জাকির নায়কের পক্ষ থেকে এই উপমহাদেশে মূর্খ মুসলমানদের জন্য নিক্ষিপ্ত সর্বশেষ “মগজ ধোলাই” আক্রমনটি হচ্ছে ‘‘গুরু নানক একজন মুসলমান ছিলেন”, ( https://www.youtube.com/watch?v=AmdRyG8Ckdc )
ইসলাম র্ধমের আক্বিদা নষ্টের জন্য তার টেকনিকটা হচ্ছে অন্য সব র্ধমের সাথে ইসলাম র্ধমের কিছু মিল খুজে বের করে তাদের প্রর্বতকদেরকে মুসলমান হিসাবে মানুষকে বুঝানো ।পবিত্র কোরআন শরীফে যে সকল নবী রছুলদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে উনারা সবাই মুসলমান ছিলেন এতে সন্ধেহের কোন অবকাশ নেই। গুরু নানক জন্ম গ্রহন করেছে সেই দিন, পাকিস্তানের পান্জাবে ১৪৬৯ সালে, তার পিতার নাম কল্যান চাঁদ আর মাতার নাম দাশ দেবী ওরফে মেহতা কালু এবং মাতা ত্রিপতা ,তারা দুজনেই ছিল হিন্দু সাহা জাতের। ২৪ সেষ্টেম্বর ১৪৮৭ নানক বিয়ে করেন মই চান্দ এর মেয়ে মাতা সুলেক্ষানিকে । নানকের দুই ছেলের নাম হছে শ্রী চান্দ আর লক্ষী চান্দ।
তার বড় ছেলে শ্রী চান্দ বাবার শিখ র্ধম মানতে না পেরে বিদ্রোহী হয়ে হিন্দু র্ধমে উদাশী নামে নতুন এক উপদলের সৃস্টি করে । নানকের মৃত্যুকেও পরিকল্পিত ভাবে রহস্যময় করা হয়। তাকে হিন্দুদের দ্বারা শ্বশানে পুড়ানো হবে না মুসলমানদের মাধ্যমে কবরে রাখা হবে তা নির্ধারনের জন্য এক রাএি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়, সকালে উঠে কেউ তার মৃত লাশ খুজে পায়নি ।
সেই সময় থেকেই তাকে নিয়ে সাধারন মুসলমানদের মধ্যে সন্দেহের বীজ বপন করা হয় ।জাকির নায়েক ঐ সন্দেহের দানাতে তার ক্ষুরধার খোড়া যুক্তি দিয়ে সত্যতার রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে, উদ্দেশ্য? বর্তমান যামানার অজ্ঞ মুসলমানদের আক্বিদা নষ্ট করে জাহান্নামে প্রেরনের ব্যবস্থা করা । ঐ নানক কষ্মিন কালেও কালেমা শাহাদাত পাঠ করেনি । হুজুর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম পৃথিবীতে অবস্থান নেয়ার পর থেকে কে মুসলমান আর কে মুসলমান নয় এই নিয়ে কারই কোন সন্দেহে থাকার অবকাশ নেই। যে আমাদের প্রান প্রিয় নবীকে , শ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসুল হিসাবে অন্তরে বিশ্বাস করবেনা, মুখে স্বীকার করবেনা কিংবা উনার নির্দেশ অনুযায়ী চলবেনা তাকে আর যাই বলা হোক মুসলমান বলা যাবেনা। শিখ ধর্মের সাথে পবিত্র ইসলাম ধর্মের পার্থক্য কি এবং কেন নানক ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেনি তা বিস্তারিত ভাবে জানতে হলে ক্লিক করুন ( https://www.youtube.com/watch?v=eFD86rEBSP8 )|
