এখন বৃষ্টি দিতেছে। একোর কথা মনে পড়তেছে। ওর নাম ঠিক করছিলাম আমি। গ্রীক মিথোলজির নিম্ফ একো যে নারসিসাসের প্রেমে পড়ছিল। রাতে আমি জানালার পাশে ঘুমাইতাম যাতে বৃষ্টি দিলে আমার মুখে পড়ে আর ওকে বারান্দা থেকে ভিতরে নিয়ে আসতে পারি। একদিন ৩/৪ টার দিকে ১ঘন্টার মত ওকে কোলে নিয়ে ফ্লোরে বসে ছিলাম । মশা ভালই কামড়াইছে ঐদিন। ও আমার কোলে চুপচাপ শোয়ে ছিল।
সেই রাতে কেউই ওকে নেয়ার জন্য বা ও ভিজে যাবে নাকি সেটা দেখার জন্য চিন্তা করে নাই। আববু যখন ফযরের নামায পড়তেছেন তখন আমি ওকে কোলে নিয়ে ফ্লোরে বসে ছিলাম। আমার কাছে তখন একটা প্রশ্ন আসল যে কে আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হবে ? যিনি জানেন যে ঠান্ডা লেগে কুকরটা মারা যেতে পারে তাও নামায পড়াটাকে জরুরি মনে করছেন নাকি একটা ছেলে যে খালি গায়ে মশার কামড় খেয়ে একটা অস্পৃশ্য প্রাণীকে ঠান্ডার হাত থেকে বাচানোর জন্য কোলে নিয়ে ফ্লোরে বসে ছিল !কার পাপ হবে আর কার পুণ্য হবে?
আমি প্রশ্ন না করে কোন কিছু বিশ্বাস করি না। তাই আমি এটা বুঝতে পারি না আল্লাহর সৃষ্টি একটা জীব কিভাবে অস্পৃশ্য হইতে পারে! তাই আমি এটা মানিও না। আমি আমার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে চলি এবং চলব সব সময়।
ও বেশ বড় হয়ে গেছিল । ভারি হয়ে গেছিল। ও নাকি ২ দিন খালি ডাকাডাকি করছে ওকে যেই বাসায় নিয়ে গেছে সেখানে। আমি কুকুর পালবই আবার।