেন অপেক্ষাকৃত স্থুল রুচি দর্শকদের জন্য তৈরি করা গানগুলোর সাথেই এবং পরের দিন যাদের সাধ ও সাধ্য এখনো খাপে খাপ হয় নি সেই সমগোত্রীয় ঈর্ষা কাতরদের বাক্যবাণে কৌতুক এর মাগনা বিনোদন ও পুরোটাক অনুভব করেন।
"অ্যাঁ শাহরুখ টা এতো ছ্যাবলা কেন রে ?হুহ!" এই মন্তব্যকারিদের সাথেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাপেখাপ হওয়ায় সেখানে উপস্থিত হয়ে নেচে , খেয়ে ফুর্তি করে প্রতি পিস ছবি দুই চার লাখ টাকা বেচাবিকি করে টেকাটুকা পুটুলিতে গুটিয়ে নিজের কাজে হারিয়ে যান ।
কেন তিনি এতো নির্বিকার ভাবে আজঅব্দি এটা করে আসছেন ? ফের বছর নিয়মিত যুগপৎ ভাবে সাফল্যের অলৌকিক সিংহাসনে থেকেই তিনি বিয়ে বাড়ি বাণিজ্য করে আসছেন। তার মানে এই একটা ব্যাপারে তার নিজের কোন দারুন উপভোগ্য স্ট্যান্ড আছে অথবা তিনি আসলেই আত্মিক ভাবে নিজেক পণ্য (ট্রু প্রোডাক্ট) হিসাবে মেনে নিয়েছেন।
আমি তার কিছু সাক্ষাৎকার থেকে নিজস্ব একটা ইন্টারপ্রিটেশান দাড়া করিয়েছি। সকল দেশের সমাজেই গুচ্ছবিন্যাসে গড়ে উঠা একদল (যারা সংখ্যায় অত্যন্ত লঘু কিন্তু সমগ্র সংখ্যাগুরুদের নিয়ন্ত্রন করে বা করার ধান্দা করতেই থাকে করতেই থাকে টাইপের একটা চক্রের ভেতরে ডিম ছানাপোনা নিয়ে বেচেবর্তে থাকেন)। এই উচ্চইন্দ্রিয় মানুষদের কয়েকটি নির্দিষ্ট কলোনিতে অবাধ অনুপ্রবেশ,প্রভাব ও যাতায়াত আছে । বিশেষ করে ক্রিটিক বাণিজ্যে এদের দখল বেশ দারুন লক্ষণীয় । মিডিয়া পারসেপশন প্রভাবিত করার জন্য এদের যারপরনাই হাকাহাকি করতে দেখা যায় , কিন্তু বাস্তবতা হল এরা মুভি দেখে নিজের হোম থিয়েটার এ পাইরেটেড ডিভিডি ডিস্ক চালিয়ে। কখনও বা তারা বিভিন্ন মুভির প্রিমিয়ার শো তে ফ্রি প্রবেশ করে ক্রিটিক ক্যাটাগরি এসাইলাম এ । দামি পানিয়ের গ্লাস হাতে চামড়া ও চামড়ার চোখ দুটোই চকচক করে । উনাদের মুভি নাইট উৎযাপন হয় বেশির ভাগ ড্রয়িং রুমের এলইডি জায়ান্ট প্লেট এর সামনে।একান্ত বন্ধুবান্ধব বা গনআত্মীয়দের অনুরোধের চিপায় পরলে চট করে একটা ইভেন্ট ডিক্লেয়ার করে মাল্টিপ্লেক্সের সিঙ্গেল স্ক্রিন রিজার্ভ করে স্মার্টলি স্মার্ট ফোনে জরুরি টিউটোরিয়াল স্ক্রলিং এ বিজি হয়ে যান। স্ক্রিনের দুধেল শাদা আভায় আশার বানীরা সেনাবাহিনীর প্যারেড এর মত ছন্দ তুলে ভেসে উঠে "টেন ওয়ে টু লাস্ট লঙ ইন বেড এট সিক্সটি... "।
এদের টাকা পয়সা আর্ট ইন্ডাস্ট্রি কোনদিন পায়নি আর পাবেও না। আর্ট ইন্ডাস্ট্রির সাথে এদের সম্পর্কের শুরু হয় একদলের পণ্যর বিজ্ঞাপন করতে এসে, অন্যদলের ফলক উন্মোচন করতে গিয়ে।
সম্পর্ক ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু ফাঁকতালে কিছুদিন বিজ্ঞাপনের খরচে মাগনা গ্লামার ভোগ করতে করতে মাগনা শাসন করার বাসনা পেয়ে বসে যেইদিন এই সংকর প্রজাতি ঠিক সেইদিন তাদের কলা(আর্ট) খত্না করে "উচ্চইন্দ্রিয় জাতক" এ রূপান্তরিত হয়। এরাই আর্ট এর দোহাই দিয়ে রুচির পতন রুখতে ক্রিটিক হয়ে কাটাকুটি খেলা শুরু করে । এহেন সম্মানিত গোত্র বিশেষ এর উঠানে, মোসাহেব পরিবেষ্টিত হয়ে শাহরুখ নিজেও ভিন দেশের উন্নত রুচির মুভি ডলবি থিয়েটার বা খেয়াল কামরায় মুচকি মুচকি ডিম্পল হাসি দিয়ে দেখে ফেলেন। তিনি শুকরের পেছনে চুমু দেয়ার সময় সুয়িট লিপ্স বলে শীৎকার করেন না ।ইন্ডাস্ট্রির সকলের পক্ষ হতে আজীবন মাগনা এই প্রজাতির কাছ থেকে টিকিট এর দাম টা আদায় করে নেন সুদ সমেত ।পৃথিবীর তিন ভাগের দুই ভাগ মানুষ সহজ জীবন্ত বিনোদনের জন্য তৃষ্ণার্ত থাকেন, এরাই ডঃ খান এর মাস্টারপিস লাউড লাইফ বিনোদনের দর্শক
আর তিনি তাদের "বাদশাহ"( নেপথ্য সিম্ফনি ক্র্যাক করবে)।
এই তৃষ্ণাই আর্ট এর সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক।
একমাত্র ক্রিটিক্।
চলবে্, , , , , (পাঠক দের আগ্রহের উপর পর্বের সংখ্যা নির্ভর করবে)
আগামী পর্বগুলোতে থাকবেন
আমেরিকার টম হাঙ্কস ,হিথ লেজার,কেসি নেইস্টাট
ইটালির রবার্তো বেনিগ্নি।
বাংলাদেশের মোশারফ করিম , নায়লা নাইম , সালমান মুক্তাদির ।
বিশেষ চরিত্রে- ইভা রহমান ও কলকাতার গাজুরে - রোদ্দুর রয়।
বানান ও লেখার গঠন নিয়ে যেকোনো পরামর্শ গুলোর জন্য প্রচণ্ড আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করব , মূলত লেখার স্টাইল অতিরঞ্জন/বাহুল্য দোষে দুষ্ট কিনা এটা যাচাই হলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।