যাই হোক কলেজ লাইফ শেষ করে তরী ভিড়ালাম ইউনিভার্সিটিতে। প্রথম দিন অরিয়েন্টশন ক্লাস বেশ চমৎকার লাগিল
বড় ভাইজানেরা যেমনে আমার দিকে তাকাচ্ছিল মনে হইতেছিল- কোন জনমে এক মহা ভুল করছিলাম, এজন্য আজ এর খেসারত দিতে হইবেক
যাই হোক এক পর্যায়ে আমার হাতে একটি রজনিগন্ধার স্টিক ধরাইয়া দিয়া বড় ভাইজেনারা কইলো- যা ওই, সুন্দরী আপুরে প্রপোজ কইরা আয়
কী আর করা, উত্তম মাধ্যম থেকে বাঁচতে গিয়া রজনিগন্ধা স্টিক হাতে নিলাম। ওই সুন্দরী আপুর কাছে যতই এগুচ্ছিলাম, ততই হস্ত কম্পন বাড়িয়া উঠিতেছিল। মনে মনে কইতাছিলাম- ইহা কী হইয়া চলিতেছে :> ?
আপু’র এক্কেবারে কাছে গিয়া চক্ষু বন্ধ কইরা চিক্কুর মাইরা কহিলাম- আপু, আমার কুনু দোষ নাই
এই কথার পরপরই দেখিলাম- কোথা থেকে জানি, হাসাহাসির শব্দ পাওয়া যাইতেছে
আজকে ৪বছর পর এইসব যখন ভাবি, তখন মোচড় দিয়া উঠে মনটা। ক’দিন আগে যখন অনার্সের শেষ ক্লাসটা করছিলাম তখন ভাবছিলাম, আহারে. . .এইভাবেই হয়তো সবাইকে বিদায় নিতে হয়!
হয়তোবা বিদায়ের এই উপলব্ধি থেকেই আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চারণ করেছিলেন-
আবার গাঙে আসবে জোয়ার, দুলবে তরী রঙ্গে,
সেই তরীতে হয়ত কেহ থাকবে তোমার সঙ্গে-
দুলবে তরী রঙ্গে,
প’ড়বে মনে সে কোন্ রাতে
এক তরীতে ছিলেম সাথে,
এমনি গাঙ ছিল জোয়ার,
নদীর দু’ধার এমনি আঁধার
তেম্নি তরী ছুটবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




