জামাত-শিবির সমর্থিত একজন ব্যাক্তি যখন তোমার সাথে কথা বলতে আসে, তখন তাদেরকে স্রেফ বলে দিবে- I’m feeling sorry to talk with you.
এরকম স্ট্রেইটভাবে জামাত-শিবির সমর্থকদের, কে বলতে পেরেছে, সেটা আমার জানা নেই। স¤প্রতি বিডি ক্রিকেট টিমের পাকিস্তান সফর উপলক্ষে জাফর ইকবাল স্যারের সাথে দেখা করতে গেলে জামাত-শিবির প্রসঙ্গে স্যার একথা বলেন।
জাফর স্যার আরো বলেন- তোমরা টঙ দোকানে চা খাও, আড্ডা দাও। কিন্তু জামাত-শিবিরের সমর্থকদের সাথে কখনো তর্কে যেয়ো না।
জাফর স্যারের কথা শুনার সাথে সাথেই ব্লগে জামাত-শিবির নিয়ে ক্যাচালের কথা মনে পড়ে গেল । জাফর স্যার ইঙ্গিত করছিলেন- জামাত-শিবিরের ধর্মান্ধ তত্ত্বের কথা। কেননা একজন ব্যাক্তি যখন জামাত-শিবির সমর্থকদের সাথে কথা বলতে যায় তখন তারা যুক্তির ধার না ধেরে কথা বলে। যুক্তির ধার ধারলে লেঞ্জা বাহির হইয়া যায় কিনা !
জাফর ইকবাল স্যার এর কথা হয়তো ব্লগে কেউ মেনে চলবে না। কেননা এই ব্লগে অনেকেই আছেন যারা জামাত-শিবিরের সমর্থকদের সাথে তর্ক করে মূল্যবান সময় নষ্ট করেন ।
বিষয়টা আরো পরিষ্কার করা যাক।
২০১০ সাল। জামাত-শিবির নিয়ে পত্রপত্রিকায় ব্যাপক লিখালিখি, সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কথাবার্তা চলছিল। চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার আগেও জামাত-শিবির নিয়ে তর্ক। তো সেই মুহুর্তে ইউনিভার্সিটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবিতে র্যালীর আয়োজন করা হয়। র্যালী পরবর্তী সমাবেশে জাফর স্যার বললেন- আমি বুঝি না, জামাত-শিবির নিয়ে এত কথাবার্তা বলার কী আছে? তাদেরকে নিয়ে এত মাথা ঘামাতে হবে কেন? তাদেরকে পাত্তা দেয়ার কী আছে ?
তিনি নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বললেন- আমি সজ্ঞানে কোনদিন জামাত-শিবির সমর্থক কারো সাথে হ্যান্ডশ্যাক করিনি। কেননা আমার হাতটা পবিত্র। বিমানে বাংলাদেশে আসার এবং ত্যাগ করার অনেক সময়ই পাকিস্তানে ল্যান্ড করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে যাচ্ছিল, কিন্তু আমি ল্যান্ড করিনি।
জাফর স্যার বলছিলেন- জামাত-শিবিরের সাথে তর্কে নয়, তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
(বুকে হাত দিয়ে কেউ বলতে পারবে, জামাত-শিবিরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে পেরেছে? ক্ষমতাসীন দল যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছেন তাদের অনেক নেতাই নিজ মেয়েকে জামাতী নেতার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া অনেক বন্ধুকে দেখেছি, যারা জামাত-শিবির নিয়ে সোচ্চার ঠিক তাদের অনেকেই আবার জামাত-শিবির সমর্থক বন্ধুর বাসায় দাওয়াত খেতে গিয়েছে। হায়রে চেতনা !!)
২০১২ সালের ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাফর ইকবাল স্যার বলছিলেন, জামাতীরা এদেশের বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের টেনে হিচড়ে এনে হত্যা করেছে। তাহলে জামাতীদের সেই খুনের বিচার করতে আদালতের কী প্রয়োজন? তাদেরকেও একই কায়দায় ব্রাশফায়ার করে মারা উচিত। জাফর স্যারের সেই কথা শুনে তরুণ-তরুণীরা সমর্থন জানিয়েছিল। জাফর ইকবাল তরুণ-তরুণীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন সজাগ থাকতে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে, জামাত-শিবিরের সাথে তর্ক করে মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্য নয়।
আমরা কী তার কথা রক্ষা করেছি?
এক বাক্যে যদি উত্তর দিতে হয়,
তাহলে বলব - করি নি।
বি. দ্র:
স¤প্রতি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কর্য নিয়ে ছাগুদের সাথে ব্লগে, ফেসবুকে অনেকেরই ব্যাপক ক্যাচাল হচ্ছে। জাফর ইকবাল স্যারের কথার মতোই আমার স্ট্রেইট কথা- ওরা চিল্লাচিল্লা করুক।
আমরা ভাস্কর্য বানিয়েই ছাড়ব। So No Bargain With Them.
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