ঘুম থেকে ওঠার পরে কিছু অজানা শব্দের কিচিরমিচির শুনতে পেলাম। পুরুষ কন্ঠের আওয়াজ। ভাষাটা জানি বলে মনে হলো না। রুম থেকে বেরিয়ে এলাম। পাশের রুমেই শব্দের উৎস। মানুষটার দিকে এগিয়ে গেলাম। ফোনে কথা বলছে। বলতে চাইলাম, আপনি কোন ভাষায় কথা বলছেন? কিন্তু মুখ দিয়ে কোনো শব্দ বেরুলো না। আমি কি বোবা হয়ে গেছি??
পূর্ব কথা....
একটা কাজে এই শহরে এসেছি। কয়েকদিন থাকবো। অফিসের কাছেই একটা বাড়িতে আমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । রুমে একটি কম্পিউটার, বেড এবং টিভিসেট আছে। খাওয়াদাওয়াও বাড়িতেই। গৃহকর্ত্রী রাঁধুনি হিসেবে ভালোই।
খুব সকালে উঠে অফিসে চলে যাই। সেখানে কিছু কাজ করে লাঞ্চ করতে ফিরে আসি। এরপর আবারো অফিসে। বিকালেই অফিস শেষ। আমার রুমের সাথে একটা বারান্দা আছে। বেশ বড়োই বলা চলে। বারান্দায় দাঁড়িয়ে চারপাশের প্রকৃতিকে অনুভব করি। বিকালটা এভাবেই কেটে যায়।
সন্ধ্যায় পুনরায় নিজের কাজে মজে যাই। এভাবেই রাতটা চলে আসে। হাতছানি দেয় ঘুম। ডিনার করে নরম বিছানায় গা-টা এলিয়ে দিই। ঘুম জেঁকে বসে। গভীর থেকে গভীরতর ঘুম। যা সকালে হলুদ সূর্যের সাথে উঠে পড়ে। ব্রেকফাস্ট করেই আবারো দৌড়। অফিস অফিস খেলা।
অফিসে আমার কাজটা অতি সাধারণ। কয়েকদিনের অতিথি। নানা ধরনের কাজের তদারকি করতে হচ্ছে। কাজটা সহজ কিন্তু সময় সাপেক্ষ। আমার ডেস্কের পাশেই বসেন মিস লীনা। লীনার জন্ম এই শহরে। বাইরে পড়াশোনা করে এসে এখানেই চাকুরী করছে। ভারি মিষ্টি দেখতে। কাজেও পারদর্শী। এখানে এসে সবার আগে ওর সাথেই পরিচয় হয়। তারপর বাকিদের সাথে। কাকতালীয় ভাবে ওর সাথেই আমার কথাবার্তা হয় বেশি। কেন? সেটা তো জানি না !
আজকেও যথা সময়ে অফিসে হাজির হয়েছি। নানান ফাইলপত্র ঘাঁটতে হবে। অফিসে এসেই যার সাথে চোখাচোখি হলো সেটা আর কেউ না। লীনা। মিষ্টি হাসি উপহার পেলাম। দিনটা ভালো যাবে বলে মনে হলো। কাজে ডুবে গেলাম। আর ফাঁকে ফাঁকে লীনার সাথে আলাপচারিতা......
চলবে..
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৪