somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুভি রিভিউ: ধুম- ৩, এই থ্রি সেই থ্রি না ;) (কিঞ্চিৎ ১৮+ বাচ্চা লোক তফাৎ যাও)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলিয়ারে আলিয়া আইলি আগুন জালাইয়া
এই শীতে রাইতে আগুন নিভাই কি দিয়া ;) ;) ;)



সকাল বেলা ঘুমেত্তে উঠঠাই সাহিরের (আমির খান) মাথাত ক্যারা উঠছে। :-/ শিকাগো ব্যাঙ্কেত্তে টেকাটুকা ডাকাতি কইরা উড়াইয়া ধুমছে হুন্ডা লইয়া খিইচ্ছা টান দিছে। যেইন দিয়া পারে হেইন দিয়া যাইতেছে। সেইরাম হুন্ডা চালানি কারে কয়! গাড়ির তল, ব্রিজের তল, পানির তল, বাতাসের তল থুক্কু বাতাসের মইধ্যে দিয়া, তারের উপ্রে, যেমনে পারে হেমনে হামায় দিছে। :-P :-P :-P শয়ে শয়ে আমেরিকার পুলিশ খাবি খাইতাছে। B:-) হেরে কেউ ধরবার পারে না। হেরপরে সাহির হুন্ডা থামাইলো। তার আগে ব্যাঙ্ক ডাকাতি কইরা নামার সময় দেখলাম আমির খান দেহি বিল্ডিঙ্গের দেয়াল বায়া দৌড়াইতেছে আহা তহন আমি জলিলরে বহত মিসাইলাম। /:) :|


অভিষেকের জলিলিয় স্টাইলে মাইর

এট্টু পরে দেহি আমির খান প্যারেড পিটি করতাছে। :-* মনে মনে একটু খুশিও হইলাম সাহির চোর হইলেও পড়ালেখার প্রতি নজর আছে। :) ওমা আমার সকল ধারণা ভুল প্রমাণ কইরা দেহি সাহির এই বয়সে ইস্কুলে আয়া পিটি করে হাফ পেন্টু পড়া মাইয়া গো লগে (আমার বাপ আমারে এমন ইস্কুলে ভর্তি করে নাই ক্যান X( X( X( )। পুরাই টাস্কি খায়া আছি রে ভাই। :-* একটু পরে সব খোলাসা হইল। মিউজিক শুইন্না বুঝলাম এইডা নাচ। :P

আমি কিন্তুক সিনেমার ১৫ মিনিট পরের থেইক্কা কওয়া শুরু করছি । এইবার শুরু থেইকা কই। সাহিরের বাপ ঋণ খেলাপি ক্লাউন। গ্রেট ইন্ডিয়ান সার্কাসের নায়েবে আমীর। ভুল ঋণের বোঝা মাথাত লইয়া ঘুরতেছে। বাপ পুলায় মিল্লা ব্যাংকের মালিকরে বহুত খেলা দেহাইয়া বুঝাইল যে হেরা খেলা দেহাইয়া সব টেকাটুকা শুধ কইরা দিবো। কিন্তু খতরনাক মালিক হালায় একটা খাটাস হেতে কুনভাবেই রাজি হয় না। X(( হেই সময় রাজি হইলেই সিনেমা শ্যাষ হইয়া যায়। কাহিনী খতম। সাহিরের বাপ (জ্যাকি শ্রুফ) এর সার্কাস জীবন আর মরণ। হেতে পুলারে ডায়লগ দিয়া টেকাটুকা শোধ(ভুল ঋণের মাশুল) করবার না পাইরা গুলি খায়া আত্মহত্যা করলো। :(( :(( আহারে আনোয়ার হোসেন আর প্রবীর মিত্র দেহা যায় হিন্দী মুভিতেও আছে :P সিনেমার শুরুতেই পটল ভাজি হয় হেগোর। :P এই সিনের পরেই আমির ওই ব্যাংক ডাকাতি করে। আর বাপের এই অপমানের বদলা উসে লেহানি পারেগা :P এইডাই সিনেমার স্ট্র্যাটেজি।


আলিয়া B-) B-) B-)

