somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘে কয় লাখ সিগনেচার দরকার ?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জাতিসংঘে ১ লক্ষ লোক সিগনেচার দিলেই নাকি জাতিসংঘ টিপাইমূখ বাঁধ নির্মান বন্ধ করে দেবে। কি আজিব কথা। একবার চিন্তা করেন মাথা ঠান্ডা রেখে - জাতিসংঘের এমন ক্ষমতা আছে কিনা। থাকলে এতোদিনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয় নাই কেন ? সিগনেচারের অভাব হতো ? জাতিসংঘে কথা হয় সরকারের সাথে সরকারের। জাতিসংঘ বড়জোর দুই দেশের মধ্যে দুতিয়ালী করতে পারে মাত্র। জাতিসংঘে কোন বিষয় উপস্থাপন করতে হলে সেটা সরকারকেই করতে হবে। কোন ব্যক্তি বিশেষ বা গোষ্ঠীর কথা জাতিসংঘ শুনে না। এখানে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর কথা বলতে পারি আমরা। এক প্রবাসী ভদ্রলোক প্রথম এটার জন্য পিটিশন দিয়েছিলেন জাতিসংঘে। পরে বাংলাদেশ সরকার উদ্যোগ নেয়ায় সেটা ফলপ্রসু হয়।

আমরা সবাই কম বেশী উদ্বিগ্ন টিপাউমূখ নিয়ে। সরকার এবং সরকারের মন্ত্রী উপদেষ্টারা বাংলাদেশের স্বার্থ দেখছেন না এটা আমরা সবাই মনে করছি। তাহলে এই মূহুর্তে আমাদের করণীয় কি ? আমরা কিভাবে বাংলাদেশ সরকারকে বাধ্য করতে পারি এব্যাপারে সুষ্পষ্ট ভূমিকা রাখতে ? সেটা কি ১ লক্ষ সিগনেচার সংগ্রহ করে কোন পিটিশন দাখিল করে সম্ভব নাকি ১ লক্ষ লোকের মিছিল নিয়ে সংসদ ঘেরাও করে সম্ভব ? আমি কেবল জানি ১ লক্ষ সিগনেচারে কোন কাজ হবে না।

কেবল জানি আমাদের দেশপ্রেমকে পূজি করে ১ লক্ষ সিগনেচার কালেক্ট করার পিছনে কোন একটি দুষ্টচক্রের কোন দূরভিসন্ধি আছে। অমি রহমান পিয়ালের একটা ষ্ট্যাটাস থেকে কপি করলাম "এই মুহূর্তে আন্দোলনে নামার জন্য যে কয়টা ইস্যু পাবলিক গুরুত্ব দিয়া বিবেচনা করতেছে তার একটা টিপাইমুখ বাঁধ। এর বিরুদ্ধে লেটেস্ট যে প্রতিবাদ কর্মসূচীটা আসছে সেটা একটা অনলাইন পিটিশন। বলা হচ্ছে এতে এক লাখ সই দিলেই জাতিসংঘ এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে। পাবলিকের মাথায় কাঠালভাঙার যত উপায় আছে তার মধ্যে সবচেয়ে লেটেস্টও এইটারে মনে হইলো। স্ল্যাকটিভিজম বা ইন্টারনেট পিটিশনের মাধ্যমে একটা ইস্যুতে জনমত জানানো যায় বটে, কিন্তু সেটার গ্রহণযোগ্যতা অন্তত জাতিসংঘে নাই কারণ সেখানকার জনগনের (মানে সাইনদাতাদের)পরিচয়ের ব্যাপারে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নাই, তাই জাতিসংঘ সেটা গ্রহণ করে না। ওদের ওয়েবসাইটে গেলে দেখবেন কোনো ইহুদি যেন যুক্তরাষ্ট্র সফর করতে না পারে এমন পিটিশনও দিছে লোকে। মোটের উপর জাতিসংঘের এমন কোনো ক্ষমতাই নাই, থাকলে তারা ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনের বিরুদ্ধেই তো হস্তক্ষেপ করতে পারতো। কিংবা আমেরিকারে ঠেকাইতে পারতো ইরাকে মানবাধিকারলংঘন থেকে। তো না জাইনা পাবলিক যারা এতে সই করতেছেন তার যেসব ঝুঁকি নিতেছেন তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুইটা তুলে দিলাম:
১. এইটার একটা ফিশিং স্ক্যাম হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। আপনার আই্ডি হয় হ্যাক হবে নয়তো আপনার ইউজার প্রোফাইলের তথ্যাদি বিক্রি করে মোটামুটি বড় অংকের টাকা কামাবে এর নেপথ্যে থাকা লোকজন। এই টাইপের স্ক্যামের ব্যাপারে নিচের সাইটে তথ্য পাবেন প্রচুর: Click This Link

২. এই পিটিশনটার নাম বদলাইয়া যাইতে পারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করো বা গোলাম আযমের মুক্তি চাই নামে। তারপর সেটা দেওয়া হবে যুক্তরাজ্য আর ইউএস সরকারের ওয়েবসাইটে ।পিটিশনের গ্রহণযোগ্যতা এই দুইটা জায়গাতেই কিছুটা আছে

আমি বরং বলি এক লাখ সইদাতার বদলে এক লাখ মানুষের একটা মিছিল করা হোক। টিপাইমুখ অভিমুখে না পারি, সংসদ অভিমুখে গিয়াও, অন্তত সংসদ ভবনের রাস্তায় দাড়াইয়া আমরা এই বাঁধ বন্ধ করার ব্যাপারে প্রতিবাদ জানাইয়া আসতে পারি।অনলাইন একটিভিজমের বাস্তব প্রয়োগ এখন পর্যন্ত যা দেখছি তাতে আমি আশাবাদী না সেটা সম্ভব বলে। ১৪০০ মানুষের হম্বিতম্বি রাস্তায় যখন ১৪ জনে অনুদিত হয়, তখন হতাশ হইতেই হয় বৈকি।"

সুতরাং সাধূ সাবধান।

কাঙাল মামা'র এই পোষ্টে আরো বিস্তারিত পাবেন
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩০
৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×