শতভাগ ইসলামী অনুশাসন আর শতভাগ ইসলামী শাসন এর সংজ্ঞা আমি জানিনা। তারপরও আমি আজ একটি সম্প্রদায় সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরব। আর সে সম্প্রদায়টির নাম আহমদিয়া সম্প্রদায়। এ সম্প্রদায় এর নেতা মীর্যা গোলাম আহমদ । এরা মীর্যা গোলাম আহমদ কে নবী মানে।
রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেনঃ
وَإِنَّهُ سَيَكُونُ فِي أُمَّتِي ثَلَاثُونَ كَذَّابُونَ كُلُّهُمْ يَزْعُمُ أَنَّهُ نَبِيٌّ وَأَنَا خَاتَمُ النَّبِيِّينَ لَا نَبِيَّ بَعْدِي
“আমার উম্মতর মধ্য থেকে ত্রিশজন মিথ্যাবাদী আসবে প্রত্যেকেই নিজেকে নবী বলে দাবী করবে। অথচ আমি হলাম শেষ নবী; আমার পরে কোন নবী নেই।” ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন। (তিরমিযী ৮/১৫৬ হাদীস নং ৩৭১০)
মুসলিম উম্মাহর এই শাশ্বত আকিদা বিশ্বাসে ফাটল সৃষ্টি করে মির্জা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নবী হওয়ার দাবি করে বসে ১৯০১ সালের দিকে । স্বার্থপর বৃটিশ সরকার তাদের আধিপত্য পাকাপোক্ত করার জন্য এবং মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির লক্ষে পুর্ব পান্জাবের গুরুদাসপুর জেলার কাদিয়ানের অধিবাসি মির্জা গোলাম আহমদ কে মিথ্যা নবুয়তের দাবিদার বানিয়ে দাড় করায়। মীর্যা গোলাম আহমাদ কাদিয়ানীদের অনুসারি ছাড়া প্রথিবীতে যত মুসলমান আছে অর্থাৎ আপনি, আমি আমরা সকলেই যারা প্রীয় নবীজী সাঃ প্রচারিত আল্লাহর তরফ হতে আসা ইসলাম ধর্ম মানি আমরা সকলে কাফের। এ বিষয়ে ভন্ড কাদিয়ানী বক্তব্য গুলো নিম্নরুপঃ---
১. আমার এসব কিতাবকে প্রতিটি মুসলমান মহব্বতের দৃস্টিতে দেখে, কিন্ত জারজ আর বেশ্যার সন্তান রা এটাকে মানে না। (মীর্যার লিখিত আয়নায়ে কামালতে ইসলাম ৫৭৪) মীর্যার এই বক্তব্য বুঝা যাচ্চে আমরা যারা তাকে নবী বলে মানিনা আমরা সকলে জারজ সন্তান।
২. আমার বিরোধীরা জংগলের শুকুর হয়ে গেছে আর তাদের স্ত্রীরা কুকুরীর চেয়ে নিকৃস্ট। (মীর্যার রচিত নাজমুল হুদা-১৫ পৃষ্টা)
৩. যারা আমাকে আমার বিজয়ের স্বীকৃতি দেবেনা, তাদের হারামজাদা হওয়ার ইচ্ছা আছে। (আনওয়ারুল ইসলাম ৩০ পৃষ্ঠা)
আরো অনেক কুফরি মতবাদ আছে যা উল্ল্যেখ করতে খারাপ লাগছে।
গোলাম আহমাদ ছিল অত্যন্ত ধূর্ত ও চালবাজ। সে অত্যন্ত সুকৌশলে মুসলমানদের মাঝে তার ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করতে থাকে। প্রথমে সে নিজেকে একজন মুজাদ্দিদ বা মহান সংস্কারক, তারপর ইমাম মাহদী, কখনো বা নিজেকে ঈসা (আলাইহিস সালাম) দাবী করে। তারপর নিজেকে ‘ছায়া নবী’ সবশেষে একজন ‘পূর্ণ নবী’ বলে জোরেশোরে প্রচার চালাতে