হে বাংলা মা, ওনাদের একটু লজ্জা দাও
যদিও ওরা খোলসে শিক্ষক, মননে দালাল
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক। শিক্ষক পরিবারের অনেক সদস্যদেরকেও রাজাকার (ওয়াক থু...) বাহিনীরা শারীরিক মানসিক নির্যাতন থেকে বাদ রাখে নি। কিন্তু আজ মুক্তিযুদ্ধের ৪২ বছর পর অবাক হই যখন দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক মানবতা বিরোধী অপরাধীদের উর্বর ক্ষেত্র জামাতে ইসলামকে সাপোর্ট দেয়। শুধু নামকাওয়াস্তে সাপোর্ট নয় আর্থিক, শারীরিক, মানসিক এবং পারলে নিজেকে উজার করে দেন তারা। অবাক হই যখন দেখি- একজন শিবির সমর্থক ছাত্রকে শিক্ষক বানানোর জন্য উঠেপড়ে লাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। শুধু শিবির সর্মথক ছাত্রকে শিক্ষক বানাতে অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১মাস না যেতেই ফলাফল প্রকাশ করেন।অবাক হই যখন দেখি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে মেজর জিয়াকে মহামানবের খেতাবে ভূষিত করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার ব্যার্থ প্রয়াস চালান। অবাক হই যখন দেখি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে ব্যঙ্গ করেন। যদিও তারা জানেন না মূর্তিও একটি শিল্প। আমি অবাক হই যখন দেখি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসলাম যাওয়ার দোহাই দিয়ে ক্লাসে ছেলে মেয়েদেরকে পৃথকভাবে বসিয়ে নিজ বউয়ের গুণের প্রশংসা জুড়েন। হায়রে শিক্ষক !! আমি বিস্ময়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম যখন শুনেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রক্টর সৃজনশীলতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চায় বাঁধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কওমী মাদ্রসায় রূপান্তরের অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন। যখন একজন লেখককে জিহ্বা কাটার হুমকি ও কাফনের কাপড় পাঠিয়ে শিবির ও হুজিরা ঔদ্ধত প্রকাশ করেছিল, আর তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকেরা উল্লাস প্রকাশ করেছিল- তখন আমি বিস্ময়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। আমি সেদিন মনখুলে হেসেছিলাম, যখন দেখেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য বলেন- তারেক রহমান তরুণ প্রজন্মের অহংকার !
{ দু:খিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকদের আমি জামাতী সাপোর্টার বলতে পারছি না, আমি মনে করি মুক্তবুদ্ধি চর্চার পাদপীঠের উন্নত মস্তিষ্কের মানুষেরা কখনো জামাতকে সাপোর্ট করতে পারেন না। আমি সোজা বাংলায় বলতে চাই- ওনারা খোলসে শিক্ষক, মননে দালাল। তাই ওই দালালদেরকেও প্রজন্ম চত্ত্বরের কাঠগড়ায় তোলা হোক। }