এক রাজ্যে ছিলো এক রাজা। বেকুব। সেই রাজ্যে ছিলো এক উজির। স্বল্পসংখ্যক 'কুব' এর একজন। প্রজাদের মধ্যে ছিলো মিশ্রন: ছাগু-উটু যেমন ছিলো, তেমন ছিলো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষজন। রাজা আবার ছাগুউটুপ্রেমিক ছিলেন। উহারা তাহাকে উহাদিগতে উপগত হইতে বাধা দিতো না। সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষজন রাজাকে অনেক বুঝাইয়াও তাহার ছাগুউটু প্রীতি ছাড়াইতে পারেন নাই। অতপর কি আর করা। তাহারা দলে দলে রাজ্য ছাড়িয়া হিজরত করিলেন। ছাগু উটু ঠেংগানোর লাইগা কতিপয় মনুষ্য অবশ্য রাজ্যে রহিয়া গেলেন।
ফলাফল, রাজ্যে দুর্ভিক্ষ সমাগত। উজির দেখিলেন, ভালো কথা কইতে গেলে রাজা রেগে আগুন। তিনি কৌশল করিলেন। একটি তৈলাক্ত বাশ আনিয়া রাজাকে বলিলেন, ইহার নাম আলেক্সা। একটি বান্দর যতই ইহার ওপরে চড়িবে, রাজ্যে ততোই সুখশান্তি বিরাজ করিতেছে, তা বোঝা যাইবে। তবে বান্দরটা এমনি এমনি আলেক্সায় চড়িবে না। রাজার পায়ূপথে একটি আইক্কাযুক্ত বংশ ঢুকাইতে হইবে। উহা যতই ঢুকিবে, বান্দর ততোই আলেক্সায় চড়িবে। ঢুকানো বন্ধ হইলেই আবার আলেক্সার সূচক অধোগামি।
সেই দিন হইতে অদ্যাবধি রাজার পায়ূপথে বংশপ্রদান চলিতেছে, থামিলেই আলেক্সার সূচক নামিতেছে। আবার বংশ ঢুকিতেছে। রাজা যন্ত্রনায় ককাইলেই উজির তাহার দৃষ্টি আলেক্সার দিকে ধাবিত করিতেছেন। সেখানে আলেক্সা নামক তৈলাক্ত বাশে তাহার সূচক বান্দরটি পরম তৃপ্তিতে উপরে উঠিতেছে। ঘর্মাক্ত রাজা তাহা দেখিয়া তৃপ্তির হাসি হাসিয়া কহিলেন, "আহা!"