যেখানে স্বয়ং শিখ গুরু দাবী করছে, ইতিহাস সাক্ষ দিচ্ছে নানক শিখ ধর্মের প্রবর্তক এবং যেখানে নানক পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেছে বলে কোন প্রমান নেই সেখানে ভারতীয় গোয়েন্দা ‘র’ এর মনস্তাত্তিক যোদ্ধা, জাকির, পবিএ কোরান শরীফের কিছু আয়াত শরীফের সাথে নানকের বক্তব্যের কিছু মিল মানুষের সামনে উপস্থাপন করে নানককে মুসলমান হিসাবে ঘোষনা দিচ্ছে । ভারতীয় মনস্তাত্বিক বিশারদরা (মগজধোলাই বিশেষজ্ঞ) বুঝে নিয়েছে, হাজার কোটি টাকা খরচ করে পিস টিভির মাধ্যমে জাকির নায়েককে, উপমহাদেশের মুসলমানদের অন্তরে এমন ভাবে অবস্থান করানো হয়েছে যে, এখন সে যা বলবে তাই তথাকথিত মুসলমানেরা বিশ্বাস করবে। সহি আক্বীদাহ ধংশের মাধ্যমে মুসলমানদেরকে জাহান্নামে প্রেরন করার ক্ষেত্রে তাদের যে প্রনান্তকর প্রচেষ্টা তার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে এই জাকির নায়েক ও তার পিস টিভি। সোজা কথায় একেই বলে ডিজিটাল মগজধোলাই। নিন্মের লিংক ২টি পড়লে সহজেই বুঝা যাবে যে, জাকির নায়েক ইসলাম ধংশের জন্য কত ভয়ংকর এক মিডিয়া লাদেন।
১) https://en.wikipedia.org/wiki/Guru_Nanak…
২) Click This Link
জাকিরের প্রতিটি প্রশ্ন/উত্তর দেখলে মনে হবে যে, পৃথিবীর সমস্ত ধর্মীয় গ্রন্থ সে মুখস্ত করে ফেলেছে, আসলে পুরটাই মিডিয়ার ভাওতাবাজী। আসলে জাকিরকে করা প্রতিটা প্রশ্ন পূর্ব থেকেই ঠিক করা থাকে এবং জাকির তার উত্তর পূর্ব থেকেই মখস্ত করে স্টেইজে আসে, তারপর সিনেমা/নাটকের সংলাপের মতই মুখস্ত বলতে থাকে। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী “র” এর পরিচালিত জাকিরের এই ভাওতাবাজীতে ধর্মীয় জ্ঞানে মুর্খ মুসলমানেরা অভিভুত হতে পারে, তবে হিদায়েত প্রপ্ত মুসলমানেরা তাকে শুরু থেকেই কাফির নায়েক হিসাবেই ধারনা করে। বাংলা ভাষায় একটি বাস্তব সত্য প্রবাদ আছে যে, ”চোরের স্বাক্ষী মাতাল” এই লিংকে দেখুন ( https://www.youtube.com/watch?v=nOzNbCPj70Y )
পাকিস্তানের কাদিয়ানী, যারা পৃথিবী সকল মুসলমান কর্তৃক বিধর্মী/কাফির বলে চিহ্নিত তারাও বলে গুরু নানক শুধু মুসলমানই ছিল না সে ছিল ওলী আউলিয়া পর্যায়ের এক মহাণ দরবেশ। মুসলমাণদের বুঝতে হবে গোলাম মো: কাদিয়ান, মৌদুদী, গো আজম, লাদেন, মালালা, ড: ইউনুস, গুরু নানাক, লালন ফকির, জাকির নায়েক এরা সবাই হচ্ছে একই সুএে গাথা, মুসলমানদের আক্বীদা ধংশকারী “মগজ ধোলাই” কর্মকান্ডের মিডিয়া/রাজনৈতিক যোদ্ধা । জাকির নায়েককে তার পরও কো ধরনের তথাকথিত মসলমানেরা ইসলামের ধর্মের হাদী ধারনা করে তাদের সাথে পাঠকদেরকে পরবর্তী পর্বে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আশা করছি ইনশাল্লাহ। তবে তার পূর্বে জাকির সম্বন্ধে আরো কিছু সচ্ছ ধারনা পেতে ক্লিক করুন ( Click This Link )|
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে ইসলামের সহি সমঝ দান করুন, আমিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ২:২৬