আহা!! দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার পৃথিবীব্যাপী সর্বত্র! আবার শক্তিশালী শাসক, শোষক হইলেও তাকে পরান্নভোগী সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সাধুবাদ জানাতে সদা প্রস্তুত। মানবতার প্রশ্নে,মানবিকতার প্রশ্নে কাশ্মীরের স্বাধীনতা আজ অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত সময়সাপেক্ষ দাবী!!! একটি জাতি যখনই তার স্বাধীনতা চায়,বাচার মত বাচতে চায়,নিজেদের constitution নিজেদের মত করে সাজাতে চায় ঠিক তখনই শাসক গোষ্ঠী শোষিতদের ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগে! আবার এই লাঞ্ছিত, অবহেলিত জনগোষ্ঠীকে নিয়ে শুরু হয়ে যায় সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ স্লোগানমার্কা বিশ্বহোতাদের স্বার্থ উদ্ধারের খেলা।কাশ্মীরে প্রত্যক্ষ উস্কানি, অস্ত্র দিয়ে বিশ্ববেহায়া রাষ্ট্র দেউলিয়া পাকিস্তান যেভাবে কিছু উগ্রবাদীদের লেলিয়ে দিচ্ছে তা সত্যিই তাদের বজ্জাতির চরমরূপ....পাকিস্তান স্বভাবতই এই ইস্যুটি নিয়ে হলেও তাদের ৭১ এর প্রতিশোধ নিতে চাইবে!
অপরপক্ষে ভারত সরকার দীর্ঘকাল ধরে তাদের যৌক্তিক আন্দোলনকে দমন পীড়নের আশ্রয়ে ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে গভীর সংকট সৃষ্টি করেছে!ভারতও স্বভাবতই মহাভারত বিভক্তিতে ইতিবাচক সাড়া দিবে না,কারণ এতে করে বাদবাকি অন্যান্য রাজ্যেরও স্বাধীনতার ইস্যুটি চলে আসে!এর পেছনেও মোদী সরকারের ধর্মীয় ব্যাপারস্যাপার আছে!! অনেকেই বলছেন বিশ্ব মোড়লদের কূটচালে পা না দিয়ে মোদীর সরকার কূটনৈতিকভাবে পাকিস্তানকে মোকাবেলা করার চেষ্টা করবে!তবে সময় আসলেই বিষয়টা স্বচ্ছ কাচের ন্যায় ফুটে উঠবে! পাকিস্তানও চুল পরিমাণ ছাড় দিতে নাছোড়বান্দা!! ইতোমধ্যে রাশিয়ান সেনাও পাকিস্তানে চলে এসেছে! পাক-রাশিয়ার বন্ধুত্ব আর মার্কিন "বরের ঘরের পিসি আর কনের ঘরের মাসির "ভূমিকা অত্যন্ত উদ্বেগজনক অবস্তার জন্ম দিয়েছে!সারকথা বর্তমানে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তার জন্ম নিয়েছে যা বিনাদ্বিধায় বিশ্বরাজনীতিতে এক নতুন সংকট।
অনেকেই এ বিষয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন! আসলে এই সংস্থাটি হচ্ছে বিশ্বঅশান্তির মূল হোতা।বিশ্বশান্তির বুমবুম বলে খ্যাত তথাকথিত জাতিসংঘ নামক সংস্থাটির নিরব ভূমিকা সত্যিই হাস্যকর অবস্থার সৃস্টি করেছে!ইতোপূর্বে ফিলিস্তিন, বেলুচিস্তান,সিরিয়া সহ বড়লাটদের নিয়ন্ত্রণাধীন বেশ কয়েকটি অঞ্চলের নিরাপত্তাবিধানসহ অন্যান্য ইস্যু নিয়ে কোন যুক্তিযুক্ত সমাধানে পৌঁছাতে না পারা সংস্থাটিকে করেছে প্রশ্নববিদ্ধ! তাই জাতিসংঘ মধ্যস্থতাকারী হলে বরাবরের মত কাশ্মীর ইস্যুটিও থেকে যাবে ঝুলন্ত.....
এতকিছুর পরও জেগে উঠুক বিশ্ববিবেক,প্রত্যেক মানুষ তার কথা বলার স্বাধীনতা পাক,মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা পাক,মানুষে মানুষে জাতিগত বিবেধ দূর হোক,গড়ে উঠুক সাম্যের পৃথিবী এই কামনা!
(এটাই আমার সোজাসাপ্টা কাশ্মীর বিশ্লেষণ! মতদ্বিমত থাকতেই পারে,বিনাদ্বিধায় জানাবেন!)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