থাকে। শরীয়তের অনেক বিধান রহিত ঘোষণা করে এবং অনেক হুকুম-আকহাম রদবদল করতে থাকে। একদল লোককে তার অনুসারী হিসেবে পেয়ে যায়। প্রায় সবকটি মুসলিম দেশে ‘আহমদীয়া মুসলিম জামাত’ ও এ দলের অনুসারী কাদিয়ানীদেরকে সরকারীভাবে অমুসলিম ঘোষণা করে তাদের যাবতীয় বই-পুস্তক, ও কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশে তাদেরকে আজো অমুসলিম ঘোষণা করা হয়নি । যার কারণে বর্তমানে তারা আমাদের দেশে প্রকাশ্যে তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই আহমদিয়া সম্প্রদায় নাকি মুসলমান (সবাই না, কেউ কেউ বলে)
দেশে ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে ক্যাচাল চলছে। এক পক্ষ ইসলাম বিদ্বেষীদের শাস্তির দাবীতে আন্দোলন করছে আবার যারা আন্দোলন করছে তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা সৃষ্টির জন্য নব্য মুফতি শ্রেনী সৃষ্টি হয়েছে। এই মুফতি শ্রেণীর দেখা মিলছে রাজপথ-টিভিমিডিয়া-ফেসবুক এমন কি ব্লগেও। এই সুযোগ সন্ধানী মুফতি শ্রেনী মুলতঃ বিভিন্ন সময়ে সুযোগ মত খোলস থেকে মাথা বের করে সুবিধা গ্রহন করে। এরা আর কেউ নয়; মূলত বাংলাদেশে কোনঠাষা হয়ে থাকা শিয়া-কাদিয়ানী আর মাজার ব্যবসায়ী শ্রেনী। এরা ইতমধ্যে ব্লগ ফেসবুকে নিজেদের পরিচয় দিয়ে দিয়েছে এবং জানিয়ে দিয়েছে ইসলামের মূল স্রোত থেকে এরা কত দূরে। যারা ইসলামের মূল স্রোতের সাথে মিশে আছে তাদের কেই এরা মুসলমান মনে করে না।
এখন আমরা ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি না। আমরা দিন দিন ইসলাম থেকে দুরে সরে যাচ্ছি। আমরা চেষ্টা করি না ইসলামের মুল ধারার সাথে মিশে থাকতে। এসব মুফতি আলেমগণ মুলধারার ইসলামের অনুসারী কিনা তা যাচায় করার ক্ষমতা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। কেউ আরবী দুটো আয়াত কিংবা হাদীস উল্ল্যেখ করে দিলেই আমরা তখন না বুঝেই তাকে হক্বানী আলেম ঘোষনা করি। বর্তমান সময়ে টিভি মিডিয়া, সংবাদ মিডিয়া, ফেসবুক এ অনেক মুফতি মাওলানা লক্ষ্য করছি। তারা এখন অনেক সম্মানীত ব্যাক্তি। আপনি হয়ত খেয়াল করবেন বিটিভির ইসলামিক আলোচনা তে এ সব মুফতি-আলেম রা নিয়মিত পূর্ণ ঘন্টার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হবার সুযোগ পাচ্ছে। ব্লগেও এদের অনেক কদর। বিভিন্ন ব্লগে এদের পোষ্ট কে ষ্টিকি বানায়। অনেকেই সামান্য স্বার্থের কারণে এই মাওলানাদের উৎসাহ দিতে কখনই কমতি করে না। আমরা সত্যি অবাক হই একারণে যে; মুসলমান রা কিসে নিরাপদ আর কাদের কাছে নিরাপদ নয় তা জানানোর বিশাল দ্বায়িত্ব এরা কাধে তুলে নিয়েছে। ঠিক যেন মার কাছে মামা বাড়ির গল্প ।