লুল বাদশাহ আলী (উদয় চোপরা) এর উদয়ের পর আলিয়া (ক্যাটরিনার)উদয়। হে আমির খানের সার্কাস দলে ঢুকপার চায়। আমির খান কইলো এমন কিছু কইরা দেখাও ৫ মিনিট চোখ না নড়ে তুমার থেকে, তাইলে তুমারে আমরার দলে নিয়াম (ক্যাট মনে মনে কয় বুম মুভিতে গুলশান রে যে জিনিস দেহাইছিলাম ওইডা দেহাইলে তোর মত আমির আমার আজীবনের গোলাম হইয়া যাবিরে পাগলা ;) ;) ) আমি কই লেও ঠ্যালা আমিরও তো দেহি কম লুল না ;) আমি মনে ভাবতাছি স্ট্রিপ ডান্স ছাড়া আমিরের চইলত ন। আমার কথা সত্য প্রমাণ করনের কারণেই কিনা জানি আলিয়া দেহি বেবাক কাপড় ডেন্সের তালে তালে খুলবার লাগছে। গানের নাম কামলি :P হেরপর আলিয়া হের কাম শুরু করল ;) ওভারকোট, হ্যাট পড়া মাইয়া দেহি একটা একটা কইরা নাচ আর গানের তালে সব কাপড় খুলতেছে। আমি ভয় পাইয়া সিনেমার নামডা আবার ভালা কইরা পড়লাম দেহি নামের লগে থ্রি :O (লুল মিয়ারে হাসেন কেন সব থ্রি কিন্তু এক জিনিস না, এই থ্রি সেই থ্রি না ;) )আমার পুরা কস্কি মমিন অবস্থা। নিজের সাহস দিয়া আবার দেহা শুরু করলাম। শুনছিলাম এরশাদের দঁড়ির মত পাকানো শরীর এহন দেহি আলিয়ার দঁড়ির মত পাকানো টপ। হেই দঁড়ি টাইনা টাইনা আমির খান খুলার পর বাকি রইল একখান জিনিস যা মাইয়াগো উর্ধাঙ্গে প্রথম বস্ত্র হিসেবে পড়ানো হয় :P আমার শংকায় কুঁকড়ে যাওয়ার দশা। ভাবতে লাগলাম হাফ পেন্টেলুনও কি এমন দঁড়ির মতন পাকানো নাকি :O আর উহাও কি খুলিবে নাকি :O আমি ঢুক গিলিয়া একা রুমে চারপাশ দেখালাম কেউ আছেনি? মাইরি কইতাই আলিয়া যে উপ্তা হইয়া দুই পা দুই দিকে প্রসারিত যেই নাচ খান দিছে ওই নাচা কুন ছুট ভাই আর বড় ভাই লগে থাকলে লজ্জা পাইতাম। যাই হোক আলিয়া সার্কাস দেহানোর নামে যেইরাম নাচাকুদা করিল, উপ্তা হইল, দুই পা দুই দিকে দিল, ডিগবাজি খাইল উহা কি নাচ না সার্কাস তাহা আমি কইতে পারি না। এমন করিলে কে না তাহাকে দলে লইতে চাইবে না। সাহিরও ভুল করিল না। শীতের রাইতে জ্যাকেট খুলিইয়া আমি গান ধরলাম

আলিয়ারে আলিয়া আইলি আগুন জালাইয়া
এই শীতে রাইতে আগুন নিভাই কি দিয়া


আহা সেকি নাচ :P


আমির আর ক্যাটরিনার কামলি গানে কাম

ব্যাঙ্কের ডাকাত ধরার জন্য ডাক পড়িল ইন্ডিয়ার এসিপি জয় দীক্ষিত (অভিষেক) আর আলীর। সাহির আবার যেইহানেই চুরি করে হেইনেই নিশানা রাইখা যায় ক্লাউনের মুখোশের। যাই হোক সাহির হেল্পাইনের নাম কইরা আবার ব্যাঙ্কে ডাকাতি করল আর অভিষেক ও তার গ্যাং বিশাল দৌড়ানি দিল আর হেইসময় সাহির গুল্লি খাইল অভিষেকের হাতে। বুঝলাম না কিছুই আমেরিকার পুলিশ কত ভদ্র আর সহনশীল হেরা শয়ে শয়ে গাড়ি, হেলিকপ্টার লইয়া আমিরের পিছে দৌড়াইল কিন্তু গুল্লি করলো না আর কোথাকার কোন ইন্ডিয়ার পুলিশ অফিসার আইসাই গুল্লি মারল। আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত, কেউ গুল্লি মারতে পারবো আর কেউ পারবো না তা হইতে পারে না। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সামনের তিন দিন অবরোধ :P :P আবার ওই দিনই আবার আমিরের সার্কাসের শো আছিলো। জয় গেল হেই শোতে আর হের সন্দেহ হইল সাহিরকে হেতে গুলি খাওয়া পিঠ চেক কইরা হেতে তো পুরাই টাস্কি। কুন গুল্লির দাগই নাই :P জয় এক্কেরে অথৈ পানিত পড়ল। আর ওইদিকে ব্যাংকের মালিক জয়রে কইলো যে গাট্টি-বুছকা গুল কইরা এলা বাড়িত যাও বহুত হইছে শালা ঘোচু।
বাড়িমুখী যাওয়ার টাইমে আলী জয়রে কইলো ভাইলোক আপনার ইজ্জতের ফালুদা করতে না চাইলে আপনি এই কেসের চিচিং ফাকটা না কইরা যাইয়েন না। আলীর কথাতে কেসে মনযোগ দিল।

