somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দূরে গিয়েও কাছে থাকে যারা - ১

১৬ ই জুলাই, ২০১১ সকাল ৭:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[ অসংবিধানিক সতর্কীকরনঃ এই আইলা-ঝাউলা-পোটলা পোষ্টের আগা-মাথা নাই। না পড়িলে আপনার অনেক সময় বাচবে এবং সেই মূল্যবান সময়ে আপনি কটকটি খাইলে ভাল করপেন ]

আপনাগো কাছে একটা মারফতী প্রশ্ন। একজন মানুষের সুখী হওয়ার জন্য কত কেজি কামলা বা কতডি গামলা বা কয় চামুচ সুখ দরকার? তবে সুখী হওয়ার জন্য আমার কাছে ৩ চামুচের বেশী সুখের দরকার নাই। রুবি পাথরের চামুচ না খেয়ে তামার চামুচ খাইলে যেইরাম টক টক লাগে আর কি!! রুবি পাথরের কথা শুনে রুবি রায়ের কথা মনে পড়ে গেল।

মনে পড়ে রুবি রায়
অনলাইনে কতদিন কতবার কতসুরে কেশেছি
আজ হায় রুবি রায়, ডেকে বল তোমার আম্মাকে
আমি নাকি তোমাদের গৃহপালিত মশাটাকে পিটিয়েছি।




তবে আমি জীপনে মশাকে পিটানো দূরে থাক, মশার হাতের কাছেও যাই নাই ভয়ে। আমার নামে মশটিক্যাল ষড়যন্ত্র এইডা। যাইহোক, এইবার চামুচের হিসাব করি। আম-মানুষ হিসাবে নূন্যতম মানবিক গুনাবলীগুলোকে সরবতের মত বানিয়ে সাধারন ১টা চামুচে রাখি। কিন্তু অধিকাংশ সময় এইসব মারফতীগুলাবলী আমাকে কাচকলার বদলে কাচঁকি মাছ টাইপ গাছ-কলা দেখিয়ে নাডামি করতে পাঠায়। আমি নাডামি করতে থাকি আর উনারা সরবত খাইতে খাইতে গ্লাসটাও খেয়ে ফেলে। আর তখন লোকে বলে আমি নাকি বদ। তবে ভালা মানুষের জ্বালায় ঠিক মত ভাল একটা বদও হইতে পারলাম না। আফসুস

অন্য চামুচে উচ্চাকংখার ঘৌড়াটাকে লোহার রশি দিতে বেঁধে রাখার আপ্রান চেষ্টা করি। কিন্তু ঘোড়া ব্যাটি...... কি কই। ঘোড়া আবার ব্যাটি হয় কেমনে!! ঘোড়াতো হবে ব্যাটা। ঘোড়ী হপে ব্যাটি। উচ্চাকংখার ঘোড়াকেতো আর আমার মত কুদ্দুসের সাথে বেঁধে রাখতে পারি না। এই জন্য উনাকে মাতাল গাছের সাথে বেঁধে রাখি। কিন্তু উনি লোহার রশি ছিড়ে দৌড়াইতে থাকে আর মাতাল গাছের বেতাল ছাড়ায় বসে কানতে কানতে তাল খেতে থাকি।

শেষ চামুচে প্রিয় মানুষগুলোকে শক্ত করে আমার ফাইবার অপটিক চুলের সাথে বেঁধে রাখি। কিন্তু আমার যাযাবর ("যা যা বর" না কিন্তুক) জীপনের জন্য অধিকাংশ সময় ওরা টুপটুপ করে পড়ে যায়। তারপরেও কিছু কিছু প্রিয় মানুষ আছে যারা টুপ করে পড়ে না, বরং বসে বসে আমার মাথার নাট-বল্টু পার্ট ঠিক করে। এদের অধিকাংশই বল্টু নামক বন্ধু।

এদের কয়েক জনকে স্মরন করার জন্য এত নাটক-পোনা-মাছ-পলানো মানে নাটুকেপনা। এদের ভালবাসার কাছে আমি নত হয়ে যাই, ওদের হদয়কে (হদয় টাইপ করতে পারি না) স্পর্শ করতে গিয়ে আমি ওদের হদয়ের বিশালতার কাছে বিলীন হয়ে যাই, এদের মানবিকগুলাবলীর কাছে নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হয় আবার ওদের মত বন্ধু আছে বলে গর্বও হয়। ওদের অনুপ্রেরনার জন্য আমার মত বদ লোকও জীবনকে কৃষ্নচূড়া গাছের উপর থেকে নন-আফসুসিতভাবে দেখতে পারে, বর্ষাকালে ট্যাটু ট্যাটু করে কদমফুল খাইতে পারে। এই সিরিজটা শুরু করেছি সেইসব বন্ধুদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে, তাদেরকে জানাতে যে তারা দূরে গেলেও আমার কাছে, আমার মাঝে থাকে। বদ হওয়ার কারনে তাদেরকে রবিদার মত বলতে চাই-
সকল অহংকার হে আমার
ডুবাও চোখের জলে ।

বন্ধুক নম্বর-১
পৃথিবীতে এই ছেলেটাকে আমি চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারি। ওহ মানুষকে এত সহজে বিশ্বাস করে যে মাঝে মাঝে আমার মাথায় বাদামী আগুন ধরে যায়। এত সিম্পল মানুষ থাকে কেমনে !!! একবার মগার লগে আমার কথা ছিল ওর সাথে আমি বিকাল ৪টার সময় দেখা করব। বিকালবেলা কুত্তা-বিলাইর চেয়েও উপরের লেভেলের বাঘ-সিংহ মার্কা বৃষ্টির সাথে এমন ভয়ানক কালবৈশাখী ঝড় শুরু হল যে আমি ঘর থেকেই বের হই নাই। কিন্তু পরেরদিন শুনি সে আমার জন্য ৩ ঘন্টা অপেক্ষার করেছিল। জীবনে খুব সময় নিজেকে এমন অপরাধী মনে হয়েছিল।

নাহ !! পোষ্ট মেলা বড় হয়ে গেছে। এই মগার লগে আমার মেলা নাডামির কাহানি আছে। হেডির কথা পরের বছর ইয়ে মানে পরের মাসে আসলেও আসতে পারে।

কিছুক্ষনের মধ্যে পোষ্টটা প্রথম পাতা থেকে হাওয়া, এডিট করতে গিয়ে দেখি পোষ্টের অধিকাংশ অংশ হাওয়া। মডুরা সরাইলো কিনা কে জানে। যাদের কমেন্টসগুলো নাই হয়ে গেছে, তাদের সবার কাছে সরি।
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×