আমিরের বাড়িতে আঁড়ি মাইরা দেখল যে সাহির আর সমর দুই যমজ ভাই। সমর একটু বেকুব কিছিমের আর তোতলা। বেবাক লোক জানে সাহিরই বস কিন্তু সব কিছুই জারিজুরি। হেতেরা দুই ভাই মিল্লা বেবাকরে ডজ দেয় এই আর কি। দুই ভাইই আবার বাপের বদলা নেয়ার একমত। সমর আবার আলিয়ারে ভালা পায় :D আলিয়াও সমররে ভালা পায়।
ডিরেক্টর আচার্য্য সাহেব ব্যাপক বুদ্ধিমান ও কামেল মাল। হে চিন্তা করছে আমির হালায় যে টেকাটুকা লইবো হেরে দিয়া ডাবল পার্ট করায়া এট্টু খাটায়া লই। ;)

অভিষেক বেকুব সমররে ফুসলাইয়া ক্ষেপাইয়া দিলো সাহিরের উপর। সমর নাম কইরা আলিয়ারে চুমা-চাট্টি দিল সাহির (যাগো জমজ ভাই আছে হেরা সাবধান :P ) আর জয় তখন ভাবল যে সমরের কাছ থেকে সব ইনফো লইবো কিন্ত বিধিবাম হে যে সাহির :P অভিষেকের প্ল্যান মাইর খাইলো আবার। হালার অভিষেক তিনখান ধুম করলি তুই একবারো চুর ধরতে পারলি না :/ আবারও ব্যাঙ্কে ডাকাতি করল সাহির আর সমর কিন্তু এইবারও ধরতে পারলো না জয় খালি হুন্ডা দিয়া পিছন পিছন দৌড় পারলো।

সাহির আর সমররে ধরার জন্য জয় নকল করলো বাংলা সিনেমার পুলিশের স্টাইল। আলিয়ারে জিম্মি কইরা ধইরা আনলো। আর সমর তো আলিয়ারে দেইখা আলিয়ারে ছুটানোর জন্য পিড়াপীড়ি শুরু করল তখন আমির সব প্রমাণ জয়ের হাতে দিয়া সমররে কিছু না করতে কইল। এরপরে আমির হুভার ড্যাম হইতে লাফ দিতে নিতেই ছুট ভাই সমর হের হাত ধইরা ফালাইলো আর দুই ভাইতে মিলা মেলা পেচাল পাইরা দুই ভাই হুভার ড্যাম হইতে লাফ দিয়া সিনেমার ইতি ঘটাইলো।

এবার আসি কিছু কথায়.........
* সিনেমার কাহিনী খুবই দুর্বল। আর সাসপেন্স বলে যে একটা জিনিস থাকে সেটার বিন্দুমাত্র ছোঁয়া নেই কোথাও।
* যদি ক্যাটরিনা না থাকতো তাহলেও কোন ক্ষতি হতো না। তবে পাব্লিক কিছু উপভোগ করার মত লুলীয় ডান্স মুভ মিস করতো।
* আমিরকে খুঁজে পাওয়া নাই এই মুভিতে। আর সুপার হিরো হতে হলে যে একটু দৈহিক উচ্চতা প্রয়োজন তা আমি বার বার অনুভব করেছি। অধিক উচ্চতার অভিষেকের কাছে আমিরকে বেমানান লেগেছে যথেষ্ট।
* আগের ধুম গুলোতে চুরির স্টাইলগুলা ইনোভ্যাটিভ ছিল আর এই মুভিতে একই চুরির বুদ্ধি বারবার দেখানো হয়েছে যা অনেকটা বিরক্তিকর।
* এই ছবি ধুম ২ এর ধারেকাছেও যেতে পারেনি আর ঋত্বিক রোশানকে অনেক সব থেকে ফিট ছিল এই মুভির জন্য।
* উদয় চোপড়ার টুইটার ফ্রেন্ড ট্যাব্রেট ব্রেথেল মানে ভিক্টোরিয়া শুধু ফোন রিসিভ আর অভিষেকের অর্ডার শুনেই পার করলো আর বিকিনি পরিধান করে শরীর প্রদর্শন করল। এছাড়া কোন কাজ ছিল না ওর।
* আমাদের দেশের জলিলের মুভিতে যেরকম অ্যাকশান দেখি আমরা এরকম অ্যাকশানে ভরপুর ছিল। আর জলিল হলেই দুয়ো তুলি।
* সবশেষে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোন প্রতিফলনই ঘটে নাই এই মুভিতে। এই মুভি আমাদের হতাশ করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩০
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:৩১


আশেপাশের কেউই টের পাইনি
খুন হয়ে বসে আছি সেই কবে ।

প্রথমবার যখন খুন হলাম
সেই কি কষ্ট!
সেই কষ্ট একবারের জন্যও ভুলতে পারিনি এখনো।

ছয় বছর বয়সে মহল্লায় চড়ুইভাতি খেলতে গিয়ে প্রায় দ্বিগুন... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×